বাংলাদেশের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য অনন্য সম্পদ উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান পরিবেশ উপদেষ্টা। পাশাপাশি বাংলাদেশের সমুদ্রজাত মাছের বিপুল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
স্ট্রিম প্রতিবেদক

সাগর ও মহাসাগর রক্ষায় বৈশ্বিক অংশীদারত্ব ও বহুমুখী সহযোগিতা জোরদার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-১৪ (এসডিজি) অর্জনের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণের একমাত্র উপায়।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) জাপানের টোকিওতে সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশন ভবনে ‘ওশেন ডিকেড ফিফ্থ ফাউন্ডেশনস ডায়ালগ–হাইলেভেল রাউন্ডটেবল উইথ অ্যাম্বাসেডরস, এক্সপার্টস অ্যান্ড প্র্যাকটিশনার্স' শীর্ষক সভায় ঢাকায় তাঁর বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশ বৈশ্বিকভাবে প্লাস্টিক দূষণে নবম অবস্থানে আছে, যার বড় অংশই আসে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে। প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় চলমান বৈশ্বিক চুক্তিতে ভৌগোলিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য বিশেষ বিধান থাকা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, জাহাজভাঙা শিল্প বাংলাদেশের উপকূলের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে হংকং কনভেনশনকে তিনি ‘অপর্যাপ্ত’ বলে অভিহিত করেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ৬৩টি দেশের কূটনৈতিক সম্মেলনে ‘হংকং কনভেনশন’ পাস হয়। জাহাজ ভাঙ্গার সময় পরিবেশ এবং মানবস্বাস্থ্যের ওপর যেন কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ে এই কনভেনশনের মাধ্যমে সেটি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের অর্থনীতি, আঞ্চলিক যোগাযোগ ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে উল্লেখ করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকার ইতোমধ্যে 'অ্যাসেসমেন্ট অব কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন বায়োডাইভার্সিটি রিসোর্সেস অ্যান্ড ইকোসিস্টেম' প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। যার মাধ্যমে জাতীয় ডাটাবেজ, সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ প্রটোকল তৈরি হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও এর প্রভাব বিষয়ে গবেষণাও সম্পন্ন হয়েছে।
যদি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তবে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাবে। এতে লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, উপদেষ্টা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন
বাংলাদেশের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য অনন্য সম্পদ উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান পরিবেশ উপদেষ্টা। পাশাপাশি বাংলাদেশের সমুদ্রজাত মাছের বিপুল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমাদের সামুদ্রিক মাছের সম্পদ যথাযথভাবে মূল্যায়িত হয়নি। আন্তর্জাতিক অংশীদারেরা চাইলে বাংলাদেশে টেকসই সমুদ্রজাত খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সতর্ক করে বলেন, যদি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তবে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাবে। এতে লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে। একই বিপদে রয়েছে বিশ্বের ৫২টি ছোট দ্বীপরাষ্ট্র। তাই বৈশ্বিক সংহতি এখন সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট আতসুশি সুনামি, জাপানে নরওয়ে দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টিন ইগ্লুম, ইউনেস্কো-আইওসি’র চেয়ার অধ্যাপক ইউতাকা মিচিদা, আইওসি-আইএনডিও সাব-কমিশনের চেয়ার সাইফ আলগাইস ও এওসিস–জাতিসংঘের ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র জোট— পালাউয়ের চেয়ার ও স্থায়ী প্রতিনিধি ইলানা ভি. সাইদ।

