লোকটা ছিল একেবারে ওজি মিনিমালিস্ট ইনফ্লুয়েন্সার। বাড়ি-ঘর নাই, ধনসম্পদ নাই, গ্ল্যামার নাই। সে মানি হাইস্ট-এর বার্লিনের মতো ক্ষমতালোভী নয়, বরং এমন এক অ্যান্টি-হিরো, যে সবার নজর কাড়ে কিন্তু কারো ধনরত্ন কাড়ে না। আপোষহীন, প্রথাভাঙা এই দার্শনিককে নিয়েই এই লেখা।
সৈকত আমীন
২৩০০ বছর আগের কথা। মেসিডোনিয়ার যুবরাজ আলেকজান্ডার তখন পৃথিবী জয় করার প্ল্যান নিয়ে দিনরাত ঘুরে বেড়াচ্ছে। একেবারে গেম অব থ্রোনস-এর খলখলানো ড্রাগনের মতো জৌলুসে ভরপুর। সেনাপতি, দার্শনিক, কবি থেকে শুরু করে পণ্ডিত সবাই তাকে তোয়াজ করে চলে। গ্রিক নগররাজ্যগুলো তার নাম শুনেই সম্মোহিত হয়ে যায়।
কিন্তু একজন মানুষ ছিলেন, যিনি আলেকজান্ডারকে দেখেও গুগল মিট-এর ‘লিভ মিটিং’ বাটনে চাপার মতো ফ্লেক্স নিতেন। তিনি চোখে চোখ রেখে কথা বলতেন, নো ফিল্টার, নো চিল। নাম তার ডায়োজেনিস।
লোকটা ছিল একেবারে ওজি মিনিমালিস্ট ইনফ্লুয়েন্সার। বাড়ি-ঘর নাই, ধনসম্পদ নাই, গ্ল্যামার নাই। সে মানি হাইস্ট-এর বার্লিনের মতো ক্ষমতালোভী নয়, বরং এমন এক অ্যান্টি-হিরো, যে সবার নজর কাড়ে কিন্তু কারো ধনরত্ন কাড়ে না। এথেন্স শহরের রোদে কাঁধে ছেঁড়া চাদর, হাতে মাটির পাত্র—এই ছিল তার স্টাইল স্টেটমেন্ট।
একদিন খবর এলো, আলেকজান্ডার নিজেই ডায়োজেনিসকে দেখতে আসছেন। ভাবুন, ব্ল্যাক প্যান্থার-এর ওয়াকান্ডা-লেভেল রাজকীয় এন্ট্রি। সেনা-দল, দাস-দাসী, উজ্জ্বল বর্ম, একেবারে বাহুবলি-র ক্যারাভান।
ডায়োজেনিস তখন দিব্যি রোদে বসে গা এলাচ্ছিলেন, দুনিয়ার কোনো টেনশন ছাড়া।
আলেকজান্ডার তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে বললেন—‘আমি আলেকজান্ডার, তোমার জন্য কী করতে পারি?’
এখানে অন্য কেউ হলে হুট করে সহমত ভাইয়ের মতো সেলফি তুলতে উঠে দাঁড়াত। কিন্তু ডায়োজেনিস? তিনি আলেকজান্ডারকে উত্তর দিলেন— ‘একটা কাজ করো। সামনে থেকে সরে দাঁড়াও। তুমি সূর্যের আলো আটকাচ্ছ। যা তুমি দিতে পারবে না।‘
পুরো রাজকীয় এনটুরাজ হতভম্ব। সৈন্যরা চুপ। আলেকজান্ডার নিজেও একরকম প্লট টুইস্ট খেলেন। তিনি হেসে বললেন—
‘যদি আমি আলেকজান্ডার না হতাম, তবে আমি ডায়োজেনিস হতে চাইতাম।‘
একদিকে মহাজাগতকে জয় করতে চাওয়া যুবরাজ, অন্যদিকে হাতে কিছু নাই অথচ অন্তরে পূর্ণ স্বাধীন দার্শনিক। ডায়োজেনিস শিখিয়েছিলেন—রাজত্ব মানে গোল্ড, ডায়মন্ড বা প্রাসাদ নয়; রাজত্ব হলো নিজের উইশলিস্ট কে জয় করার ক্ষমতা।
একবার আলেকজান্ডার শুনলেন, ডায়োজেনিস নাকি তাকে একটুও ভয় পাননা। শুনেই ছুটে আলেকজান্ডার গেলেন কেজিএফ স্টাইলে। ডায়োজেনিসের সামনে গিয়ে গর্জে উঠলেন—
‘তুমি কি আমাকে ভয় পাও না?’
