২৬ জুন কুমিল্লার মুরাদনগরে সহিংসতার শিকার হন এক নারী। এরপর ২৮ জুন রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করা হয় সহিংসতার সেই ভিডিও। পরে আবার ভাইরাল হয় ভিডিওগুলো। যে নারী সহিংসতার শিকার হলেন, তাঁর প্রতি সহমর্মী না হয়ে কেন আমরা ছড়িয়ে দিলাম ভিডিও? এর পেছনে আমাদের কোন মনস্তত্ত্ব কাজ করে?
নাজিয়া আফরিন
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জনপ্রিয় মার্কিন শো ‘স্যাটার ডে নাইট লাইভ’–এর বড়দিনের বিশেষ পর্বে হলিউড তারকা স্কারলেট জোহানসনকে নিয়ে একটি অসংবেদনশীল কৌতুক পড়তে বাধ্য হন তাঁর স্বামী কলিন জস্ট। তিনি নিজে এই অনুষ্ঠানের দুই উপস্থাপকের একজন। আরেক উপস্থাপক হলেন মাইকেল চে। আর ‘স্যাটার ডে নাইট লাইভ’ অনুষ্ঠানের ঐতিহ্য হলো দুই উপস্থাপক পরস্পরের জন্য কৌতুক লিখবেন এবং অন্য উপস্থাপককে সেটি না জেনেই পড়তে হবে। এর অংশ হিসেবেই কলিন জস্টকে পড়তে হয় কৌতুকটি। মঞ্চের পেছনে দাঁড়িয়ে সরাসরি নিজের যৌনাঙ্গ নিয়ে স্বামীর ব্যাঙ্গাত্মক উপস্থাপনা হজম করতে হয় স্কারলেটকেও। বিশ্বখ্যাত তারকা হোক বা বাংলাদেশের কুমিল্লার মুরাদনগরের সাধারণ নারী—নিজের দেহের ওপর ‘এজেন্সি’ নারী আসলে কখনোই হাসিল করতে পারেনি।
ফরাসি দার্শনিক জঁ ফ্রাসোয়া লিওতার বলেছেন, একটি নির্দিষ্ট সময়সীমায় মানুষ একটি ‘গ্র্যান্ড ন্যারেটিভ’ বা মহাবয়ানের আওতাধীন থাকে। সে সময়ের ঐতিহাসিক ঘটনাবলি, আর্থসামাজিক, সাংস্কৃতিক ঘটন-অঘটন—সবকিছুই ওই মহাবয়ান দিয়ে প্রভাবিত হতে পারে। সেটা হতে পারে ধর্মবিশ্বাস, মতবাদ বা কোনো প্রযুক্তি। আর এই মহাবয়ান অবশ্যই ক্ষমতাকাঠামোর সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই বলা যেতে পারে, বয়ানের লাগাম যাঁর হাতে, ক্ষমতাও তাঁর হাতে।
কাউকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে তাই সবার আগে তাঁর বয়ান দেওয়ার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার প্রয়োজন হয়, আন্তোনিও গ্রামসি যাকে বলছেন ‘এজেন্সি’। ঔপনিবেশিক প্রেক্ষাপটে এই ‘বয়ানহীন’ মানুষদের তিনি বলছেন ‘সাব–অল্টার্ন’ বা নিম্নবর্গীয়; যাঁরা সামাজিক, রাজনৈতিক ও ভূতাত্ত্বিকভাবে ক্ষমতা–বিভাজনক্রমের একেবারে তলানিতে অবস্থান করেন। পুরুষতান্ত্রিক সমাজকাঠামোয় এই তলানিতেই নারীর অবস্থান—সে যে শ্রেণীরই হোন না কেন।
‘পুরুষ দেখবে আর নারীকে দেখা হবে’—এটিই স্বাভাবিক নিয়ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায় পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। দৃষ্টির এই দায়রায় শুধু দেহ নয়, নিজের ইমেজ বা উপস্থাপনের ওপরও নারীর কোনো কর্তৃত্ব নেই। বেঁধে দেওয়া কিছু উপস্থাপনের বাইরে নারীর তাই যাওয়ার সুযোগ কম।
