leadT1ad

ফিদেল কাস্ত্রোর চিকিৎসাবিপ্লব ও ২০০ টাকায় এক মাসের রেশন

প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৪২
স্ট্রিম গ্রাফিক

ভাবুন তো—২০০ থেকে ২৫০ টাকার সমপরিমাণ খরচে যদি একজন মানুষের পুরো এক মাসের খাদ্য নিশ্চিত হয়! তাহলে কেমন হয়? যেখানে আমাদের দেশের বাস্তবতায় এক কেজি চালের দামই ৭০–৮০ টাকা। সেখানে পুরো মাসের খাবার পাওয়া যেন রূপকথার গল্প।

কিন্তু এই রূপকথাই বাস্তব কিউবায়। ফিদেল কাস্ত্রোর গড়া সেই সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রে। আজ ২৫ নভেম্বর, তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে তাই প্রশ্ন জাগে—কীভাবে একটি ছোট দ্বীপরাষ্ট্র আমেরিকার কঠোর অবরোধের মধ্যেও নিশ্চিত করল যে কোনো মানুষ ক্ষুধার কারণে মারা যাবে না? কীভাবে সম্ভব হলো নামমাত্র মূল্যে রেশন, যা ২০০–২৫০ টাকার সমান খরচে এক মাস টিকে থাকার গ্যারান্টি দেয়?

ফিদেল কাস্ত্রো রাজনৈতিক বিতর্কের বাইরে রেখে গেছেন এমন এক মডেল, যেখানে রাষ্ট্র নাগরিককে বলে—
‘তুমি বিলাসিতায় না ভাসলেও, ক্ষুধা বা চিকিৎসাহীন মৃত্যু তোমার ভাগ্যে থাকবে না।’

আজ তাঁর স্মরণে আমরা ফিরে দেখি সেই কিউবা—যেখানে রেশন কার্ড মানে শুধু খাবার নয়, মানুষের প্রতি রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি; যেখানে ডাক্তার মানে শুধু হাসপাতালের পেশাজীবী নয়, বরং জনগণের সহযোদ্ধা।

লিবেতা: ক্ষুধার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের গ্যারান্টি

১৯৫৯ সালের বিপ্লবের পর ফিদেলের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়া। আমেরিকার কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ বা ‘এমবার্গো’র কারণে কিউবা বিশ্ববাণিজ্য থেকে একরকম বিচ্ছিন্ন। কিন্তু দমে যাননি ফিদেল। ১৯৬২ সালে তিনি চালু করলেন এক অভিনব খাদ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা— যার নাম ‘লিবেতা দে আবস্তেসিমিয়েন্তো’ বা সাপ্লাই বুকলেট। আমাদের ভাষায় যাকে বলি রেশন কার্ড।

কিউবার প্রতিটি পরিবারকে একটি করে লোকাল সাপ্লাই স্টোর বা ‘বদেগা’য় নিবন্ধন করতে হয়। প্রতি মাসের শুরুতে রাষ্ট্র প্রতিটি নাগরিকের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার নামমাত্র মূল্যে বা প্রায় বিনামূল্যে নিশ্চিত করে।

ফিদেল কাস্ত্রো। সংগৃহীত ছবি
ফিদেল কাস্ত্রো। সংগৃহীত ছবি

কী থাকে এই রেশনে

যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে রেশনের পরিমাণে কমবেশি হয়েছে, তবুও একজন কিউবান নাগরিকের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক খাবার রাষ্ট্র নিশ্চিত করে। বিভিন্ন তথ্যসূত্র ও পরিসংখ্যান (২০১৬-২০১৭ সালের সময়কাল) অনুযায়ী, একজন নাগরিকের মাসিক রেশনে সাধারণত যা যা থাকে:

চাল: প্রায় ৩ থেকে ৪ কেজি (৭ পাউন্ডের মতো)। কিউবানদের প্রধান খাদ্য ভাত, তাই এটি অপরিহার্য।

চিনি: প্রায় ১.৫ থেকে ২ কেজি (সাদা ও লাল চিনি মিলিয়ে)।

ডাল/বিনস: প্রোটিনের উৎস হিসেবে কালো বা লাল বিনস (প্রায় ৫০০-৬০০ গ্রাম)।

তেল: রান্নার জন্য ২৫০ মিলি থেকে আধা লিটার সয়াবিন তেল।

ডিম: মাসে জনপ্রতি ৫ থেকে ১২টি (সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে)।

