যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে যেন চলছে নতুন এক রিয়েলিটি শো। নাম ‘বন্ধু তুমি শত্রু তুমি’। গত ৬ জুন ইলন মাস্ক নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ঘোষণা দিলে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘ইলন মাস্কের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’ এর সপ্তাহখানেক পর ইলন মাস্ক ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে স্যোশাল মিডিয়াতে করা মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। কিন্তু হঠাৎ এই দুই ‘বেস্ট বাডিস’- এর মধ্যে ঝামেলা কেন?
গৌতম কে শুভ
এই ঘটনাপ্রবাহের প্রথম দিকে তাকালে মনে হবে, এ যেন ক্রিস্টোফার নোলানের নতুন সিনেমার চিত্রনাট্য। কারণ, মাসখানেক আগেও তো ডোনাল্ড ট্রাম্প আর ইলন মাস্কের ‘ব্রোম্যান্স’ (ব্রো+রোম্যান্স) ঠিকঠাক চলছিল। তাঁদের হিসাব-নিকাশ তো ভোটের আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। ট্রাম্পকে ভোটে জেতাতে টাকা দেবেন মাস্ক,বদলে মাস্কের কোম্পানি পাবে ব্যবসা।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হয়ে এই অংক মিলিয়েও দিচ্ছিলেন। ইলন মাস্ক পেয়েছিলেন সরকারি ঠিকাদারি। ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, মাস্কের কোম্পানি ৩৮ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে আদায় করে নিয়েছে।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়! হোয়াইট হাউজের দরজা খুলে গিয়েছিল ইলন মাস্কের জন্য। মাস্ক পেয়েছিলেন সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) পুরো দায়িত্ব। দায়িত্ব নিয়েই মাস্ক ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি ‘সরকারি খরচ কাটাকাটি’র সুপারম্যান হবেন। অর্থাৎ দুই ট্রিলিয়ন ডলারের খরচ কমাবেন।
কিন্তু সরকারি দপ্তরের চাবি পেয়েই ইলন মাস্ক প্রায় আড়াই লাখ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর চাকরি খেয়ে দিলেন। আবার কিছু খাতে অর্থ বরাদ্দ বন্ধই করে দিলেন।
ফলাফল? এত কর্মী ছাঁটাইয়ের পর বিমানবন্দর থেকে শুরু করে আবহাওয়া অফিস, সবখানেই লাল বাতি। কাজ করার লোক কোথায়! তুমুল সমালোচনার পর আদালত রায় দিল, এভাবে ঢালাও ছাঁটাই করা যাবে না। আর ট্রাম্প বললেন, মাস্ক ভাই, একটু ধীরে!
ইলন মাস্ক দায়িত্ব নেওয়ার তিন মাস পর দেখা গেল, দুই ট্রিলিয়ন ছিল দূরের স্বপ্ন। হিসাব তো গড়বড়। ইলন মাস্ক খরচ কমাতে পেরেছেন মাত্র ১৫০ বিলিয়ন।
অন্যদিকে এই ঘটনায় ইলন মাস্ক মিডিয়ায় এমনভাবে আলো পাচ্ছিলেন যে ট্রাম্পের ঈর্ষায় ভ্রু কুঁচকে যাচ্ছিল। ট্রাম্প বুঝতে পারছিলেন, হোয়াইট হাউসে তিনিই একমাত্র তারকা নন। আর তখনই বাজল চাকরি থেকে ইলন মাস্কের বিদায়ের ঘণ্টা।
গত মাসের ৩০ মে ছিল মাস্কের হোয়াইট হাউসে চাকরির শেষ দিন। বিদায়ের সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, মাস্ক যাচ্ছে, কিন্তু যাচ্ছে না! মানে ইলন মাস্ক বাইরে থেকেও অন্দরে, ‘ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা’ হয়ে থাকবেন। যেন দরজার চাবি নেই, কিন্তু জানালা তো খোলা।
যাই হোক, রিয়েলিটি শো-এর প্রথম পর্বগুলোর কাহিনি ছিল এমনই। আরেক নতুন পর্বে দেখা গিয়েছিল, ট্রাম্প ২.৪ ট্রিলিয়ন ডলারের ট্যাক্স অ্যান্ড স্পেন্ডিং বিল ঘোষণা করলেন। গত ৪ জুন ইলন মাস্ক সেটা দেখে রীতিমতো তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন। বললেন, ‘এই বিলটা রীতিমতো দুর্নীতি!’
