leadT1ad

চলতি মাসেই ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৬ অক্টোবর থেকে কমতে পারে বৃষ্টি

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ০৭
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। ছবি: সংগৃহীত

চলতি মাসেই বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তবে এর প্রভাব এখনই দেখা দেবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

প্রতিষ্ঠানটির দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অক্টোবর মাসে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

অক্টোবরের পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, চলতি মাসে যে টানা বৃষ্টি চলছে তা আগামী সোমবার (৬ অক্টোবর) থেকে কমে আসতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকাল থেকে যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে, তা থেমে থেমে চলবে। কিন্তু নতুন সপ্তাহের শুরুতে আবহাওয়ার উন্নতি হবে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে। তবে দু-এক দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যা দেশের উত্তর ও উত্তর-মধ্যাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা সৃষ্টি করতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, অক্টোবরের প্রথম ১৫ দিনে ঘূর্ণিঝড় বা নিম্নচাপের ঝুঁকি নেই। এ সময় পর্যন্ত মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকবে। তবে মাসের দ্বিতীয় ভাগে মৌসুমি বায়ু সরে গেলে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা বাড়বে। সাধারণত বঙ্গোপসাগরে এপ্রিল-মে ও অক্টোবর-নভেম্বর এই দুই সময়ে ঘূর্ণিঝড় বেশি হয়।

এরই মধ্যে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া একটি নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে ভারতের ওডিশা হয়ে ছত্তিশগড়ে অবস্থান করছে। তবে এর প্রভাবে দেশের কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ শরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, রংপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহীতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত জারি করা হয়েছে।

বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টির কারণে রংপুর অঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বাড়তে পারে। এতে লালমনিরহাট ও নীলফামারীর নিম্নাঞ্চল সাময়িক প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী কয়েক দিন সিলেট জেলা ও উজানের ভারতীয় অংশেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

এদিকে, সেপ্টেম্বর মাসের আবহাওয়ার সারসংক্ষেপে অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ মাসে দেশে গড় বৃষ্টি স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ কম হয়েছে। বেশির ভাগ জায়গায় বৃষ্টি কম পড়েছে, তবে সিলেট অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। মাসটিতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে, ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায়, ২২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপপ্রবাহ না থাকলেও আবহাওয়া ছিল ভ্যাপসা গরম।

Ad 300x250

সম্পর্কিত