এবার মুরাদনগরের ঘটনাটির দিকে চোখ ফেরাই। একজন নারী এখানে সহিংসতার শিকার হলেন। কিন্তু সেটি কী ধরনের সহিংসতা বা যে অপরাধটি ঘটল, তাকে আইনি প্রক্রিয়ায় আনার কোনো চেষ্টাই তাৎক্ষনিকভাবে করা হল না; বরং সহিংসতার ‘সারভাইভার’কে আরও ভয়াবহভাবে সহিংসতার মুখে ঠেলে দেওয়া হল। আক্রান্ত নারীর ভিডিও ধারণ করলেন একাধিক ব্যক্তি। তাঁকে মারধরও করলেন। এরপর অতি উৎসাহে কোনো ধরনের সম্মতি ছাড়াই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হল ভিডিওগুলো। আবার কোনো রকম ডাক্তারি পরীক্ষা ছাড়াই বলা হল তিনি ‘ধর্ষণ’-এর শিকার হয়েছেন (ঘটনার পাঁচদিনেও ডাক্তারি পরীক্ষা হয়নি)। এরপর আক্রমণকারীসহ বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ানোর অপতথ্য প্রচার করা হল, পুলিশের মতে, যার কোনো প্রমাণ তাঁরা পাননি।
এরপরের ঘটনা আরও ভয়াবহ। সহিংসতার শিকার নারীর বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করলেন সাংবাদিক, ইউটিউবার, রাজনৈতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। সামাজিক মর্যাদাহানি, অপমান ও লাঞ্ছনায় কাতর পরিবারটি এখন মুখ লুকিয়ে বেড়াচ্ছে। নিজেদের বাড়িতেই আর থাকার জো নেই তাঁদের। ওই নারী দুই সন্তানকে নিয়ে এখন এমন এক ভবিষ্যতের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন, যেখানে পদে পদে তাঁকে বহু স্তরের মানসিক ক্ষত বা ‘ট্রমা’র সঙ্গে লড়তে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার ক্লাস নেওয়ার সূত্রে ঘটনাটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল আমাকে, সাংবাদিকরা কেন নীতির বেড়া ডিঙিয়ে সহিংসতার শিকার নারীকে উন্মুক্ত করার মজমায় যুক্ত হলেন? এক ছাত্র আক্ষেপ নিয়ে বলছিলেন, ‘মানুষের আচরণ দেখলে মনে হয়, প্রদর্শনকামিতা যেন আসক্ত করে ফেলেছে আমাদের। সবারই শিরায় যেন ফোঁটায় ফোঁটায় ঢুকে পড়ছে ভিডিও, পোস্ট আর লাইক-শেয়ার আচ্ছন্নকারী মাদক।’ তাঁর কথায় আমার মনে পড়ে গেল ফরাসি রাজনৈতিক চিন্তক লুই আলথুসারের কথা।
ক্ষমতাসীনের দর্শন, বিশ্বাস আর দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিষ্ঠা ঘটে কালচারাল হেজিমনির মাধ্যমে। গ্রামসির এ চিন্তার আরও প্রসার ঘটিয়েছেন আরেক মার্ক্সবাদী তাত্ত্বিক লুই আলথুসার। তিনি বলেছেন, কোনো শক্তি প্রয়োগ ছাড়াই ক্ষমতাসীন শ্রেণি নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে পারে। সে ক্ষেত্রে শ্রমিক শ্রেণিকে মতাদর্শিকভাবে অধীন করতে হবে। অর্থাৎ ব্যক্তির চিন্তার শক্তিকে প্রভাবিত করতে হবে।