মাংস/প্রোটিন: মুরগি, মাছ বা প্রক্রিয়াজাত মাংসের মিশ্রণ (হ্যাম/সসেজ)। পরিমাণটি অনির্দিষ্ট হলেও মাসে কয়েকবার এটি দেওয়া হয়।

লবণ ও কফি: প্রতি তিন মাসে লবণের প্যাকেট এবং কফিপ্রেমি কিউবানদের জন্য মাসিক ১ প্যাকেট কফি।

রুটি: এটি কিউবার রেশনের অন্যতম আইকনিক বিষয়। প্রতিটি নাগরিকের জন্য প্রতিদিন একটি করে ছোট বনরুটি (ব্রেড রোল) বরাদ্দ থাকে, যা সকালে স্থানীয় বেকারি থেকে সংগ্রহ করা যায়।

বিশেষ সুবিধা:

সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার সৌন্দর্য হলো এর মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি। রেশনে সবার জন্য সমান বরাদ্দ থাকলেও, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের জন্য রয়েছে বাড়তি ব্যবস্থা:

শিশু: ৭ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য প্রতিদিন ১ লিটার দুধ বাধ্যতামূলক। রাষ্ট্র নিশ্চিত করে যে, কিউবার কোনো শিশু যেন দুধের অভাবে অপুষ্টিতে না ভোগে।

গর্ভবতী নারী ও বয়স্ক: চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের জন্য অতিরিক্ত পুষ্টিকর খাবার, বিশেষ ডায়েট বা মাংস বরাদ্দ করা হয়।

কিউবায় বর্তমানে প্রতি ১০০০ জন মানুষের জন্য প্রায় ৯ জন ডাক্তার আছেন (সূত্রভেদে ডাক্তার-রোগী অনুপাত ১:১৫০ এর কাছাকাছি)। তুলনাটা বুঝুন— বাংলাদেশে প্রতি ১২০০-১৫০০ মানুষের জন্য যেখানে ১ জন ডাক্তার জুটতে কষ্ট হয়, সেখানে কিউবায় একটা মাঝারি সাইজের অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের জন্য একজন করে ফ্যামিলি ডক্টর বরাদ্দ আছে!

খরচ কত

শুনলে হয়তো বিশ্বাস হবে না, কিন্তু এই পুরো মাসের রেশন তুলতে একজন কিউবান নাগরিকের খরচ হয় ২ ডলারেরও কম (বাংলাদেশি টাকায় ২০০-২৫০ টাকার মতো)। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। যেখানে আমাদের দেশে এক কেজি ভালো চালের দামই ৭০-৮০ টাকা, সেখানে কিউবায় পুরো মাসের মৌলিক বাজার খরচ হয় নামমাত্র মূল্যে।

অবশ্যই, এই রেশনে বিলাসিতা নেই। এতে হয়তো কোনমতে পেট ভরে, কিন্তু মন ভরে না। এর বাইরেও মানুষকে খোলা বাজার থেকে চড়া দামে পণ্য কিনতে হয়। কিন্তু ফিদেলের কিউবা যেটা নিশ্চিত করেছে তা হলো— সবাই মিলে টিকে থাকা। পকেটে টাকা না থাকলেও কিউবার কোনো মানুষ না খেয়ে মারা যাবে না। এটিই ছিল ফিদেলের প্রতিশ্রুতি।

সাদা কোট পরা সেনাবাহিনী: কিউবার চিকিৎসা বিপ্লব

খাদ্যের পরেই আসে চিকিৎসা। আর এখানেই কিউবা সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে যে, স্বাস্থ্যসেবা কোনো ‘পণ্য’ নয়, এটি মানুষের জন্মগত ‘অধিকার’। ১৯৭৬ সালের কিউবান সংবিধানের ৫০ নম্বর ধারায় স্বাস্থ্যসেবাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাগজে-কলমে স্বীকৃতির চেয়েও বড় হলো বাস্তবের চিত্র।

কিউবায় বর্তমানে প্রতি ১০০০ জন মানুষের জন্য প্রায় ৯ জন ডাক্তার আছেন (সূত্রভেদে ডাক্তার-রোগী অনুপাত ১:১৫০ এর কাছাকাছি)। তুলনাটা বুঝুন— বাংলাদেশে প্রতি ১২০০-১৫০০ মানুষের জন্য যেখানে ১ জন ডাক্তার জুটতে কষ্ট হয়, সেখানে কিউবায় একটা মাঝারি সাইজের অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের জন্য একজন করে ফ্যামিলি ডক্টর বরাদ্দ আছে!