সাগর ও মহাসাগর রক্ষায় বৈশ্বিক অংশীদারত্ব ও বহুমুখী সহযোগিতা জোরদার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-১৪ (এসডিজি) অর্জনের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণের একমাত্র উপায়।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) জাপানের টোকিওতে সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশন ভবনে ‘ওশেন ডিকেড ফিফ্থ ফাউন্ডেশনস ডায়ালগ–হাইলেভেল রাউন্ডটেবল উইথ অ্যাম্বাসেডরস, এক্সপার্টস অ্যান্ড প্র্যাকটিশনার্স' শীর্ষক সভায় ঢাকায় তাঁর বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশ বৈশ্বিকভাবে প্লাস্টিক দূষণে নবম অবস্থানে আছে, যার বড় অংশই আসে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে। প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় চলমান বৈশ্বিক চুক্তিতে ভৌগোলিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য বিশেষ বিধান থাকা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, জাহাজভাঙা শিল্প বাংলাদেশের উপকূলের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে হংকং কনভেনশনকে তিনি ‘অপর্যাপ্ত’ বলে অভিহিত করেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ৬৩টি দেশের কূটনৈতিক সম্মেলনে ‘হংকং কনভেনশন’ পাস হয়। জাহাজ ভাঙ্গার সময় পরিবেশ এবং মানবস্বাস্থ্যের ওপর যেন কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ে এই কনভেনশনের মাধ্যমে সেটি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের অর্থনীতি, আঞ্চলিক যোগাযোগ ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে উল্লেখ করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকার ইতোমধ্যে 'অ্যাসেসমেন্ট অব কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন বায়োডাইভার্সিটি রিসোর্সেস অ্যান্ড ইকোসিস্টেম' প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। যার মাধ্যমে জাতীয় ডাটাবেজ, সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ প্রটোকল তৈরি হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও এর প্রভাব বিষয়ে গবেষণাও সম্পন্ন হয়েছে।
যদি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তবে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাবে। এতে লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, উপদেষ্টা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন
বাংলাদেশের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য অনন্য সম্পদ উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান পরিবেশ উপদেষ্টা। পাশাপাশি বাংলাদেশের সমুদ্রজাত মাছের বিপুল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমাদের সামুদ্রিক মাছের সম্পদ যথাযথভাবে মূল্যায়িত হয়নি। আন্তর্জাতিক অংশীদারেরা চাইলে বাংলাদেশে টেকসই সমুদ্রজাত খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সতর্ক করে বলেন, যদি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তবে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাবে। এতে লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে। একই বিপদে রয়েছে বিশ্বের ৫২টি ছোট দ্বীপরাষ্ট্র। তাই বৈশ্বিক সংহতি এখন সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট আতসুশি সুনামি, জাপানে নরওয়ে দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টিন ইগ্লুম, ইউনেস্কো-আইওসি’র চেয়ার অধ্যাপক ইউতাকা মিচিদা, আইওসি-আইএনডিও সাব-কমিশনের চেয়ার সাইফ আলগাইস ও এওসিস–জাতিসংঘের ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র জোট— পালাউয়ের চেয়ার ও স্থায়ী প্রতিনিধি ইলানা ভি. সাইদ।

দেশজুড়ে নির্বিচারে পাখি শিকার এখন জীববৈচিত্র্যের জন্য মহাবিপর্যয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার কলাতিয়া সংলগ্ন এলাকায় ফটোওয়াক ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করেছেন ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার, বার্ডওয়াচার ও পরিবেশবাদীরা।
১ দিন আগে
সারা দেশের কোথাও কোথাও ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। একই সঙ্গে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। আজ শুক্রবার মৌসুমি পূর্বাভাসে এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
৯ দিন আগে
পরিবেশ অধিদপ্তর সারা দেশে বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটা, নিষিদ্ধ পলিথিন এবং পরিবেশদূষণকারী শিল্পকারখানার বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেছে। বিভিন্ন আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী পরিচালিত এসব অভিযানে মোট ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
৯ দিন আগে
দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ২০২৪ ও ২০২৫ সালে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতার সম্মুখীন হয়েছে। কখনও তীব্র দাবদাহে, আবার কখনও সর্বগ্রাসী বন্যায় ভাসিয়ে প্রকৃতি যেন এই অঞ্চলের মানচিত্রকে নতুন করে আঁকতে চাইছে।
১৩ দিন আগে