ক্লাইমেট ফাইন্যান্স ভালনারেবলিটি ইনডেক্স
জাতিসংঘ বলছে, কোনো দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সেই দেশের জলবায়ু কার্যক্রমের জন্য বরাদ্দ অর্থের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় বাধা হিসেবে কাজ করে।
মাইদুল ইসলাম
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে নদীর প্লাবনে সৃষ্ট বন্যার ঝুঁকি এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। ভবিষ্যতে বন্যার এই প্রভাব আরও মারাত্মক হয়ে উঠবে। সম্প্রতি কলাম্বিয়া ক্লাইমেট স্কুল একটি প্রাথমিক সূচকে এমন তথ্য জানিয়েছে।
জলবায়ু অর্থায়ন ঝুঁকি নামের এই সূচকে (ক্লাইমেট ফাইন্যান্স ভালনারেবলিটি ইনডেক্স) বলা হয়েছে, উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যা এবং ভূমিকম্পের ঝুঁকিও সর্বোচ্চ। এসবের তুলনায় সুনামি ও ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের মাত্রা কিছুটা কম। আর খরার প্রভাব এখন অনেকটাই কমে এসেছে।
বলা হয়েছে, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার মোট জনসংখ্যার ৮ দশমিক ৪ শতাংশ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ মিটারের নিচে বাস করছে। ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যা হলে ক্ষয়ক্ষতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সুশাসনের অভাবের মতো নানা বিষয়। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ বলছে, কোনো দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সেই দেশের জলবায়ু কার্যক্রমের জন্য বরাদ্দ অর্থের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় বাধা হিসেবে কাজ করে। পাশাপাশি জলবায়ু সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোর ক্ষতি করে, বাস্তুচ্যুতি বাড়ায়, পরিবেশগত চাপ বৃদ্ধি করে এবং আইনের শাসনকে দুর্বল করে। এসব কারণ জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা ব্যাহত করে। ফলে দুষ্টচক্র তৈরি হয়ে পরিবেশের অবক্ষয় ঘটায়। এ কারণে সশস্ত্র ও সহিংস সংঘাতের ঘটনাও বেড়ে যায়।
সূচকে শূন্য থেকে ১০-এর মধ্যে একটি একটি মান নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে শূন্য বলতে সর্বনিম্ন ঝুঁকি আর ১০ অর্থ ঝুঁকির হার সর্বোচ্চ। এই সূচকে বাংলাদেশে নদীর প্লাবনে সৃষ্ট বন্যার ঝুঁকি ৯ দশমিক ৯। এ ছাড়া ভূমিকম্প ৮ দশমিক ৯, উপকূলীয় বন্যা ৮ দশমিক ৯, সুনামি ৮ দশমিক ১ এবং ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় ৭ দশমিক ৯ এবং খরার ঝুঁকি সবচেয়ে কম, মানের দিক থেকে ২ দশমিক ৪।
এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের ১৮৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হবে ১৩৬তম। অর্থাৎ বাংলাদেশ জলবায়ুসংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকিপূর্ণ লাল ক্যাটাগরিতে উঠে যাবে। আর যদি খুব আশাব্যঞ্জক কিছু ঘটে, তাহলেও দেশের অবস্থান ১৩০-এর নিচে নামবে না। বাংলাদেশ ছাড়াও ৬৫টি দেশ লাল ক্যাটাগরিতে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। সূচকটিতে দেশগুলোকে সবচেয়ে ভালো থেকে সবচেয়ে খারাপের দিকে নির্দেশ করতে সবুজ থেকে লাল রঙের দিকে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন পর্যায় ব্যবহার করা হয়েছে।
সূচকের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকির স্কোর এখন ৬৯ দশমিক ২ এবং আর্থিক ঝুঁকির স্কোর ৫৪ দশমিক ৯। দুটো মিলিয়ে সূচকে বাংলাদেশের বর্তমান স্কোর ১০০-এর মধ্যে ৬২।
সূচকটিতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সশস্ত্র বা সহিংস সংঘাতের তুলনামূলক চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সশস্ত্র বা সহিংস সংঘাতের তীব্রতা বর্তমানে মাঝারি। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের সংঘাত বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে, একই কারণে বড় আকারে সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকির মাত্রাও সর্বোচ্চ বলে নির্দেশ করছে এ সূচক।
জলবায়ুর কারণে যে ঝুঁকিগুলো আসছে সেগুলোর গভীরতা অনুধাবন করার পাশাপাশি যে মানুষগুলো জলবায়ু ঝুঁকির মধ্যে আছে তা চিহ্নিত করা, যথাযথ পরিকল্পনা করা এবং অর্থায়নের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করলেই কেবল পরিস্থিতির উন্নয়ন সম্ভব। তা না হলে বিশ্বের দরবারে গিয়ে “উই আর ওয়ান অব দ্য মোস্ট ভালনারেবল কান্ট্রিজ” এটা বলে লাভ নেই। মো. শামসুদ্দোহা, প্রধান নির্বাহী, সিপিআরডি
সূচক অনুযায়ী, ২০৫০ সাল নাগাদ ১৮৮টি দেশের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা এবং অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকবে নরওয়ে। তাদের পাশাপাশি ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন ও যুক্তরাষ্ট্রও উন্নত অবস্থানে আছে।
অন্যদিকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে থাকবে আফ্রিকার কিছু দেশ। তালিকার ১ নম্বরে আছে আফ্রিকার দেশ গিনি-বিসাউ। এই তালিকায় শেষের দিক থেকে ইরিত্রিয়া, ফিলিস্তিন, অ্যাঙ্গোলা, বুরুন্ডি, জাম্বিয়া ও সুদান আছে। যেগুলোকে বলা হচ্ছে ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’। এই দেশগুলো একদিকে যেমন জলবায়ু দুর্যোগে বিপর্যস্ত, অন্যদিকে আর্থিক ও রাজনৈতিকভাবেও খুবই দুর্বল।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস এবং সেন্টার ফর গ্লোবাল এনার্জি পলিসির গবেষকেরা এই সূচকটি তৈরি করেছেন। প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছে দ্য রকফেলার ফাউন্ডেশন। সূচক তৈরির ক্ষেত্রে মূলত ইউরোপিয়ান কমিশনের জয়েন্ট রিসার্চ সেন্টারের (জেআরসি) ইনফর্ম রিস্ক ইনডেক্স-২০২৫ এবং ইনফর্ম ক্লাইমেট চেঞ্জ ইনডেক্স-২০২২-এর তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং ফান্ড ফর পিসের তথ্যের সহায়তা নিয়েছেন গবেষকেরা।
অবশ্য এই সূচক এখনো প্রাথমিক পর্যায়ের একটি নমুনা বলে উল্লেখ করেছে কলাম্বিয়া ক্লাইমেট স্কুল। বলা হয়েছে, গবেষণার কাজে পরীক্ষামূলকভাবে এই সূচক তৈরি করা হয়েছে। সূচকে দেওয়া মানচিত্রে যে সীমানা ও নাম দেখানো হয়েছে, তা শুধু তথ্য দেওয়ার জন্য।
কলাম্বিয়া ক্লাইমেট স্কুল বলছে, বিশ্বের কোন দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বেশি বিপদে আছে এবং সেই বিপদ সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক সক্ষমতা বোঝাতে এই সূচক তৈরি করা হয়েছে। সূচকটি দেখিয়ে দেয়, কোন দেশগুলোর জরুরি ভিত্তিতে সাহায্য প্রয়োজন এবং তাদের জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান পরিস্থিতির ভয়াবহ চিত্রই প্রকাশ করে। তবে এর ফলে বিশ্বের জলবায়ুসংক্রান্ত তহবিলগুলো থেকে বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তা পাওয়া সহজ হবে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিপিআরডি) প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা। যদিও আর্থিক সহায়তা পেতে শুধু সূচক যথেষ্ট নয়, এর সঙ্গে অর্থের যথাযথ ব্যবহার, দুর্নীতিরোধ, রাষ্ট্রের সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জার্মানওয়াচের বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচক-২০২১ অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। বিষয়টি উল্লেখ করে সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা স্ট্রিমকে বলেন, ‘কলাম্বিয়া ক্লাইমেট স্কুলের সূচক এবং জার্মানওয়াচের সূচক হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে, ২০৫০ সালে বাংলাদেশের অবস্থান কিছুটা ভালোর দিকে যাবে। যেহেতু তাঁরা বলছে, এটি প্রাথমিক একটি নমুনা, ফলে তাদের চূড়ান্ত নমুনায় বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে ভবিষ্যতের প্রজেকশন যে আরও খারাপ হবে না, তা আমরা বলতে পারছি না।’
এই সূচকে নির্ধারিত দেশগুলোর শাসনব্যবস্থার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে এখানে বলা হয়েছে, দেশের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীগুলোর দ্বন্দ্বের কারণে এখানে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। পাশপাশি লাগামহীন দুর্নীতি এ দেশে জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে উঠেছে।
সূচক অনুসারে, নির্ধারিত ১০০ মানের মধ্যে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীগুলোর দ্বন্দ্বের মান ৯২ দশমিক ২ এবং দুর্নীতির মান ৮১ দশমিক ৭।
সূচকের মেথোডলজিতে বলা হয়েছে, শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতার দ্বন্দ্ব জলবায়ু অভিযোজন প্রচেষ্টাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। জবাবদিহির অভাব এবং শাসন প্রক্রিয়ায় নাগরিক অংশগ্রহণ না থাকার কারণে জলবায়ু নীতিমালা প্রায়ই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়।
এ ধরনের দুর্নীতির চিত্রের কারণে বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে বিশ্বের দাতাসংস্থাগুলো বারবার ভাবে বলে মন্তব্য করেছে সিপিআরডির মো. শামসুদ্দোহা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে নানা ধরনের দুর্যোগ সংঘটিত হচ্ছে। যথাসময়ে পূর্বাভাস দেওয়া, যথাযথ মান নিশ্চিত করে উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণ, দুর্যোগ সংঘটিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দেওয়া, দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার দিকে যাওয়ার মতো প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এ সব দুর্যোগের ঝুঁকি কমানো যায়। কিন্তু যেভাবে বাংলাদেশে এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করার কথা ছিল, সেগুলো দুর্নীতির কারণে নিশ্চিত করা যায়নি। ফলে বাংলাদেশে সংসদ সদস্যরাও জনগণের ধাওয়ার সম্মুখীন হয়েছেন বলে আমরা দেখেছি।’
শামসুদ্দোহা বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে শাসনব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করা ছাড়া দেশকে জলবায়ুসহিষ্ণু করা সম্ভব না। ফলে শুধু আর্থিক সক্ষমতা সমাধান বয়ে আনতে পারে না। জলবায়ুর কারণে যে ঝুঁকিগুলো আসছে সেগুলোর গভীরতা অনুধাবন করার পাশাপাশি যে মানুষগুলো জলবায়ু ঝুঁকির মধ্যে আছে তা চিহ্নিত করা, যথাযথ পরিকল্পনা করা এবং অর্থায়নের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করলেই কেবল পরিস্থিতির উন্নয়ন সম্ভব। তা না হলে বিশ্বের দরবারে গিয়ে “উই আর ওয়ান অব দ্য মোস্ট ভালনারেবল কান্ট্রিজ” এটা বলে লাভ নেই।’
জলবায়ু অর্থায়ন ঝুঁকি সূচক নির্ধারণের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় বিবেচনা করেছেন গবেষকেরা। জলবায়ু ঝুঁকি, আর্থিক দুর্বলতা এবং সুশাসন।