ডায়োজেনিস: ‘তুমি কে, যে তোমাকে ভয় পাব?’
আলেকজান্ডার: ‘আমি আলেকজান্ডার, দ্য কিং অব দ্য ওয়ার্ল্ড।’
ডায়োজেনিস: ‘আর আমি ডায়োজেনিস, দ্য ডগ অব দ্য ওয়ার্ল্ড। এখন বলো, কার অবস্থান বেশি স্বাধীন?’
পুরো দৃশ্যটা যেন পিকি ব্লাইন্ডার্স-এর টমি শেলবি আর এক ভিখারির ফেস-অফ। কে বেশি ক্ষমতাবান? যার হাতে বন্দুক, নাকি যার কিছু হারানোর নেই?
ডায়োজেনিসের কোনো সম্পদ ছিল না। একদিন লোকেরা জিজ্ঞেস করল, ‘মরলে তোমার কবর কোথায় হবে?’
ডায়োজেনিস একেবারে মিম লর্ড মোডে উত্তর দিলেন—‘কবর দিতে হবে না, রাস্তায় ফেলে দিও। কুকুর এসে খেয়ে নেবে।‘
লোকেরা অবাক হয়ে বলল, 'তাহলে তো শরীর ছিঁড়ে যাবে!’
ডায়োজেনিস জোকার মুভির সাইকো লাফটার ভাইবে হেসে বললেন— ‘মরার পর আমি কি আমার শরীরে থাকব? যদি মনে করো থাকব, তবে একটা লাঠি রেখো পাশে, যেন কুকুর তাড়াতে পারি।’
ডায়োজেনিসের এই লিজেন্ডারি দুঃসাহসিকতা এসেছে সিনিসিজম নামের দর্শন থেকে। আর এই দর্শনের নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘কাইনোকস’ থেকে, যার মানে কুকুরের মতো জীবন। এই দার্শনিক ধারার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সক্রেটিসের শিষ্য অ্যান্টিসথেনিস। কিন্তু এ দর্শনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়ে গিয়েছিলেন ডায়োজেনিস। তাদের শিক্ষা ছিল:
ডায়োজেনিস এতটাই মিনিমালিস্ট ছিলেন যে একদিন মাটির বাটি ভেঙে ফেললেন, যখন দেখলেন শিশু হাত দিয়েই পানি খাচ্ছে। তিনি দিনে-দুপুরে হাতে লণ্ঠন নিয়ে বের হতেন। লোকে জিজ্ঞেস করত 'কেন?’ তিনি বলতেন, ‘মানুষ খুঁজছি।‘ যেন আজকের দিনে কেউ রেডিট-এ মিম পোস্ট করে লিখছে—'রিয়েল হিউম্যানস আর এক্সটিঙ্কট, এনপিসিএভরিহোয়ার’।
সিনিকরা আসলে ছিল স্ট্যান্ড-আপ কমিক আর পলিটিক্যাল কার্টুনিস্ট-এর প্রাচীন ভার্সন। নির্লজ্জভাবে সত্য বলত, ব্যঙ্গ করত, ভণ্ডামি এক্সপোজ করত।
এখনকার পৃথিবী যেন একেবারে শপিং ফেস্টিভাল সিমুলেটর। আমাদের চারপাশে বিজ্ঞাপন, ব্র্যান্ড, সোশ্যাল মিডিয়ার ফ্লেক্স। সিনিসিজম মনে করিয়ে দেয়, সুখ লুকিয়ে থাকে আসলে সরলতায়। আজকের মিনিমালিজম বা ডাউনশিফটিং ট্রেন্ড, নেটফ্লিক্স ডকুমেন্টারি থেকে শুরু করে ইনস্টাগ্রাম এস্থেটিক, সব আসলে সিনিসিজমেরই নতুন সংস্করণ।
