দিন কয়েক ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক সরগরম কন্টেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়াকে ঘিরে। প্রতিটি ভিডিওরে শেষে তাঁর হাসিমুখের বলা, ‘এটাই বাস্তব, কি কেমন দিলাম’—তরুণদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়। একজন খেটে খাওয়া মানুষের সহজ আবেগ দিয়ে মানুষকে ছুঁতে পেরেছেন তিনি। কিন্তু সেই বয়ানে এখন যেন ফাটল ধরতে শুরু করেছে।
বন্ধুর সঙ্গে টুকটাক কথা হচ্ছিলো মেসেঞ্জারে। সকাল সকাল সে একটি আইনি কাজ সারতে যাচ্ছিল শহরের আরেক প্রান্তে। বললাম, পূর্ব নির্ধারিত কাজ না থাকলে আমি সঙ্গে যেতে পারতাম। সে জবাব দিল, স্বামী সঙ্গে আছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবেই মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল, ওরে শাবানা!
রাজশাহীর পবা উপজেলায় সম্প্রতি একটি ঘটনা ঘটেছে। ঋণের দায়ে স্ত্রী-সন্তানসহ মিনারুল ইসলাম নামে এক যুবকের আত্মহত্যার পর তাঁর বাবা রুস্তম আলী ছেলের চল্লিশায় ১২ শ লোককে নিমন্ত্রণ করে খাওয়াইছেন। আর খাওয়ানোর জন্য এ খরচ তিনি জোগাড় করেছেন ঋণ করে। কেন এই প্রদর্শনবাদিতার অংশ হলেন তিনি? এর পেছনে কারণ কী?
ছাত্রসংসদ নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা বিশ্লেষণ করে যা দেখা যায় তা হলো, নারী প্রার্থীদের সংখ্যা খুবই নগন্য। আর এখন তারই প্রতিফলন ঘটছে দেশের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কভারেজেও।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের পোশাকসংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন ঘিরে নারীর পোশাক-বিতর্ক আবার চাঙা হয়ে উঠেছে। নারীর পোশাক নিয়ে আমাদের সমাজে কারও কারও মধ্যে কেন অস্বস্তি কাজ করে?
এ ধরনের গণ-ট্র্যাজেডি, সামষ্টিক আবেগ থেকে যা প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়, তা কভার করার ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের এমন অবস্থান অবশ্য নতুন নয়। দুর্দশাকে উপজীব্য করে সস্তা সাহিত্য রচনার চল রয়েছে বহু আগে থেকেই। মাইলস্টোন ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দেশের সংবাদমাধ্যমে সেই ঐতিহ্যই প্রবাহিত হয়েছে।
একজন নারী এখানে সহিংসতার শিকার হলেন। কিন্তু সেটি কী ধরনের সহিংসতা বা যে অপরাধটি ঘটল, তাকে আইনি প্রক্রিয়ায় অানার কোনো চেষ্টাই তৎক্ষনিকভাবে করা হল না; বরং সহিংসতার ‘সারভাইভার’কে আরও ভয়াবহভাবে সহিংসতার মুখে ঠেলে দেওয়া হল। আক্রান্ত নারীর ভিডিও ধারণ করলেন একাধিক ব্যক্তি। তাঁকে মারধরও করলেন।