জলবায়ু ঝুঁকির ক্ষেত্রে জেআরসির তথ্য ব্যবহার করে দুটি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এক. নির্ধারিত দেশগুলোর প্রাথমিক দুর্যোগ ঝুঁকি—যেমন বন্যা, ঘূর্ণিঝড় বা খরার মতো ঘটনা কতটা ঘন ঘন ও ভয়াবহ হয় এবং দুই. ২০৫০ ও ২০৮০ সাল পর্যন্ত ভবিষ্যতে জলবায়ুর সেই ঝুঁকি কতটা বাড়তে বা কমতে পারে তার ভিত্তিতে।
বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফের তথ্য ব্যবহার করে আর্থিক দুর্বলতাও নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দেখা হয়েছে, একটি দেশের ঋণ কতটা টেকসই, সে দেশ বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে কতটা যুক্ত এবং দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক কাঠামো যেমন ব্যাংক, শেয়ারবাজার ইত্যাদি কতটা উন্নত বা পরিপক্ব।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুসারে সুশাসনের সূচক হিসেবে যেসব বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে তা হলো—সরকারের নীতি বাস্তবায়নের দক্ষতা, আইনের শাসন, নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা ও স্বচ্ছতা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সহিংসতা বা সন্ত্রাসবাদের অনুপস্থিতি, নাগরিকদের মতপ্রকাশ ও জবাবদিহির সুযোগ, দুর্নীতির নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং ক্ষমতাবান গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব বা বিভাজন।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে নদীর প্লাবনে সৃষ্ট বন্যার ঝুঁকি এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। ভবিষ্যতে বন্যার এই প্রভাব আরও মারাত্মক হয়ে উঠবে। সম্প্রতি কলাম্বিয়া ক্লাইমেট স্কুল একটি প্রাথমিক সূচকে এমন তথ্য জানিয়েছে।
জলবায়ু অর্থায়ন ঝুঁকি নামের এই সূচকে (ক্লাইমেট ফাইন্যান্স ভালনারেবলিটি ইনডেক্স) বলা হয়েছে, উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যা এবং ভূমিকম্পের ঝুঁকিও সর্বোচ্চ। এসবের তুলনায় সুনামি ও ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের মাত্রা কিছুটা কম। আর খরার প্রভাব এখন অনেকটাই কমে এসেছে।
বলা হয়েছে, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার মোট জনসংখ্যার ৮ দশমিক ৪ শতাংশ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ মিটারের নিচে বাস করছে। ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যা হলে ক্ষয়ক্ষতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সুশাসনের অভাবের মতো নানা বিষয়। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ বলছে, কোনো দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সেই দেশের জলবায়ু কার্যক্রমের জন্য বরাদ্দ অর্থের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় বাধা হিসেবে কাজ করে। পাশাপাশি জলবায়ু সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোর ক্ষতি করে, বাস্তুচ্যুতি বাড়ায়, পরিবেশগত চাপ বৃদ্ধি করে এবং আইনের শাসনকে দুর্বল করে। এসব কারণ জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা ব্যাহত করে। ফলে দুষ্টচক্র তৈরি হয়ে পরিবেশের অবক্ষয় ঘটায়। এ কারণে সশস্ত্র ও সহিংস সংঘাতের ঘটনাও বেড়ে যায়।
সূচকে শূন্য থেকে ১০-এর মধ্যে একটি একটি মান নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে শূন্য বলতে সর্বনিম্ন ঝুঁকি আর ১০ অর্থ ঝুঁকির হার সর্বোচ্চ। এই সূচকে বাংলাদেশে নদীর প্লাবনে সৃষ্ট বন্যার ঝুঁকি ৯ দশমিক ৯। এ ছাড়া ভূমিকম্প ৮ দশমিক ৯, উপকূলীয় বন্যা ৮ দশমিক ৯, সুনামি ৮ দশমিক ১ এবং ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় ৭ দশমিক ৯ এবং খরার ঝুঁকি সবচেয়ে কম, মানের দিক থেকে ২ দশমিক ৪।
এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের ১৮৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হবে ১৩৬তম। অর্থাৎ বাংলাদেশ জলবায়ুসংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকিপূর্ণ লাল ক্যাটাগরিতে উঠে যাবে। আর যদি খুব আশাব্যঞ্জক কিছু ঘটে, তাহলেও দেশের অবস্থান ১৩০-এর নিচে নামবে না। বাংলাদেশ ছাড়াও ৬৫টি দেশ লাল ক্যাটাগরিতে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। সূচকটিতে দেশগুলোকে সবচেয়ে ভালো থেকে সবচেয়ে খারাপের দিকে নির্দেশ করতে সবুজ থেকে লাল রঙের দিকে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন পর্যায় ব্যবহার করা হয়েছে।
সূচকের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকির স্কোর এখন ৬৯ দশমিক ২ এবং আর্থিক ঝুঁকির স্কোর ৫৪ দশমিক ৯। দুটো মিলিয়ে সূচকে বাংলাদেশের বর্তমান স্কোর ১০০-এর মধ্যে ৬২।
সূচকটিতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সশস্ত্র বা সহিংস সংঘাতের তুলনামূলক চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সশস্ত্র বা সহিংস সংঘাতের তীব্রতা বর্তমানে মাঝারি। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের সংঘাত বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে, একই কারণে বড় আকারে সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকির মাত্রাও সর্বোচ্চ বলে নির্দেশ করছে এ সূচক।
জলবায়ুর কারণে যে ঝুঁকিগুলো আসছে সেগুলোর গভীরতা অনুধাবন করার পাশাপাশি যে মানুষগুলো জলবায়ু ঝুঁকির মধ্যে আছে তা চিহ্নিত করা, যথাযথ পরিকল্পনা করা এবং অর্থায়নের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করলেই কেবল পরিস্থিতির উন্নয়ন সম্ভব। তা না হলে বিশ্বের দরবারে গিয়ে “উই আর ওয়ান অব দ্য মোস্ট ভালনারেবল কান্ট্রিজ” এটা বলে লাভ নেই। মো. শামসুদ্দোহা, প্রধান নির্বাহী, সিপিআরডি
সূচক অনুযায়ী, ২০৫০ সাল নাগাদ ১৮৮টি দেশের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা এবং অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকবে নরওয়ে। তাদের পাশাপাশি ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন ও যুক্তরাষ্ট্রও উন্নত অবস্থানে আছে।
অন্যদিকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে থাকবে আফ্রিকার কিছু দেশ। তালিকার ১ নম্বরে আছে আফ্রিকার দেশ গিনি-বিসাউ। এই তালিকায় শেষের দিক থেকে ইরিত্রিয়া, ফিলিস্তিন, অ্যাঙ্গোলা, বুরুন্ডি, জাম্বিয়া ও সুদান আছে। যেগুলোকে বলা হচ্ছে ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’। এই দেশগুলো একদিকে যেমন জলবায়ু দুর্যোগে বিপর্যস্ত, অন্যদিকে আর্থিক ও রাজনৈতিকভাবেও খুবই দুর্বল।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস এবং সেন্টার ফর গ্লোবাল এনার্জি পলিসির গবেষকেরা এই সূচকটি তৈরি করেছেন। প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছে দ্য রকফেলার ফাউন্ডেশন। সূচক তৈরির ক্ষেত্রে মূলত ইউরোপিয়ান কমিশনের জয়েন্ট রিসার্চ সেন্টারের (জেআরসি) ইনফর্ম রিস্ক ইনডেক্স-২০২৫ এবং ইনফর্ম ক্লাইমেট চেঞ্জ ইনডেক্স-২০২২-এর তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং ফান্ড ফর পিসের তথ্যের সহায়তা নিয়েছেন গবেষকেরা।
অবশ্য এই সূচক এখনো প্রাথমিক পর্যায়ের একটি নমুনা বলে উল্লেখ করেছে কলাম্বিয়া ক্লাইমেট স্কুল। বলা হয়েছে, গবেষণার কাজে পরীক্ষামূলকভাবে এই সূচক তৈরি করা হয়েছে। সূচকে দেওয়া মানচিত্রে যে সীমানা ও নাম দেখানো হয়েছে, তা শুধু তথ্য দেওয়ার জন্য।
কলাম্বিয়া ক্লাইমেট স্কুল বলছে, বিশ্বের কোন দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বেশি বিপদে আছে এবং সেই বিপদ সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক সক্ষমতা বোঝাতে এই সূচক তৈরি করা হয়েছে। সূচকটি দেখিয়ে দেয়, কোন দেশগুলোর জরুরি ভিত্তিতে সাহায্য প্রয়োজন এবং তাদের জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান পরিস্থিতির ভয়াবহ চিত্রই প্রকাশ করে। তবে এর ফলে বিশ্বের জলবায়ুসংক্রান্ত তহবিলগুলো থেকে বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তা পাওয়া সহজ হবে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিপিআরডি) প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা। যদিও আর্থিক সহায়তা পেতে শুধু সূচক যথেষ্ট নয়, এর সঙ্গে অর্থের যথাযথ ব্যবহার, দুর্নীতিরোধ, রাষ্ট্রের সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জার্মানওয়াচের বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচক-২০২১ অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। বিষয়টি উল্লেখ করে সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা স্ট্রিমকে বলেন, ‘কলাম্বিয়া ক্লাইমেট স্কুলের সূচক এবং জার্মানওয়াচের সূচক হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে, ২০৫০ সালে বাংলাদেশের অবস্থান কিছুটা ভালোর দিকে যাবে। যেহেতু তাঁরা বলছে, এটি প্রাথমিক একটি নমুনা, ফলে তাদের চূড়ান্ত নমুনায় বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে ভবিষ্যতের প্রজেকশন যে আরও খারাপ হবে না, তা আমরা বলতে পারছি না।’
এই সূচকে নির্ধারিত দেশগুলোর শাসনব্যবস্থার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে এখানে বলা হয়েছে, দেশের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীগুলোর দ্বন্দ্বের কারণে এখানে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। পাশপাশি লাগামহীন দুর্নীতি এ দেশে জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে উঠেছে।
সূচক অনুসারে, নির্ধারিত ১০০ মানের মধ্যে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীগুলোর দ্বন্দ্বের মান ৯২ দশমিক ২ এবং দুর্নীতির মান ৮১ দশমিক ৭।
সূচকের মেথোডলজিতে বলা হয়েছে, শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতার দ্বন্দ্ব জলবায়ু অভিযোজন প্রচেষ্টাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। জবাবদিহির অভাব এবং শাসন প্রক্রিয়ায় নাগরিক অংশগ্রহণ না থাকার কারণে জলবায়ু নীতিমালা প্রায়ই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়।
এ ধরনের দুর্নীতির চিত্রের কারণে বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে বিশ্বের দাতাসংস্থাগুলো বারবার ভাবে বলে মন্তব্য করেছে সিপিআরডির মো. শামসুদ্দোহা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে নানা ধরনের দুর্যোগ সংঘটিত হচ্ছে। যথাসময়ে পূর্বাভাস দেওয়া, যথাযথ মান নিশ্চিত করে উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণ, দুর্যোগ সংঘটিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দেওয়া, দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার দিকে যাওয়ার মতো প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এ সব দুর্যোগের ঝুঁকি কমানো যায়। কিন্তু যেভাবে বাংলাদেশে এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করার কথা ছিল, সেগুলো দুর্নীতির কারণে নিশ্চিত করা যায়নি। ফলে বাংলাদেশে সংসদ সদস্যরাও জনগণের ধাওয়ার সম্মুখীন হয়েছেন বলে আমরা দেখেছি।’
