জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান হঠাৎ করেই মিউজিক ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে অভিনয়কে বিদায় বলেছেন তাহসান। কেন তাহসান হঠাৎ ২৫ বছরের মিউজিক ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিলেন, জানা যাবে এ লেখায়।
অনন্ত রায়হান
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান হঠাৎ করেই মিউজিক ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন। সংগীতজীবনের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় কনসার্ট ট্যুরে আছেন।
গত ৬ সেপ্টেম্বর অ্যাডিলেডে প্রথম কনসার্টের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘তাহসান অ্যান্ড দ্য ব্যান্ড’-এর অস্ট্রেলিয়া সফর। এরপর ৭ সেপ্টেম্বর ব্রিসবেন, ১৩ সেপ্টেম্বর সিডনি ও ২০ সেপ্টেম্বর মেলবোর্নে গান পরিবেশন করেন তিনি। ২৭ সেপ্টেম্বর পার্থে হওয়ার কথা এই সফরের শেষ কনসার্টটি।
কিন্তু মেলবোর্নের কনসার্টে গান শুরু করার আগে ভক্তদের চমকে দেন তাহসান। তিনি বলেন, ‘অনেক জায়গায় লেখালেখি হচ্ছে যে, এটা আমার লাস্ট কনসার্ট। আসলে লাস্ট কনসার্ট নয়, লাস্ট ট্যুর। আস্তে আস্তে মিউজিক ক্যারিয়ারটা হয়তো ইতি টানব।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতেও দেখা যায়, স্টেজে দাঁড়িয়ে ভক্তদের উদ্দেশে তাহসান বলছেন, ‘এটা ন্যাচারাল। সারাজীবন কি এভাবে মঞ্চে দাঁড়িয়ে লাফালাফি করা যায়! মেয়ে বড় হয়ে যাচ্ছে, এখন যদি মঞ্চে দাঁড়িয়ে গাই “দূরে তুমি দাঁড়িয়ে”, দেখতে কেমন লাগে।’
একই সঙ্গে তাহসান নিজের সব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টও ডিঅ্যাক্টিভ করেছেন। তাঁর ফেসবুক পেজে অনুসারীর সংখ্যা ছিল প্রায় এক কোটি। আর ইনস্টাগ্রামে ৩৫ লাখের বেশি
এর আগে অভিনয় থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন তাহসান। গত বছর তিনি বলেছিলেন, ‘বিগত ২০ বছর ধরে কাজ করছি আমি। নিজেকেই নিজের বিরতি নিতে হয়। যারা আমাকে ভালোবাসে, আমার কাজ ভালো লেগেছে বলেই ভালোবাসেন। যখন মনে হয় কাজ একঘেয়েমি হয়ে যাচ্ছে, খুব একটা ভালো কাজ হচ্ছে না, তখন নিজেকেই থামিয়ে দিতে হয়।’
সংগীত থেকেও অবসর নেবেন কি না, তখন এই প্রশ্নের উত্তরে তাহসান খান জানিয়েছিলেন, তিনি দুটি কারণে গান চালিয়ে যেতে চান। তাঁর কথায় ‘মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যেতে অথবা একটু আনন্দ দিতে। যে কোনো ক্ষেত্রেই গান কিন্তু অসাধারণ ভূমিকা রাখে। আপনি যদি পাশ্চাত্যর গানের ধরন দেখেন একটা সময় শুধু ইংরেজি ভাষার মানুষেরা সবার কাছে পৌঁছাত। একটা সময় ল্যাটিন, কোরিয়ান ও আফ্রিকান ভাষায় যারা গান করেছে তারা আবার সবার কাছে পৌঁছায়। কখন কোন ভাষার গান সারা পৃথিবীর মানুষ লুফে নিবে সেটা আমরা জানি না।’
সংগীত থেকে থেকে ধীরে ধীরে সরে আসার পেছনে তাহসানের শারীরিক সমস্যাও বড় কারণ। ২০২৪ সালের জুন মাসে নিজের প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘বাজি’ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাহসান জানিয়েছিলেন, দীর্ঘদিন ধরে কণ্ঠনালির সমস্যায় ভুগছেন তিনি। তাঁর কণ্ঠনালিতে হেটেরোটোপিয়া নামের একটি রোগ ধরা পড়েছে। এতে গলার কাঠামো বদলে যায়, গান গাওয়ার আগ্রহ ও সক্ষমতা কমে আসে। ২০১৮ সাল থেকেই সমস্যাটি শুরু হয়।
তাহসান তখন ভক্তদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘যত দিন যাচ্ছে আমার গান গাওয়ার সক্ষমতাও কমছে। যদি কোনোদিন দেখেন আমি কনসার্ট বা লাইভ শো কমিয়ে দিয়েছি, বুঝবেন সমস্যাটা বেড়েছে। তখন আমার জন্য দোয়া করবেন।’
নিজের এই অসুস্থতা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে আরও বলেছিলেন, ‘এমন অনেকবারই হয়েছে, সাধারণত আমি যেভাবে কনসার্টে পারফর্ম করি সেভাবে করতে পারিনি অসুস্থতার জন্য। তবে আমি সত্যি সৌভাগ্যবান। এতে শ্রোতাদের ভালোবাসা কখনও কমেনি দেখেছি।’
তাহসান খান ১৯৯৯ সালে ‘ব্ল্যাক’ ব্যান্ডের মাধ্যমে সংগীতে পথচলা শুরু করেন। ব্ল্যাকের প্রথম অ্যালবাম ‘ছাড়পত্র’ বাজারে আসে ২০০১ সালে। ব্যান্ডে থাকাকালেই ২০০৪ সালে বাজারে আসে তাহসানের প্রথম একক অ্যালবাম ‘কথোপকথন’। তাহসানের ভাষায়, এখান থেকেই শুরু হয় তাঁর গানের দ্বিতীয় অধ্যায়। এরপর তিনি ব্ল্যাক ছেড়ে দেন।
সে সময় তাহসান প্রতি বছর নতুন একক অ্যালবাম নিয়ে হাজির হতেন। কথোপকথন-এর ‘দূরে তুমি দাঁড়িয়ে’ ও ‘ঈর্ষা’ গানগুলো ছড়িয়ে পড়েছিল শহুরে তরুণদের মুখে মুখে। ২০০৫ সাল মুক্তি পায় ‘কৃত্যদাসের নির্বাণ’। এই অ্যালবামের ‘প্রেমাতাল’ গানটি জনপ্রিয় হয়। তবে পরের বছর ‘ইচ্ছে’ অ্যালবামের আলো গানই তাঁকে পৌঁছে দেয় আরও বৃহৎ শ্রোতামহলে।
২০০৮ সালে তাহসান স্কলারশিপ নিয়ে দেশের বাইরে চলে যান। ফিরে আসেন ২০১১ সালে। এরপর গানের পাশাপাশি পা রাখেন অভিনয়ে। মোট সাতটি একক অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন তিনি, সর্বশেষ অ্যালবাম বের হয়েছিল ২০১৭ সালে।
পরবর্তী সময়ে কনসার্ট পারফরম্যান্সের জন্য তিনি গড়ে তোলেন ব্যান্ড ‘তাহসান অ্যান্ড দ্য সুফিজ’। সাম্প্রতিক সময়ে ‘তাহসান অ্যান্ড দ্য ব্যান্ড’ নামে বিভিন্ন কনসার্টে পারফর্ম করতে দেখা যেত তাঁকে।
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান হঠাৎ করেই মিউজিক ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন। সংগীতজীবনের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় কনসার্ট ট্যুরে আছেন।
গত ৬ সেপ্টেম্বর অ্যাডিলেডে প্রথম কনসার্টের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘তাহসান অ্যান্ড দ্য ব্যান্ড’-এর অস্ট্রেলিয়া সফর। এরপর ৭ সেপ্টেম্বর ব্রিসবেন, ১৩ সেপ্টেম্বর সিডনি ও ২০ সেপ্টেম্বর মেলবোর্নে গান পরিবেশন করেন তিনি। ২৭ সেপ্টেম্বর পার্থে হওয়ার কথা এই সফরের শেষ কনসার্টটি।