নব্য গ্রামসীয় তত্ত্বে ‘পপুলার কালচার’ বা জনসংস্কৃতি হচ্ছে সেই ক্ষেত্র, যেখানে সমাজে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর পক্ষের শক্তিগুলোর সমন্বয় আর শোষিত গোষ্ঠীর প্রতিরোধের মধ্যে ক্রমাগত সংঘাত চলছে। জনসংস্কৃতির বিস্তারিত ক্যানভাসের মধ্যে প্রকাশ ঘটে নিম্নবর্গের আচার, জীবনাচরণ, সর্বোপরি তাঁর মনের। আর জনসংস্কৃতির এই পরিসর এখন বিস্তৃত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে—যেখানে ক্রমাগত চলছে ভিডিও, পোস্ট, লাইক-কমেন্ট-শেয়ারের হরেক রকম খেলা। সেই খেলায় নিম্নবর্গকে মাতিয়ে রেখেই আধিপত্য বহাল রাখতে চায় ক্ষমতাকাঠামোর উপরিভাগের মানুষেরা। আর সেই নিম্নবর্গেরও যারা নিম্নবর্গ—সেই নারীর এজেন্সি সব সময়ই এই খেলায় সবচেয়ে বড় ঘুঁটি।
লেখক : শিক্ষক, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস; সাংবাদিক।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জনপ্রিয় মার্কিন শো ‘স্যাটার ডে নাইট লাইভ’–এর বড়দিনের বিশেষ পর্বে হলিউড তারকা স্কারলেট জোহানসনকে নিয়ে একটি অসংবেদনশীল কৌতুক পড়তে বাধ্য হন তাঁর স্বামী কলিন জস্ট। তিনি নিজে এই অনুষ্ঠানের দুই উপস্থাপকের একজন। আরেক উপস্থাপক হলেন মাইকেল চে। আর ‘স্যাটার ডে নাইট লাইভ’ অনুষ্ঠানের ঐতিহ্য হলো দুই উপস্থাপক পরস্পরের জন্য কৌতুক লিখবেন এবং অন্য উপস্থাপককে সেটি না জেনেই পড়তে হবে। এর অংশ হিসেবেই কলিন জস্টকে পড়তে হয় কৌতুকটি। মঞ্চের পেছনে দাঁড়িয়ে সরাসরি নিজের যৌনাঙ্গ নিয়ে স্বামীর ব্যাঙ্গাত্মক উপস্থাপনা হজম করতে হয় স্কারলেটকেও। বিশ্বখ্যাত তারকা হোক বা বাংলাদেশের কুমিল্লার মুরাদনগরের সাধারণ নারী—নিজের দেহের ওপর ‘এজেন্সি’ নারী আসলে কখনোই হাসিল করতে পারেনি।
ফরাসি দার্শনিক জঁ ফ্রাসোয়া লিওতার বলেছেন, একটি নির্দিষ্ট সময়সীমায় মানুষ একটি ‘গ্র্যান্ড ন্যারেটিভ’ বা মহাবয়ানের আওতাধীন থাকে। সে সময়ের ঐতিহাসিক ঘটনাবলি, আর্থসামাজিক, সাংস্কৃতিক ঘটন-অঘটন—সবকিছুই ওই মহাবয়ান দিয়ে প্রভাবিত হতে পারে। সেটা হতে পারে ধর্মবিশ্বাস, মতবাদ বা কোনো প্রযুক্তি। আর এই মহাবয়ান অবশ্যই ক্ষমতাকাঠামোর সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই বলা যেতে পারে, বয়ানের লাগাম যাঁর হাতে, ক্ষমতাও তাঁর হাতে।
কাউকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে তাই সবার আগে তাঁর বয়ান দেওয়ার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার প্রয়োজন হয়, আন্তোনিও গ্রামসি যাকে বলছেন ‘এজেন্সি’। ঔপনিবেশিক প্রেক্ষাপটে এই ‘বয়ানহীন’ মানুষদের তিনি বলছেন ‘সাব–অল্টার্ন’ বা নিম্নবর্গীয়; যাঁরা সামাজিক, রাজনৈতিক ও ভূতাত্ত্বিকভাবে ক্ষমতা–বিভাজনক্রমের একেবারে তলানিতে অবস্থান করেন। পুরুষতান্ত্রিক সমাজকাঠামোয় এই তলানিতেই নারীর অবস্থান—সে যে শ্রেণীরই হোন না কেন।