সিনিকরা বলেছিল, ‘রাজা যত বড়ই হোক, সূর্যের আলো আটকানোর ক্ষমতা তাঁরা রাখে না।’
আজকের প্রজন্ম বলছে,‘রাষ্ট্র যতই শক্তিশালী হোক, ফ্রি এয়ার, ফ্রি মিম আর মানুষের স্বাধীনতা আটকানোর ক্ষমতা তাঁরা রাখে না।’
রাজনীতি, ব্যঙ্গ, স্ট্যান্ড-আপ কমেডি, মিম কালচার, সবখানেই এখন দেখা যায় সিনিসিজমের ছাপ। আজকের ভির দাস, হাসান মিনহাজ, বা আমাদের কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর আসলে একেকজন আধুনিক ডায়োজেনিস।
সিনিসিজম শেখায়, যার কিছুই নেই, তাকে কেউ কিনতে পারে না।
এটা ঠিক যেন বোজ্যাক হর্সম্যান-এর সেই ডায়ালগের মতো, ‘ইউ ক্যান্ট কিল মি, আই’ম অলরেডি ডেড ইনসাইড।‘
ডায়োজেনিস আলেকজান্ডারকে শিক্ষা দিয়েছিলেন— পৃথিবী জয় বড় ব্যাপার নয়। নিজের ইচ্ছাকে জয় করাই আসল বিজয়। আজকের দিনে, ভোগবাদী দুনিয়ার মধ্যে এটাই সবচেয়ে হার্ডকোর লাইফ হ্যাক।
২৩০০ বছর আগের কথা। মেসিডোনিয়ার যুবরাজ আলেকজান্ডার তখন পৃথিবী জয় করার প্ল্যান নিয়ে দিনরাত ঘুরে বেড়াচ্ছে। একেবারে গেম অব থ্রোনস-এর খলখলানো ড্রাগনের মতো জৌলুসে ভরপুর। সেনাপতি, দার্শনিক, কবি থেকে শুরু করে পণ্ডিত সবাই তাকে তোয়াজ করে চলে। গ্রিক নগররাজ্যগুলো তার নাম শুনেই সম্মোহিত হয়ে যায়।
কিন্তু একজন মানুষ ছিলেন, যিনি আলেকজান্ডারকে দেখেও গুগল মিট-এর ‘লিভ মিটিং’ বাটনে চাপার মতো ফ্লেক্স নিতেন। তিনি চোখে চোখ রেখে কথা বলতেন, নো ফিল্টার, নো চিল। নাম তার ডায়োজেনিস।
লোকটা ছিল একেবারে ওজি মিনিমালিস্ট ইনফ্লুয়েন্সার। বাড়ি-ঘর নাই, ধনসম্পদ নাই, গ্ল্যামার নাই। সে মানি হাইস্ট-এর বার্লিনের মতো ক্ষমতালোভী নয়, বরং এমন এক অ্যান্টি-হিরো, যে সবার নজর কাড়ে কিন্তু কারো ধনরত্ন কাড়ে না। এথেন্স শহরের রোদে কাঁধে ছেঁড়া চাদর, হাতে মাটির পাত্র—এই ছিল তার স্টাইল স্টেটমেন্ট।
একদিন খবর এলো, আলেকজান্ডার নিজেই ডায়োজেনিসকে দেখতে আসছেন। ভাবুন, ব্ল্যাক প্যান্থার-এর ওয়াকান্ডা-লেভেল রাজকীয় এন্ট্রি। সেনা-দল, দাস-দাসী, উজ্জ্বল বর্ম, একেবারে বাহুবলি-র ক্যারাভান।
ডায়োজেনিস তখন দিব্যি রোদে বসে গা এলাচ্ছিলেন, দুনিয়ার কোনো টেনশন ছাড়া।
আলেকজান্ডার তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে বললেন—‘আমি আলেকজান্ডার, তোমার জন্য কী করতে পারি?’