এদিকে ট্রাম্পও চুপ করে থাকার মানুষ নয়। ফ্লোরিডার এক র্যালিতে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, ‘ইলন আসলে এক অকৃতজ্ঞ টেক-ব্রো!’ এমনকি হুমকিও দিলেন মাস্কের কোম্পানিগুলোর ওপর দেওয়া ফেডারেল ঋণ ও ভর্তুকি বাতিল করার। আর মাস্ককে মনে রাখতে বললেন, আমেরিকান জনগণই কিন্তু তাঁকে আজকের ‘ইলন মাস্ক’ বানিয়েছেন।
এভাবেই শুরু হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ট্রাম্প বনাম মাস্ক’ যুদ্ধ। একপর্যায়ে ইলন মাস্ক ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন জনমত যাচাইয়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ২২ কোটি ফলোয়ারকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আমেরিকায় কি ৮০% মধ্যপন্থীদের জন্য একটা নতুন রাজনৈতিক দল দরকার?’ ভোট পড়েছিল মাত্র ৫৬ লাখ। কিন্তু ফলাফল? এর মধ্যে ৮০ শতাংশ ফলোয়ারই ইলনের পক্ষে মত দিয়েছিলেন।
এই ফলাফলে খুশি হয়ে মাস্ক লিখেছিলেন, ‘জনগণ রায় দিয়েছে। আমেরিকায় নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন।’ নতুন দলের নামও প্রস্তাব করেছিলেন তখন। এভাবেই ঘোষণা এসেছিল মাস্কের ‘আমেরিকা পার্টি’র। তখন অবশ্য অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, মাস্ক নাকি ‘বট’ আর ‘ফেক অ্যাকাউন্ট’ থেকে বেশি ভোট পেয়েছেন।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, ট্রাম্প নতুন দল তৈরির এই উদ্যোগ নিয়ে তেমন পাল্টা আক্রমণে যাননি। কারণ, আগামী ২৬ নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে ভোটের সামান্য এদিক-ওদিকও বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।
এই ঘটনার প্রভাব পড়েছিল বাজারেও। টেসলার শেয়ার ১৪ শতাংশ পড়েছিল। আর ট্রাম্পের স্যোশাল মিডিয়ার শেয়ারও পড়েছিল ৮ শতাংশ। এদিকে দুই সাবেক দোস্তের কথা-যুদ্ধে অনেকে ভোটের নতুন সমীকরণও কষতে বসেছিলেন। হাসি-তামাশাও হচ্ছিল বিশ্বজুড়ে। যেমন সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ এক্স-এ বলেছিলেন, ‘আমি মধ্যস্থতা করতে পারি, তবে পেমেন্ট দিলে। আমাকে স্টারলিংকের শেয়ার দিলেই চলবে।’
এই রিয়েলিটি শো-এর শেষ পর্বে কী হবে সেটা নিয়ে সবাই যখন হিসেবে কষতে ব্যস্ত, তখন সহসাই তাঁদের বাক-যুদ্ধে নিল নতুন মোড়! ১২ জুন এক্স-এ ইলন মাস্ক লিখলেন, ‘গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে আমি যেসব পোস্ট করেছিলাম, সেগুলোর জন্য আমি অনুতপ্ত।'
এরপর ডোনাল্ড ট্রাম্প মাস্কের দুঃখপ্রকাশ গ্রহণ করেছেন বলে নিউইয়র্ক পোস্টকে জানিয়েছিলেন। ট্রাম্প বলেছিলেন, মাস্কের প্রতি তাঁর কোনো ‘কঠিন মনোভাব’ নেই। এ নিয়ে হোয়াইট হাউজের একজন মুখমাত্র বলেছেন, শত্রুতা ভুলে ট্রাম্প এখন জাতীয় স্বার্থের ওপরেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
ইলন মাস্কের দুঃখপ্রকাশ যে তাঁর ব্যবসার জন্য লাভজনক হয়েছে, তা পরিষ্কার। ফোর্বস-এর তথ্য অনুযায়ী মাস্কের মোট সম্পদ এক রাতেই ১৯১ মিলিয়ন ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪১১.৪ বিলিয়ন ডলারে। এমনকি এই দ্বন্দ্বের ফলে কমতে থাকা টেসলার শেয়ারের মূল্যও ফিরতে শুরু করল পুরোনো ছন্দে। দেখা যাক, কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় এই 'বেস্ট বাডিস'-এর 'বন্ধু তুমি শত্রু তুমি' খেলা!
এই ঘটনাপ্রবাহের প্রথম দিকে তাকালে মনে হবে, এ যেন ক্রিস্টোফার নোলানের নতুন সিনেমার চিত্রনাট্য। কারণ, মাসখানেক আগেও তো ডোনাল্ড ট্রাম্প আর ইলন মাস্কের ‘ব্রোম্যান্স’ (ব্রো+রোম্যান্স) ঠিকঠাক চলছিল। তাঁদের হিসাব-নিকাশ তো ভোটের আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। ট্রাম্পকে ভোটে জেতাতে টাকা দেবেন মাস্ক,বদলে মাস্কের কোম্পানি পাবে ব্যবসা।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হয়ে এই অংক মিলিয়েও দিচ্ছিলেন। ইলন মাস্ক পেয়েছিলেন সরকারি ঠিকাদারি। ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, মাস্কের কোম্পানি ৩৮ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে আদায় করে নিয়েছে।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়! হোয়াইট হাউজের দরজা খুলে গিয়েছিল ইলন মাস্কের জন্য। মাস্ক পেয়েছিলেন সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) পুরো দায়িত্ব। দায়িত্ব নিয়েই মাস্ক ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি ‘সরকারি খরচ কাটাকাটি’র সুপারম্যান হবেন। অর্থাৎ দুই ট্রিলিয়ন ডলারের খরচ কমাবেন।
কিন্তু সরকারি দপ্তরের চাবি পেয়েই ইলন মাস্ক প্রায় আড়াই লাখ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর চাকরি খেয়ে দিলেন। আবার কিছু খাতে অর্থ বরাদ্দ বন্ধই করে দিলেন।
ফলাফল? এত কর্মী ছাঁটাইয়ের পর বিমানবন্দর থেকে শুরু করে আবহাওয়া অফিস, সবখানেই লাল বাতি। কাজ করার লোক কোথায়! তুমুল সমালোচনার পর আদালত রায় দিল, এভাবে ঢালাও ছাঁটাই করা যাবে না। আর ট্রাম্প বললেন, মাস্ক ভাই, একটু ধীরে!
ইলন মাস্ক দায়িত্ব নেওয়ার তিন মাস পর দেখা গেল, দুই ট্রিলিয়ন ছিল দূরের স্বপ্ন। হিসাব তো গড়বড়। ইলন মাস্ক খরচ কমাতে পেরেছেন মাত্র ১৫০ বিলিয়ন।
অন্যদিকে এই ঘটনায় ইলন মাস্ক মিডিয়ায় এমনভাবে আলো পাচ্ছিলেন যে ট্রাম্পের ঈর্ষায় ভ্রু কুঁচকে যাচ্ছিল। ট্রাম্প বুঝতে পারছিলেন, হোয়াইট হাউসে তিনিই একমাত্র তারকা নন। আর তখনই বাজল চাকরি থেকে ইলন মাস্কের বিদায়ের ঘণ্টা।
গত মাসের ৩০ মে ছিল মাস্কের হোয়াইট হাউসে চাকরির শেষ দিন। বিদায়ের সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, মাস্ক যাচ্ছে, কিন্তু যাচ্ছে না! মানে ইলন মাস্ক বাইরে থেকেও অন্দরে, ‘ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা’ হয়ে থাকবেন। যেন দরজার চাবি নেই, কিন্তু জানালা তো খোলা।
যাই হোক, রিয়েলিটি শো-এর প্রথম পর্বগুলোর কাহিনি ছিল এমনই। আরেক নতুন পর্বে দেখা গিয়েছিল, ট্রাম্প ২.৪ ট্রিলিয়ন ডলারের ট্যাক্স অ্যান্ড স্পেন্ডিং বিল ঘোষণা করলেন। গত ৪ জুন ইলন মাস্ক সেটা দেখে রীতিমতো তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন। বললেন, ‘এই বিলটা রীতিমতো দুর্নীতি!’
এদিকে ট্রাম্পও চুপ করে থাকার মানুষ নয়। ফ্লোরিডার এক র্যালিতে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, ‘ইলন আসলে এক অকৃতজ্ঞ টেক-ব্রো!’ এমনকি হুমকিও দিলেন মাস্কের কোম্পানিগুলোর ওপর দেওয়া ফেডারেল ঋণ ও ভর্তুকি বাতিল করার। আর মাস্ককে মনে রাখতে বললেন, আমেরিকান জনগণই কিন্তু তাঁকে আজকের ‘ইলন মাস্ক’ বানিয়েছেন।
এভাবেই শুরু হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ট্রাম্প বনাম মাস্ক’ যুদ্ধ। একপর্যায়ে ইলন মাস্ক ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন জনমত যাচাইয়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ২২ কোটি ফলোয়ারকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আমেরিকায় কি ৮০% মধ্যপন্থীদের জন্য একটা নতুন রাজনৈতিক দল দরকার?’ ভোট পড়েছিল মাত্র ৫৬ লাখ। কিন্তু ফলাফল? এর মধ্যে ৮০ শতাংশ ফলোয়ারই ইলনের পক্ষে মত দিয়েছিলেন।
এই ফলাফলে খুশি হয়ে মাস্ক লিখেছিলেন, ‘জনগণ রায় দিয়েছে। আমেরিকায় নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন।’ নতুন দলের নামও প্রস্তাব করেছিলেন তখন। এভাবেই ঘোষণা এসেছিল মাস্কের ‘আমেরিকা পার্টি’র। তখন অবশ্য অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, মাস্ক নাকি ‘বট’ আর ‘ফেক অ্যাকাউন্ট’ থেকে বেশি ভোট পেয়েছেন।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, ট্রাম্প নতুন দল তৈরির এই উদ্যোগ নিয়ে তেমন পাল্টা আক্রমণে যাননি। কারণ, আগামী ২৬ নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে ভোটের সামান্য এদিক-ওদিকও বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।
এই ঘটনার প্রভাব পড়েছিল বাজারেও। টেসলার শেয়ার ১৪ শতাংশ পড়েছিল। আর ট্রাম্পের স্যোশাল মিডিয়ার শেয়ারও পড়েছিল ৮ শতাংশ। এদিকে দুই সাবেক দোস্তের কথা-যুদ্ধে অনেকে ভোটের নতুন সমীকরণও কষতে বসেছিলেন। হাসি-তামাশাও হচ্ছিল বিশ্বজুড়ে। যেমন সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ এক্স-এ বলেছিলেন, ‘আমি মধ্যস্থতা করতে পারি, তবে পেমেন্ট দিলে। আমাকে স্টারলিংকের শেয়ার দিলেই চলবে।’
এই রিয়েলিটি শো-এর শেষ পর্বে কী হবে সেটা নিয়ে সবাই যখন হিসেবে কষতে ব্যস্ত, তখন সহসাই তাঁদের বাক-যুদ্ধে নিল নতুন মোড়! ১২ জুন এক্স-এ ইলন মাস্ক লিখলেন, ‘গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে আমি যেসব পোস্ট করেছিলাম, সেগুলোর জন্য আমি অনুতপ্ত।'
এরপর ডোনাল্ড ট্রাম্প মাস্কের দুঃখপ্রকাশ গ্রহণ করেছেন বলে নিউইয়র্ক পোস্টকে জানিয়েছিলেন। ট্রাম্প বলেছিলেন, মাস্কের প্রতি তাঁর কোনো ‘কঠিন মনোভাব’ নেই। এ নিয়ে হোয়াইট হাউজের একজন মুখমাত্র বলেছেন, শত্রুতা ভুলে ট্রাম্প এখন জাতীয় স্বার্থের ওপরেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
ইলন মাস্কের দুঃখপ্রকাশ যে তাঁর ব্যবসার জন্য লাভজনক হয়েছে, তা পরিষ্কার। ফোর্বস-এর তথ্য অনুযায়ী মাস্কের মোট সম্পদ এক রাতেই ১৯১ মিলিয়ন ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪১১.৪ বিলিয়ন ডলারে। এমনকি এই দ্বন্দ্বের ফলে কমতে থাকা টেসলার শেয়ারের মূল্যও ফিরতে শুরু করল পুরোনো ছন্দে। দেখা যাক, কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় এই 'বেস্ট বাডিস'-এর 'বন্ধু তুমি শত্রু তুমি' খেলা!
ইরাকে ‘অস্ত্র’ ছিল না। তবে বোমা ঠিকই পড়েছিল। এবারও সেই পুরোনো স্ক্রিপ্টে নতুন শুটিং চলছে। লোকেশন পাশের দেশ ইরান। ইসরায়েল বলে এটা আগাম হুমকি মোকাবিলার আক্রমণ। আর ট্রাম্প কী করবে কেউ নিশ্চিত নয়। গণবিধ্বংসী অস্ত্রের অজুহাতে নাটক জমাতে চাইছে ইসরায়েল, দৃশ্যপট এবার ইরান।
১ দিন আগেআলোচনার এই কূটকৌশলের মধ্যেই পশ্চিম পাকিস্তান থেকে অস্ত্র ও সৈন্য পূর্ব পাকিস্তানে নিয়ে আসা হচ্ছিল। ২৩ মার্চ আওয়ামী লীগ জানায় তাদের অবস্থান স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে। এখন সিদ্ধান্তের পালা প্রেসিডেন্টের। কিন্তু সিদ্ধান্ত আসেনি।
৮ দিন আগেপহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রায় এবার বাঘ, ইলিশ, তরমুজসহ বেশ কিছু নতুন প্রতীকের সমাবেশ ঘটেছে। এই প্রতীকগুলো আসলে কী বলছে? এর মধ্যে কি কোনো রাজনীতি আছে?
১৩ দিন আগেসদ্য সমাপ্ত কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথমবারের মতো বিশেষ স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আলী’। এ ছবির নির্মাতা আদনান আল রাজীব কীভাবে গেলেন এত দূর?
১৪ দিন আগে