কিউবার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মূল মন্ত্র হলো— ‘প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম।’

সেখানে ‘ফ্যামিলি ডক্টর’ কনসেপ্ট চালু আছে। ডাক্তারেরা হাসপাতালের এসি রুমে বসে থাকেন না। তাঁদের দায়িত্ব হলো নির্দিষ্ট এলাকার প্রতিটি পরিবারের খোঁজ রাখা। বছরে অন্তত একবার বা দুবার ডাক্তাররা নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। কোথাও মশা জন্মাচ্ছে কি না, পরিবারের কারো ডায়াবেটিস বাড়ছে কি না, মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা কেমন— সবকিছুর রেকর্ড থাকে তাদের কাছে। ফলে রোগ হওয়ার আগেই তা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।

ফিদেল কাস্ত্রো। সংগৃহীত ছবি
ফিদেল কাস্ত্রো। সংগৃহীত ছবি

আমেরিকার নাকের ডগায় বসে, অর্থনৈতিক অবরোধ সহ্য করেও কিউবার স্বাস্থ্যখাতের অর্জন উন্নত বিশ্বকেও লজ্জা দেবে:

গড় আয়ু: কিউবার মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭৮-৭৯ বছর, যা আমেরিকার সমান বা কখনো কখনো বেশি।

নবজাতক মৃত্যুহার: প্রতি ১০০০ জন্মে মাত্র ৪.২ জন (২০১২-১৬ সালের তথ্যমতে), যা আমেরিকা বা ব্রিটেনের চেয়েও ভালো। অথচ আমাদের দেশে বা এই অঞ্চলে এই সংখ্যাটি এখনো উদ্বেগজনক।

অপারেশন মিরাকল ও সাদা কোটের কূটনীতি

ফিদেল কাস্ত্রো বলতেন, ‘আমরা বোমা ফেলি না, আমরা ডাক্তার পাঠাই।’ কিউবা তাদের এই বিশাল ডাক্তার বাহিনীকে বিশ্বের কল্যাণে ব্যবহার করেছে। একে বলা হয় ‘ডাক্তারি কূটনীতি’।

২০০৫ সালে ভেনিজুয়েলার সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে কিউবা প্রায় ৩০ হাজার ডাক্তার পাঠায়। বিনিময়ে ভেনিজুয়েলা দেয় তেল। কিন্তু লাভটা হয় সাধারণ মানুষের। কিউবার ডাক্তাররা বিনামূল্যে ল্যাটিন আমেরিকার লাখ লাখ গরিব মানুষের চোখের ছানি অপারেশন করে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেন। ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষ এই প্রকল্পের মাধ্যমে পৃথিবীর আলো পুনরায় দেখতে পেয়েছে।

পাকিস্তানের ভূমিকম্প, হাইতির কলেরা কিংবা পশ্চিম আফ্রিকার ইবোলা মহামারী— সবার আগে ছুটে গেছে কিউবার ‘হেনরি রিভ ব্রিগেড’। এমনকি তাদের চরম শত্রু আমেরিকায় যখন হারিকেন ক্যাটরিনা আঘাত হানে, তখন ফিদেল ১৫০০ ডাক্তার পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যদিও আমেরিকা ঔদ্ধত্য দেখিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করে।

কিউবা শুধু প্রাথমিক চিকিৎসাতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। তারা লাং ক্যান্সার এবং মেনিঞ্জাইটিসের মতো রোগের টিকা আবিষ্কার করেছে। বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ২০-৩০ হাজার মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কিউবায় যায় শুধুমাত্র চিকিৎসার জন্য। কারণ? আমেরিকার ১০ ভাগের ১ ভাগ খরচে সেখানে বিশ্বমানের চিকিৎসা পাওয়া যায়।