এখানে অন্য কেউ হলে হুট করে সহমত ভাইয়ের মতো সেলফি তুলতে উঠে দাঁড়াত। কিন্তু ডায়োজেনিস? তিনি আলেকজান্ডারকে উত্তর দিলেন— ‘একটা কাজ করো। সামনে থেকে সরে দাঁড়াও। তুমি সূর্যের আলো আটকাচ্ছ। যা তুমি দিতে পারবে না।‘
পুরো রাজকীয় এনটুরাজ হতভম্ব। সৈন্যরা চুপ। আলেকজান্ডার নিজেও একরকম প্লট টুইস্ট খেলেন। তিনি হেসে বললেন—
‘যদি আমি আলেকজান্ডার না হতাম, তবে আমি ডায়োজেনিস হতে চাইতাম।‘
একদিকে মহাজাগতকে জয় করতে চাওয়া যুবরাজ, অন্যদিকে হাতে কিছু নাই অথচ অন্তরে পূর্ণ স্বাধীন দার্শনিক। ডায়োজেনিস শিখিয়েছিলেন—রাজত্ব মানে গোল্ড, ডায়মন্ড বা প্রাসাদ নয়; রাজত্ব হলো নিজের উইশলিস্ট কে জয় করার ক্ষমতা।
একবার আলেকজান্ডার শুনলেন, ডায়োজেনিস নাকি তাকে একটুও ভয় পাননা। শুনেই ছুটে আলেকজান্ডার গেলেন কেজিএফ স্টাইলে। ডায়োজেনিসের সামনে গিয়ে গর্জে উঠলেন—
‘তুমি কি আমাকে ভয় পাও না?’
ডায়োজেনিস: ‘তুমি কে, যে তোমাকে ভয় পাব?’
আলেকজান্ডার: ‘আমি আলেকজান্ডার, দ্য কিং অব দ্য ওয়ার্ল্ড।’
ডায়োজেনিস: ‘আর আমি ডায়োজেনিস, দ্য ডগ অব দ্য ওয়ার্ল্ড। এখন বলো, কার অবস্থান বেশি স্বাধীন?’
পুরো দৃশ্যটা যেন পিকি ব্লাইন্ডার্স-এর টমি শেলবি আর এক ভিখারির ফেস-অফ। কে বেশি ক্ষমতাবান? যার হাতে বন্দুক, নাকি যার কিছু হারানোর নেই?
ডায়োজেনিসের কোনো সম্পদ ছিল না। একদিন লোকেরা জিজ্ঞেস করল, ‘মরলে তোমার কবর কোথায় হবে?’
ডায়োজেনিস একেবারে মিম লর্ড মোডে উত্তর দিলেন—‘কবর দিতে হবে না, রাস্তায় ফেলে দিও। কুকুর এসে খেয়ে নেবে।‘
লোকেরা অবাক হয়ে বলল, 'তাহলে তো শরীর ছিঁড়ে যাবে!’
ডায়োজেনিস জোকার মুভির সাইকো লাফটার ভাইবে হেসে বললেন— ‘মরার পর আমি কি আমার শরীরে থাকব? যদি মনে করো থাকব, তবে একটা লাঠি রেখো পাশে, যেন কুকুর তাড়াতে পারি।’
ডায়োজেনিসের এই লিজেন্ডারি দুঃসাহসিকতা এসেছে সিনিসিজম নামের দর্শন থেকে। আর এই দর্শনের নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘কাইনোকস’ থেকে, যার মানে কুকুরের মতো জীবন। এই দার্শনিক ধারার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সক্রেটিসের শিষ্য অ্যান্টিসথেনিস। কিন্তু এ দর্শনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়ে গিয়েছিলেন ডায়োজেনিস। তাদের শিক্ষা ছিল:
ডায়োজেনিস এতটাই মিনিমালিস্ট ছিলেন যে একদিন মাটির বাটি ভেঙে ফেললেন, যখন দেখলেন শিশু হাত দিয়েই পানি খাচ্ছে। তিনি দিনে-দুপুরে হাতে লণ্ঠন নিয়ে বের হতেন। লোকে জিজ্ঞেস করত 'কেন?’ তিনি বলতেন, ‘মানুষ খুঁজছি।‘ যেন আজকের দিনে কেউ রেডিট-এ মিম পোস্ট করে লিখছে—'রিয়েল হিউম্যানস আর এক্সটিঙ্কট, এনপিসিএভরিহোয়ার’।
সিনিকরা আসলে ছিল স্ট্যান্ড-আপ কমিক আর পলিটিক্যাল কার্টুনিস্ট-এর প্রাচীন ভার্সন। নির্লজ্জভাবে সত্য বলত, ব্যঙ্গ করত, ভণ্ডামি এক্সপোজ করত।