শামসুদ্দোহা বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে শাসনব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করা ছাড়া দেশকে জলবায়ুসহিষ্ণু করা সম্ভব না। ফলে শুধু আর্থিক সক্ষমতা সমাধান বয়ে আনতে পারে না। জলবায়ুর কারণে যে ঝুঁকিগুলো আসছে সেগুলোর গভীরতা অনুধাবন করার পাশাপাশি যে মানুষগুলো জলবায়ু ঝুঁকির মধ্যে আছে তা চিহ্নিত করা, যথাযথ পরিকল্পনা করা এবং অর্থায়নের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করলেই কেবল পরিস্থিতির উন্নয়ন সম্ভব। তা না হলে বিশ্বের দরবারে গিয়ে “উই আর ওয়ান অব দ্য মোস্ট ভালনারেবল কান্ট্রিজ” এটা বলে লাভ নেই।’
জলবায়ু অর্থায়ন ঝুঁকি সূচক নির্ধারণের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় বিবেচনা করেছেন গবেষকেরা। জলবায়ু ঝুঁকি, আর্থিক দুর্বলতা এবং সুশাসন।
জলবায়ু ঝুঁকির ক্ষেত্রে জেআরসির তথ্য ব্যবহার করে দুটি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এক. নির্ধারিত দেশগুলোর প্রাথমিক দুর্যোগ ঝুঁকি—যেমন বন্যা, ঘূর্ণিঝড় বা খরার মতো ঘটনা কতটা ঘন ঘন ও ভয়াবহ হয় এবং দুই. ২০৫০ ও ২০৮০ সাল পর্যন্ত ভবিষ্যতে জলবায়ুর সেই ঝুঁকি কতটা বাড়তে বা কমতে পারে তার ভিত্তিতে।
বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফের তথ্য ব্যবহার করে আর্থিক দুর্বলতাও নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দেখা হয়েছে, একটি দেশের ঋণ কতটা টেকসই, সে দেশ বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে কতটা যুক্ত এবং দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক কাঠামো যেমন ব্যাংক, শেয়ারবাজার ইত্যাদি কতটা উন্নত বা পরিপক্ব।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুসারে সুশাসনের সূচক হিসেবে যেসব বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে তা হলো—সরকারের নীতি বাস্তবায়নের দক্ষতা, আইনের শাসন, নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা ও স্বচ্ছতা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সহিংসতা বা সন্ত্রাসবাদের অনুপস্থিতি, নাগরিকদের মতপ্রকাশ ও জবাবদিহির সুযোগ, দুর্নীতির নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং ক্ষমতাবান গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব বা বিভাজন।
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার পাইকর গ্রাম। ভাঙা ঘরের দাওয়ায় বিষণ্ন মুখে বসে আছেন বৃদ্ধ ভাদু শেখ। কপালের ভাঁজে ভাঁজে দুশ্চিন্তা—তাঁর মেয়েটি কি সুস্থভাবে দেশে ফিরতে পারবে? গর্ভপাত হয়ে যাবে না তো?
৬ দিন আগেটিকটক হইল এখনকার সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম। সোশ্যাল মিডিয়ার এই ভার্শনটা এমন যে আপনি দুইটা ট্যাপ দিলেই একটা ভিডিও বানায়া আপলোড করতে পারবেন। ক্যামেরা, এডিটিং, মিউজিক, ট্রেন্ডি সাউন্ড সব এক জায়গায়।
৭ দিন আগেবিশ্বের বিভিন্ন দেশেই দীর্ঘ দিনের স্বৈরশাসন ও দুর্নীতিগ্রস্ত শাসকদের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন ঘটায়নি, বরং অনেক ক্ষেত্রে সমাজের রাজনৈতিক কাঠামো, শাসন ব্যবস্থা ও মানুষের রাজনৈতিক অংশগ্রহণের দৃষ্টিকোণও বদলে দিয়েছে।
৭ দিন আগেফেনীতে নারী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার সূচনা হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ‘কোটা পূর্ণবহাল চলবে না’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে অনেকেই প্রথমবার মতামত জানান। সরাসরি অংশ নিতে ইচ্ছুকদের যুক্ত করা হয় একটি ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে। সেখান থেকেই শুরু রাজপথে সক্রিয়তা।
৭ দিন আগে