leadT1ad

চার-পাঁচ বছরের আগে পাচারের অর্থ ফেরত আনা সম্ভব নয়: গভর্নর

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২৬
স্ট্রিম গ্রাফিক

বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ আগামী চার-পাঁচ বছরের আগে ফেরত আনা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

পাচার হওয়া টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনার বিষয়ে জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, ‘এ বিষয়ে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। সরকার এ বিষয়ে আন্তরিক।’

কতগুলো মামলা চিহ্নিত করতে পেরেছেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সংখ্যাটা এ মুহূর্তে মনে নেই। অনেকগুলো মামলা হয়েছে।’

মামলার ফলে অর্থ আসবে—এ ধরনের কোনো আশা পাচ্ছেন কি না জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, ‘আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। বিদেশ থেকে অর্থ আনতে ৪ থেকে ৫ বছর লাগে। এর নিচে হয় না। আমরা খুবই ভাগ্যবান হব, যদি লন্ডন থেকে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মামলার সমাধান হয়ে যায়। কারণ মামলাটা তারা লড়েনি, ফলে এমনিতেই মামলাটা তারা হেরে গেছে। সেখানে একটা সুযোগ আছে। সে টাকাটা কবে আসবে, সেটা তো আমি বলতে পারব না। সেটা ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, মে বা জুন মাস লাগতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘বাকিগুলো আবেদনের ওপর নির্ভর করে। সেটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। সেখানে আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের ধারণা, সাইফুজ্জামান তো মামলা লড়েননি। তিনি তো এমনিতেই হেরে গেছেন।’

এস আলমের বিষয়ে কী হলো—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনে এস আলম আরবিট্রেশন ফাইল করেছে। চোরের মায়ের বড় গলা। আমরা মামলাটা লড়ব।’

এর আগে গত ৬ অক্টোবর ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সভায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে দেশের সব তফসিলি ব্যাংককে আন্তর্জাতিক ১২টি আইনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে অন্তত ৩০টি ব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভার পর ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রাথমিকভাবে ১১টি স্থানীয় শিল্পগোষ্ঠীকে শনাক্ত করেছে। এগুলোর মধ্যে বসুন্ধরা, নাসা ও এস আলম গ্রুপের নাম রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এনডিএ (নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট বা অতি গোপনীয়তার চুক্তি) করে আমরা পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ শুরু করব। মূল উদ্দেশ্য হলো, যে টাকাটা চলে গেছে, তা ফেরত আনা।’

চুক্তির নির্দেশনার বিষয়ে ওমর ফারুক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ল ফার্ম ও অ্যাসেট রিকভারি প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করলে তারা টাকাগুলো বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করতে পারবে। কিছু ব্যাংক লিড ব্যাংক হিসেবে কাজ করবে; একাধিক ব্যাংক মিলে কনসোর্টিয়াম গঠন করা হবে এবং বাইরের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি করা হবে। এরপর দেখা হবে, সেই টাকা কীভাবে দেশে আনা যায়।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত