leadT1ad

পথের পিঠায় মন মজেছে

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৪
শহরের মোড়-মহল্লায় জমে উঠেছে মৌসুমি পিঠার বেচাকেনা। স্ট্রিম ছবি

ক্যালেন্ডারে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ। শীতের মৌসুম এসেই গেছে বলা যায়। সন্ধ্যা নামলেই বাতাসে টের পাওয়া যায় শীতের খুব হালকা ছোঁয়া। ঢাকাবাসীর গায়ে যদিও এখনো গরম কাপড় ওঠেনি, কিন্তু ফুটপাতে বসে গেছে শীতের পিঠার ভ্রাম্যমাণ দোকান। তাওয়া থেকে উঠছে গরম ধোঁয়া, ভাপা পিঠার গন্ধে থমকে দাঁড়াচ্ছেন পথচারীরা। শীত ঠিকঠাক নামার আগেই শহরের মোড়-মহল্লায় জমে উঠেছে মৌসুমি পিঠার বেচাকেনা।

সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার সব এলাকাতেই দেখা যায় ছোট ছোট ভ্যান বা টেবিলে সাজানো পিঠার দোকান। একেকটা দোকানের সামনে পাঁচ-দশজন করে ভিড়। কেউ দাঁড়িয়ে খাচ্ছেন, কেউ আবার প্যাকেট করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। ক্রেতাদের মধ্যে আছেন অফিসফেরত চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী ও শ্রমজীবীরা।

রাজধানীর পান্থপথের পানি ভবনের বিপরীত পাশে অন্তত পাঁচটি পিঠার দোকান বসেছে। দোকানগুলোর চারপাশে জটলা—কেউ চিতইয়ের ওপর ভর্তা মাখছেন। কেউ গল্পে গল্পে পিঠা খাচ্ছেন।

একটি টেবিলে একের পর এক পিঠা উঠিয়ে রাখছেন জাহাঙ্গীর আলম। তাঁর ছোট ভাই হৃদয় রয়েছেন বিক্রির দায়িত্বে। হৃদয় বলছিলেন, পাশের কলাবাগান এলাকাতেই থাকেন তাঁরা। বিকেল হলে দোকানে আসেন। সন্ধ্যার পর বিক্রি শুরু হয়।

দোকানটিতে চার ধরনের পিঠা দেখা গেছে। সেগুলো হলো—চিতই, ডিম চিতই, ভাপা পিঠা ও পুলি পিঠা। চিতই ও পুলি পিঠার দাম ১০ টাকা করে। ডিম চিতই ৩০ ও ভাপা পিঠা প্রতিটি ২০ টাকা। অন্য পিঠার দোকানগুলোতেও একই দামে বিক্রি হচ্ছে।

ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতের পিঠার দোকান। স্ট্রিম ছবি
ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতের পিঠার দোকান। স্ট্রিম ছবি

পাশেই আরেকটি পিঠার দোকান দেখা গেল। দোকানটি সাব্বিরের ভাতের হোটেল নামে পরিচিত। কথা বলে জানা গেল, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দোকানটি ভাতের হোটেল। কিন্তু সন্ধ্যার পর হয়ে যায় পিঠার দোকান। সেখানে একজন বৃদ্ধাকে পিঠা বানাতে দেখা গেল। সাব্বির জানান, তাঁর মা পিঠা বানান এবং তিনি বিক্রি করেন। এখনো বিক্রি সেভাবে বাড়েনি। শীত বাড়লে বেচাবিক্রি বাড়ার আশা তাঁর।

পিঠা খাওয়ার পাশাপাশি অনেকেই প্যাকেটে করে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের একজন তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, বাসায় পিঠা বানানোর ব্যবস্থা নেই। আবার সময়ও পাওয়া যায় না। এ কারণে ফুটপাতে পাওয়ায় সুবিধাই হয়েছে।

এক কোণে দাঁড়িয়ে চিতই পিঠা খাচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষক জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘শীত মানেই পিঠা। বাড়িতে বানানোর সময় হয় না। দেখলাম দামও বেশি না। তাই এখানে এসে গরম চিতই আর শর্ষের ভর্তা খেয়ে শীতটাকে টের পাই।’

শুধু পান্থপথ নয়, বাংলামোটর, কাওরানবাজার, মিরপুরসহ প্রায় সব মোড় এমনকি গলিতেও বসতে দেখা গেছে পিঠার দোকান। পিঠার ধরণ বেশি না হলেও এসব স্থান থেকে পিঠা খেয়ে তৃপ্তি মেটাচ্ছেন বাসিন্দারা।

Ad 300x250

সম্পর্কিত