এখনকার পৃথিবী যেন একেবারে শপিং ফেস্টিভাল সিমুলেটর। আমাদের চারপাশে বিজ্ঞাপন, ব্র্যান্ড, সোশ্যাল মিডিয়ার ফ্লেক্স। সিনিসিজম মনে করিয়ে দেয়, সুখ লুকিয়ে থাকে আসলে সরলতায়। আজকের মিনিমালিজম বা ডাউনশিফটিং ট্রেন্ড, নেটফ্লিক্স ডকুমেন্টারি থেকে শুরু করে ইনস্টাগ্রাম এস্থেটিক, সব আসলে সিনিসিজমেরই নতুন সংস্করণ।
সিনিকরা বলেছিল, ‘রাজা যত বড়ই হোক, সূর্যের আলো আটকানোর ক্ষমতা তাঁরা রাখে না।’
আজকের প্রজন্ম বলছে,‘রাষ্ট্র যতই শক্তিশালী হোক, ফ্রি এয়ার, ফ্রি মিম আর মানুষের স্বাধীনতা আটকানোর ক্ষমতা তাঁরা রাখে না।’
রাজনীতি, ব্যঙ্গ, স্ট্যান্ড-আপ কমেডি, মিম কালচার, সবখানেই এখন দেখা যায় সিনিসিজমের ছাপ। আজকের ভির দাস, হাসান মিনহাজ, বা আমাদের কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর আসলে একেকজন আধুনিক ডায়োজেনিস।
সিনিসিজম শেখায়, যার কিছুই নেই, তাকে কেউ কিনতে পারে না।
এটা ঠিক যেন বোজ্যাক হর্সম্যান-এর সেই ডায়ালগের মতো, ‘ইউ ক্যান্ট কিল মি, আই’ম অলরেডি ডেড ইনসাইড।‘
ডায়োজেনিস আলেকজান্ডারকে শিক্ষা দিয়েছিলেন— পৃথিবী জয় বড় ব্যাপার নয়। নিজের ইচ্ছাকে জয় করাই আসল বিজয়। আজকের দিনে, ভোগবাদী দুনিয়ার মধ্যে এটাই সবচেয়ে হার্ডকোর লাইফ হ্যাক।
তাঁর মৃত্যুর বছর তাঁকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়, কিন্তু তিনি তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। তিনি এক বিবৃতিতে জানান, তিনি সরকারি ও বেসরকারি কোনো পুরস্কার গ্রহণ করেননি এবং এই পুরস্কার গ্রহণ করাও তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।
৭ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কোনো বিশেষ কারণ ছিল না আমার। মাঝেমধ্যে কোনো কারণ ছাড়াই আমি নানান জায়গায় যাই। শাহবাগের মোড় থেকে আনমনে হাঁটতে হাঁটতে টিএসসির দিকে চলে গেলাম। বিকেলটা সুন্দর। আকাশে মেঘ আছে, আবার মেঘের ফাঁক দিয়ে অদ্ভুত নরম আলো এসে পড়েছে। মনে হচ্ছিলো চা খেতে ভালো লাগবে।
১ দিন আগেশুধু একক অ্যালবামই নয়, সিনেমার গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন মো. ইব্রাহীম। জানা যায়, সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে চার শ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। বলা ভালো, অ্যালবামের বেশির ভাগ গানই শিল্পীর নিজের লেখা ও সুর করা। তবে অন্যদের লেখা ও সুরেও কিছু গান গেয়েছেন তিনি।
১ দিন আগেনৈতিকতার মূলে কী আছে? মানবতা? সামাজিক-ধর্মীয় রীতিনীতি? কোনো আধ্যাত্মিক দর্শন? বোধিপ্রাপ্তি? লেখক-দার্শনিক আইরিস মারডকের মতে নৈতিকতার চালিকাশক্তি এসব কিছুই নয়, বরং ভালবাসা। ভালবাসা অপরজনকে আপনজন বানায়, ‘অন্য’-কে বুঝতে শেখায়। কঠিন পোলারিটির যুগে ফিরে দেখা মারডকের ভাবনাকে। কলিকালে মারডকের চিন্তা আদৌ কি
২ দিন আগে