আজ ফিদেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে কিউবার সেই রেশন কার্ডের চাল কিংবা পাড়ার ক্লিনিকের ডাক্তার হয়তো আমাদের কাছে রূপকথার মতো মনে হতে পারে। কিন্তু এই রূপকথাটা সত্য। আটলান্টিকের পাড়ে এক ছোট্ট দ্বীপে মানুষ এটা করে দেখিয়েছে।

ফিদেল কাস্ত্রো আজ নেই। তাঁর সমালোচনা করার মতো অনেক বিষয় হয়তো আছে— বাকস্বাধীনতার অভাব, একদলীয় শাসন, অর্থনৈতিক স্থবিরতা। কিন্তু ৯০ বছরের এক বৃদ্ধ যখন মারা যান, তখন কিউবার একজন দরিদ্র মা বা একজন কৃষক চোখের জল ফেলেন। কেন? কারণ ওই মা জানেন, তার সন্তানের দুধের বোতলটা রাষ্ট্র নিশ্চিত করেছে। ওই কৃষক জানেন, তার বুকে ব্যথা হলে চিকিৎসার জন্য জমি বিক্রি করতে হবে না।

আমাদের বাংলাদেশের দিকে তাকালে বুকটা কি একটু কেঁপে ওঠে না?

আমাদের সংবিধানেও ১৫ অনুচ্ছেদে অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের কথা বলা আছে। ১৯৭১ সালে আমরাও এক সামাজিক সাম্যের স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। কিন্তু আজ?

আজ আমাদের দেশে শিক্ষার হার বেড়েছে, কিন্তু শিক্ষা কি পণ্য হয়নি? স্কুল-কলেজের ফি আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফির চাপে মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস ওঠে।

চিকিৎসার কথা তো বলাই বাহুল্য। সরকারি হাসপাতালে বেড পাওয়া যেন লটারি জেতার মতো। আর বেসরকারি হাসপাতাল? সেখানে ঢুকলে সর্বস্বান্ত না হয়ে বের হওয়া কঠিন। আইসিইউ-এর বিল মেটাতে গিয়ে কত পরিবার যে রাস্তায় বসে গেছে, তার ইয়ত্তা নেই। আমাদের এখানে টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মানুষ মারা যাওয়াটা কোনো ‘নিউজ’ নয়, ওটা রোজকার ঘটনা।

ফিদেল আমাদের দেখিয়ে গেছেন, জিডিপি বা মাথাপিছু আয়ের আকাশচুম্বী পরিসংখ্যান দিয়ে মানুষের উন্নয়ন মাপা যায় না। উন্নয়ন মানে হলো— রাতে ঘুমানোর আগে একজন নাগরিকের এই নিশ্চিন্ত বোধ থাকা যে, ‘কাল সকালে আমার বাচ্চার খাবারটা ঘরে আছে’ এবং ‘আমার অসুখ হলে রাষ্ট্র আমাকে দেখবে।’

আজ ফিদেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে কিউবার সেই রেশন কার্ডের চাল কিংবা পাড়ার ক্লিনিকের ডাক্তার হয়তো আমাদের কাছে রূপকথার মতো মনে হতে পারে। কিন্তু এই রূপকথাটা সত্য। আটলান্টিকের পাড়ে এক ছোট্ট দ্বীপে মানুষ এটা করে দেখিয়েছে।

আমাদের দেশেও কি এমন দিন আসবে? যেদিন কোনো বৃদ্ধ বাবাকে টাকার অভাবে হাসপাতাল থেকে ফিরে আসতে হবে না? যেদিন কোনো পথশিশুকে ডাস্টবিনের খাবার কুড়িয়ে খেতে হবে না? সারা মাসের রেশন কাঁধে নিয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফিরবে এদেশের খেটে খাওয়া মানুষ?

স্বপ্ন দেখতে দোষ কি? ফিদেল তো স্বপ্নই দেখিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘বিপ্লব কোনো ফুলের বিছানা নয়, এটি ভবিষ্যতের জন্য বর্তমানের লড়াই।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত