leadT1ad

কেন বারবার অশান্ত খাইবার পাখতুনখোয়া

পাহাড় ও উপত্যকায় বোনা দুর্গম উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশটি শতাব্দী ধরে সংঘাতের এক ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান ও জটিল ইতিহাস প্রদেশটিকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতির এক কেন্দ্রে পরিণত করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে জলবায়ু-জনিত দুর্যোগের ঝুঁকিতে প্রদেশটির পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

তুফায়েল আহমদ
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪৭
খাইবার পাখতুনখোয়ায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে ১০ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর সেনা ও পুলিশের যৌথ অভিযানে কমপক্ষে ৪৫ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এই অভিযানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১৯ জন সেনাও প্রাণ হারিয়েছেন।

এই ঘটনা পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশকে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বাজাউর, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান এবং লোয়ার দির জেলায় তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর প্রভাব বেড়েছে। পাহাড় ও উপত্যকায় বোনা এই দুর্গম উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশটি শতাব্দী ধরে সংঘাতের এক ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। এর কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান ও জটিল ইতিহাস প্রদেশটিকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতির এক কেন্দ্রে পরিণত করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে জলবায়ু-জনিত দুর্যোগের ঝুঁকিতে খাইবার পাখতুনখোয়ার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

ভূপ্রকৃতি ও ইতিহাস

উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ নামে পরিচিত খাইবার পাখতুনখোয়া বৈপরীত্যে ভরা এক অঞ্চল। জনসংখ্যার দিক থেকে এটি পাকিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম প্রদেশ হলেও আয়তনে সবচেয়ে ছোট। এর ভূখণ্ড হিন্দুকুশের মতো দুর্গম পর্বতমালা, ঢেউ খেলানো পাদদেশ ও উর্বর উপত্যকা দ্বারা বেষ্টিত। প্রদেশটির পশ্চিম ও উত্তরে আফগানিস্তানের সঙ্গে একটি দীর্ঘ, অসংরক্ষিত ও প্রায়শই বিতর্কিত ডুরান্ড লাইন নামে পরিচিত আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে।

সারা দুনিয়ার কাছে খাইবার পাখতুনখোয়ার মূল আকর্ষণ হচ্ছে ঐতিহাসিক খাইবার পাস। হাজার বছর ধরে ভারতীয় উপমহাদেশ ও মধ্য এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে সহজ সংযোগ পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই খাইবার পাস। এই গিরিপথ দিয়েই ঘটেছে আক্রমণ, বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক বিনিময়। বৌদ্ধধর্মের কেন্দ্র প্রাচীন গান্ধার সভ্যতা থেকে শুরু করে পারস্য, আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের অধীনে গ্রিক এবং মুঘল ও দুররানিসহ বিভিন্ন মুসলিম রাজবংশের আক্রমণের সংযোগস্থল ছিল এই ভূমি। ১৮৪৯ সালে ব্রিটিশরা এই অঞ্চলটি দখল করে এবং ১৯০১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ গঠন করে। ২০১০ সালে প্রদেশটির নাম পরিবর্তন করে খাইবার পাখতুনখোয়া রাখা হয়।

সংঘাতের কেন্দ্র: কেন এই অঞ্চল?

খুব দুর্গম এলাকা হওয়ায় এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্তের কারণে খাইবার পাখতুনখোয়া সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর জন্য একটি স্থায়ী আশ্রয়স্থল এবং অভিযান পরিচালনার ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে।

খাইবার পাখতুনখোয়ার দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান সীমান্তে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর টহল। ছবি: সংগৃহীত
খাইবার পাখতুনখোয়ার দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান সীমান্তে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর টহল। ছবি: সংগৃহীত

১৯৮০-এর দশকে পাকিস্তান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের সমর্থনে আফগানিস্তানে সোভিয়েত-বিরোধী প্রতিরোধের প্রস্তুতি মঞ্চে পরিণত হয়েছিল খাইবার পাখতুনখোয়া। এই সময়ে এই অঞ্চলে অস্ত্রের ব্যাপক সরবরাহ ঘটে। পাশাপাশি এমন জিহাদি মতাদর্শের প্রচার হয়, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব ছিল। ৯/১১ হামলার পর আফগানিস্তানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের পর তালেবান এবং আল-কায়েদা যোদ্ধারা সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের যেসব এলাকায় পালিয়ে এসে নতুন নিরাপদ আশ্রয়স্থল গড়ে তোলে তার মধ্যে অন্যতম ছিল খাইবার পাখতুনখোয়া। পাকিস্তানের ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ যোগদানের তীব্র বিরোধিতার মধ্য দিয়ে ২০০৭ সালে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) গঠিত হয়।

টিটিপি বিভিন্ন উগ্রবাদী গোষ্ঠীর একটি সম্মিলিত সংগঠন, যাদের লক্ষ্য সরকার উৎখাত করে পাকিস্তানে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা। যদিও ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জারব-ই-আজব এবং রাদ-উল-ফাসাদের মতো অভিযানে টিটিপি দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের রাজনীতির টালমাটাল অবস্থার সুযোগ নিয়ে গোষ্ঠীটি আবারও উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তি সঞ্চয় করেছে। ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখল টিটিপিকে আরও বেশি উৎসাহিত করেছে। পাকিস্তান সরকার অভিযোগ করেছে, আফগানিস্তানের তালেবান সরকার টিটিপিকে নিরাপদ আশ্রয় ও আদর্শিক গতি দিয়েছে। টিটিপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইসলামাবাদের আহ্বান সত্ত্বেও, গোষ্ঠীটি আফগানিস্তানের মাটি থেকে পাকিস্তানে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রায় ব্যতিক্রমহীনভাবে যেকোনো উগ্রবাদ স্থানীয় বঞ্চনার উপর ভিত্তি করেই বিস্তার লাভ করে। খাইবার পাখতুনখোয়ায় কয়েক দশক ধরে রাষ্ট্রীয় অবহেলা গভীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রান্তিকীকরণের জন্ম দিয়েছে। উচ্চ দারিদ্র্য, ব্যাপক বেকারত্ব, অবকাঠামোর অভাব এবং শিক্ষা ও ন্যায়বিচারের সীমিত সুযোগ চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোর জন্য সদস্য সংগ্রহের উর্বর ক্ষেত্র তৈরি করে। রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতাবোধ, ঐতিহ্যবাহী উপজাতীয় কাঠামোর ভাঙন উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর বয়ানকে আরও উসকে দেয়।

পাকিস্তানের দ্বিমুখী কৌশল: শক্তি প্রয়োগ ও উন্নয়ন

পাকিস্তান সরকার একই সঙ্গে সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ এবং উন্নয়নমূলক উদ্যোগের সমন্বয়ে খাইবার পাখতুনখোয়ার পরিস্থিতি বদলের চেষ্টা করছে।

২০১৪ সালে পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলে ভয়াবহ হামলার পর, একটি জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা (এনএপি) প্রণয়ন করা হয়। এই পরিকল্পনার মধ্যে ছিল সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বন্ধ করা, ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) নিয়ন্ত্রণ এবং সন্ত্রাস-সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজনদের দ্রুত বিচারের জন্য বিশেষ সামরিক আদালত প্রতিষ্ঠা করা। বর্তমান সরকার টিটিপির সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা বাতিল করে দিয়ে নিরাপত্তা-ভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রাধান্য দিচ্ছে। অন্যদিকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রাদেশিক সরকার টিটিপির সঙ্গে সংলাপে বেশি আগ্রহী, যা প্রায়শই কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি করছে।

গত জুলাইয়ে খাইবার পাখতুনখোয়ার খাইবার জেলার একটি স্থানে বোমা হামলার পর ঘটনাস্থলে সেনাসদস্যদের টহল। ছবি: সংগৃহীত
গত জুলাইয়ে খাইবার পাখতুনখোয়ার খাইবার জেলার একটি স্থানে বোমা হামলার পর ঘটনাস্থলে সেনাসদস্যদের টহল। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান সরকার বুঝতে পেরেছে কেবল শক্তি প্রয়োগই যথেষ্ট নয়। তাই বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে খাইবার পাখতুনখোয়ার জনগণের মন জয় করার জন্য ‘নরম’ পন্থাও অনুসরণ করছে তাঁরা। কেন্দ্রশাসিত উপজাতীয় এলাকাকে খাইবার পাখতুনখোয়ার সঙ্গে একীভূত করা ছিল এই কৌশলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর লক্ষ্য হলো রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা, স্থানীয় শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং উপজাতীয় জেলাগুলোকে দেশের অন্যান্য অংশের সমকক্ষ করে তোলা। এই লক্ষ্যে অবকাঠামো, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রকল্পে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে পাকিস্তান সরকার। এর মধ্যে বহু বিলিয়ন ডলারের অবকাঠামো প্রকল্প চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিইসি)-এর সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোও অন্তর্ভুক্ত আছে। জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র, মোটরওয়ে এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) সহ সিপিইসির বেশ কিছু প্রকল্প খাইবার পাখতুনখোয়ায় অবস্থিত। এই প্রকল্পগুলো অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। যদিও প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং রাজনৈতিক বিতর্কসহ নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে পাকিস্তান সরকার।

ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

খাইবার পাখতুনখোয়ার কৌশলগত অবস্থান প্রদেশটিকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবেই টিকিয়ে রেখেছে। এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতার সঙ্গে এবং সেই সূত্রে বৃহত্তর মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের সময় খাইবার পাস ন্যাটো বাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ পথ ছিল।

খাইবার পাখতুনখোয়ার সোয়াত উপত্যকার কাবাল শহরে পাকিস্তাস সেনাসদস্যদের টহল। ছবি: সংগৃহীত
খাইবার পাখতুনখোয়ার সোয়াত উপত্যকার কাবাল শহরে পাকিস্তাস সেনাসদস্যদের টহল। ছবি: সংগৃহীত

চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের (সিপিইসি) মাধ্যমে আরব সাগরে চীনের প্রবেশের একটি পথ হচ্ছে খাইবার পাখতুনখোয়া। বেইজিংয়ের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক স্বার্থের জন্য এই অঞ্চলের নিরাপত্তা তাই অপরিহার্য। পাকিস্তানের জন্য, জাতীয় নিরাপত্তা এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে যেকোনো প্রকার সংঘাত এড়াতে একটি স্থিতিশীল খাইবার পাখতুনখোয়া অপরিহার্য। অসংরক্ষিত সীমান্তের কারণে সন্ত্রাসীরা সহজেই সীমান্ত পার করে যোগাযোগ গড়ে তোলে, যা ইসলামাবাদ ও কাবুলের মধ্যে সম্পর্ককে আরও বৈরী করে তুলেছে।

এক নতুন, নিরন্তর হুমকি: বন্যার ভয়াবহতা

প্রদেশটির এই সংঘাতময় প্রেক্ষাপটের উপর চেপে বসেছে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান হুমকি। খাইবার পাখতুনখোয়ার পার্বত্য ভূখণ্ড, তীব্র মৌসুমি বৃষ্টিপাত এবং হিন্দুকুশ ও কারাকোরাম পর্বতমালার দ্রুত গলতে থাকা হিমবাহের সম্মিলিত প্রভাবে নিয়মিতই আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসের পরিস্থিতি তৈরি করে।

২০২৫ সালেই খাইবার পাখতুনখোয়ায় বন্যায় শত শত মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, যার মধ্যে বুনার জেলা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘনঘন হওয়া এই দুর্যোগগুলো ঘরবাড়ি, অবকাঠামো এবং কৃষিজমি ধ্বংস করে, লাখ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করে এবং বিশাল মানবিক সংকট তৈরি করে। স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ক্ষতি মানুষের দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তোলে এবং শিশুদের জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে।

জলবায়ুর এই ঝুঁকি নিরাপত্তাজনিত পরিস্থিতির সঙ্গে বিপজ্জনকভাবে মিলে গেছে। বন্যার কারণে সৃষ্ট জীবিকার ক্ষতি এবং বাস্তুচ্যুতি আর্থ-সামাজিক বঞ্চনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এই সুযোগে উগ্রবাদী সংগঠনগুলো নিজেদের মতবাদ সামনে এনে তরুণদের বিভ্রান্ত করে। উদ্ধার ও পুনর্বাসনের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্পদের ওপর অতিরিক্ত চাপ দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন এবং সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টা থেকে মনোযোগ ও তহবিল সরিয়ে নিতে পারে। আর এসব মিলিয়ে আশঙ্কা—দুর্গম এলাকা, অরক্ষিত সীমান্ত ও জলবায়ুর হুমকির সংযোগস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা খাইবার পাখতুনখোয়ায় তৈরি হচ্ছে অস্থিতিশীলতা ও দুর্ভোগের এক দুষ্টচক্র।

তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই, আরব নিউজ, দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, ডন, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি), রয়টার্স, আল-জাজিরা, বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ান।

Ad 300x250

সম্পর্কিত