কিন্তু মেলবোর্নের কনসার্টে গান শুরু করার আগে ভক্তদের চমকে দেন তাহসান। তিনি বলেন, ‘অনেক জায়গায় লেখালেখি হচ্ছে যে, এটা আমার লাস্ট কনসার্ট। আসলে লাস্ট কনসার্ট নয়, লাস্ট ট্যুর। আস্তে আস্তে মিউজিক ক্যারিয়ারটা হয়তো ইতি টানব।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতেও দেখা যায়, স্টেজে দাঁড়িয়ে ভক্তদের উদ্দেশে তাহসান বলছেন, ‘এটা ন্যাচারাল। সারাজীবন কি এভাবে মঞ্চে দাঁড়িয়ে লাফালাফি করা যায়! মেয়ে বড় হয়ে যাচ্ছে, এখন যদি মঞ্চে দাঁড়িয়ে গাই “দূরে তুমি দাঁড়িয়ে”, দেখতে কেমন লাগে।’
একই সঙ্গে তাহসান নিজের সব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টও ডিঅ্যাক্টিভ করেছেন। তাঁর ফেসবুক পেজে অনুসারীর সংখ্যা ছিল প্রায় এক কোটি। আর ইনস্টাগ্রামে ৩৫ লাখের বেশি
এর আগে অভিনয় থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন তাহসান। গত বছর তিনি বলেছিলেন, ‘বিগত ২০ বছর ধরে কাজ করছি আমি। নিজেকেই নিজের বিরতি নিতে হয়। যারা আমাকে ভালোবাসে, আমার কাজ ভালো লেগেছে বলেই ভালোবাসেন। যখন মনে হয় কাজ একঘেয়েমি হয়ে যাচ্ছে, খুব একটা ভালো কাজ হচ্ছে না, তখন নিজেকেই থামিয়ে দিতে হয়।’
সংগীত থেকেও অবসর নেবেন কি না, তখন এই প্রশ্নের উত্তরে তাহসান খান জানিয়েছিলেন, তিনি দুটি কারণে গান চালিয়ে যেতে চান। তাঁর কথায় ‘মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যেতে অথবা একটু আনন্দ দিতে। যে কোনো ক্ষেত্রেই গান কিন্তু অসাধারণ ভূমিকা রাখে। আপনি যদি পাশ্চাত্যর গানের ধরন দেখেন একটা সময় শুধু ইংরেজি ভাষার মানুষেরা সবার কাছে পৌঁছাত। একটা সময় ল্যাটিন, কোরিয়ান ও আফ্রিকান ভাষায় যারা গান করেছে তারা আবার সবার কাছে পৌঁছায়। কখন কোন ভাষার গান সারা পৃথিবীর মানুষ লুফে নিবে সেটা আমরা জানি না।’
সংগীত থেকে থেকে ধীরে ধীরে সরে আসার পেছনে তাহসানের শারীরিক সমস্যাও বড় কারণ। ২০২৪ সালের জুন মাসে নিজের প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘বাজি’ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাহসান জানিয়েছিলেন, দীর্ঘদিন ধরে কণ্ঠনালির সমস্যায় ভুগছেন তিনি। তাঁর কণ্ঠনালিতে হেটেরোটোপিয়া নামের একটি রোগ ধরা পড়েছে। এতে গলার কাঠামো বদলে যায়, গান গাওয়ার আগ্রহ ও সক্ষমতা কমে আসে। ২০১৮ সাল থেকেই সমস্যাটি শুরু হয়।
তাহসান তখন ভক্তদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘যত দিন যাচ্ছে আমার গান গাওয়ার সক্ষমতাও কমছে। যদি কোনোদিন দেখেন আমি কনসার্ট বা লাইভ শো কমিয়ে দিয়েছি, বুঝবেন সমস্যাটা বেড়েছে। তখন আমার জন্য দোয়া করবেন।’
নিজের এই অসুস্থতা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে আরও বলেছিলেন, ‘এমন অনেকবারই হয়েছে, সাধারণত আমি যেভাবে কনসার্টে পারফর্ম করি সেভাবে করতে পারিনি অসুস্থতার জন্য। তবে আমি সত্যি সৌভাগ্যবান। এতে শ্রোতাদের ভালোবাসা কখনও কমেনি দেখেছি।’
তাহসান খান ১৯৯৯ সালে ‘ব্ল্যাক’ ব্যান্ডের মাধ্যমে সংগীতে পথচলা শুরু করেন। ব্ল্যাকের প্রথম অ্যালবাম ‘ছাড়পত্র’ বাজারে আসে ২০০১ সালে। ব্যান্ডে থাকাকালেই ২০০৪ সালে বাজারে আসে তাহসানের প্রথম একক অ্যালবাম ‘কথোপকথন’। তাহসানের ভাষায়, এখান থেকেই শুরু হয় তাঁর গানের দ্বিতীয় অধ্যায়। এরপর তিনি ব্ল্যাক ছেড়ে দেন।
সে সময় তাহসান প্রতি বছর নতুন একক অ্যালবাম নিয়ে হাজির হতেন। কথোপকথন-এর ‘দূরে তুমি দাঁড়িয়ে’ ও ‘ঈর্ষা’ গানগুলো ছড়িয়ে পড়েছিল শহুরে তরুণদের মুখে মুখে। ২০০৫ সাল মুক্তি পায় ‘কৃত্যদাসের নির্বাণ’। এই অ্যালবামের ‘প্রেমাতাল’ গানটি জনপ্রিয় হয়। তবে পরের বছর ‘ইচ্ছে’ অ্যালবামের আলো গানই তাঁকে পৌঁছে দেয় আরও বৃহৎ শ্রোতামহলে।
২০০৮ সালে তাহসান স্কলারশিপ নিয়ে দেশের বাইরে চলে যান। ফিরে আসেন ২০১১ সালে। এরপর গানের পাশাপাশি পা রাখেন অভিনয়ে। মোট সাতটি একক অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন তিনি, সর্বশেষ অ্যালবাম বের হয়েছিল ২০১৭ সালে।
পরবর্তী সময়ে কনসার্ট পারফরম্যান্সের জন্য তিনি গড়ে তোলেন ব্যান্ড ‘তাহসান অ্যান্ড দ্য সুফিজ’। সাম্প্রতিক সময়ে ‘তাহসান অ্যান্ড দ্য ব্যান্ড’ নামে বিভিন্ন কনসার্টে পারফর্ম করতে দেখা যেত তাঁকে।
আজ বিশ্ব শান্তি দিবস। দিনটি পালিত হয় স্লোগান, কবুতর আর বক্তৃতায় ভরপুর এক উৎসব হিসেবে। অথচ পৃথিবী জুড়ে চলছে যুদ্ধ, দখল, অস্ত্র ব্যবসা আর উদ্বাস্তু মানুষের হাহাকার। শান্তির নাম এখন বিজ্ঞাপন, শান্তির আকাঙ্ক্ষা এখন বসে থাকে অস্ত্র কেনার বাজেটের পাশে। রাজনীতি মেলে পলিটিক্সের সাথে ঠিকই, কিন্তু শান্তি মেলে
২১ ঘণ্টা আগেআজ কিংবদন্তি কবি, গীতিকার ও গায়ক লিওনার্দ কোহেনের জন্মদিন। কীভাবে গান করেন কোহেন? কেন আজও প্রতি প্রজন্মের সময় কাটে কোহেন শুনে? ‘ফেমাস ব্লু রেইনকোট’, ‘সুজান’, ‘ড্যান্স মি টু দ্য এন্ড অব লাভ’, ‘হালেলুই’-এর মতো গানের শক্তি কী?
১ দিন আগেপাকিস্তানের জনপ্রিয় টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হানিয়া আমির ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকায় পৌঁছান। শুক্রবার দুপুরে নিজের ফেসবুকে ছবি শেয়ার করে ঢাকায় থাকার খবর জানান দেন, সঙ্গে দেন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পতাকার ইমোজি। এর আগে সানসিল্ক বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে হানিয়ার একটি ভিডিও প্রকাশ হয়।
১ দিন আগেসাত বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট ম্যাচ মানেই যেন বাড়তি রোমাঞ্চ, বাড়তি উত্তাপ। কোনো কোনো সময়ে সেই লড়াই হয়ে ওঠে বিব্রতকর, কখনো-বা তিক্ততায় ভরা। ২২ গজে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার দ্বৈরথ এখন আর স্রেফ মাঠের খেলা নয়, বরং একধরনের আবেগ আর ক্রিকেট নাটকীয়তার নতুন অধ্যায়।
২ দিন আগে