‘পুরুষ দেখবে আর নারীকে দেখা হবে’—এটিই স্বাভাবিক নিয়ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায় পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। দৃষ্টির এই দায়রায় শুধু দেহ নয়, নিজের ইমেজ বা উপস্থাপনের ওপরও নারীর কোনো কর্তৃত্ব নেই। বেঁধে দেওয়া কিছু উপস্থাপনের বাইরে নারীর তাই যাওয়ার সুযোগ কম।
এবার মুরাদনগরের ঘটনাটির দিকে চোখ ফেরাই। একজন নারী এখানে সহিংসতার শিকার হলেন। কিন্তু সেটি কী ধরনের সহিংসতা বা যে অপরাধটি ঘটল, তাকে আইনি প্রক্রিয়ায় আনার কোনো চেষ্টাই তাৎক্ষনিকভাবে করা হল না; বরং সহিংসতার ‘সারভাইভার’কে আরও ভয়াবহভাবে সহিংসতার মুখে ঠেলে দেওয়া হল। আক্রান্ত নারীর ভিডিও ধারণ করলেন একাধিক ব্যক্তি। তাঁকে মারধরও করলেন। এরপর অতি উৎসাহে কোনো ধরনের সম্মতি ছাড়াই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হল ভিডিওগুলো। আবার কোনো রকম ডাক্তারি পরীক্ষা ছাড়াই বলা হল তিনি ‘ধর্ষণ’-এর শিকার হয়েছেন (ঘটনার পাঁচদিনেও ডাক্তারি পরীক্ষা হয়নি)। এরপর আক্রমণকারীসহ বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ানোর অপতথ্য প্রচার করা হল, পুলিশের মতে, যার কোনো প্রমাণ তাঁরা পাননি।
এরপরের ঘটনা আরও ভয়াবহ। সহিংসতার শিকার নারীর বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করলেন সাংবাদিক, ইউটিউবার, রাজনৈতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। সামাজিক মর্যাদাহানি, অপমান ও লাঞ্ছনায় কাতর পরিবারটি এখন মুখ লুকিয়ে বেড়াচ্ছে। নিজেদের বাড়িতেই আর থাকার জো নেই তাঁদের। ওই নারী দুই সন্তানকে নিয়ে এখন এমন এক ভবিষ্যতের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন, যেখানে পদে পদে তাঁকে বহু স্তরের মানসিক ক্ষত বা ‘ট্রমা’র সঙ্গে লড়তে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার ক্লাস নেওয়ার সূত্রে ঘটনাটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল আমাকে, সাংবাদিকরা কেন নীতির বেড়া ডিঙিয়ে সহিংসতার শিকার নারীকে উন্মুক্ত করার মজমায় যুক্ত হলেন? এক ছাত্র আক্ষেপ নিয়ে বলছিলেন, ‘মানুষের আচরণ দেখলে মনে হয়, প্রদর্শনকামিতা যেন আসক্ত করে ফেলেছে আমাদের। সবারই শিরায় যেন ফোঁটায় ফোঁটায় ঢুকে পড়ছে ভিডিও, পোস্ট আর লাইক-শেয়ার আচ্ছন্নকারী মাদক।’ তাঁর কথায় আমার মনে পড়ে গেল ফরাসি রাজনৈতিক চিন্তক লুই আলথুসারের কথা।
ক্ষমতাসীনের দর্শন, বিশ্বাস আর দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিষ্ঠা ঘটে কালচারাল হেজিমনির মাধ্যমে। গ্রামসির এ চিন্তার আরও প্রসার ঘটিয়েছেন আরেক মার্ক্সবাদী তাত্ত্বিক লুই আলথুসার। তিনি বলেছেন, কোনো শক্তি প্রয়োগ ছাড়াই ক্ষমতাসীন শ্রেণি নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে পারে। সে ক্ষেত্রে শ্রমিক শ্রেণিকে মতাদর্শিকভাবে অধীন করতে হবে। অর্থাৎ ব্যক্তির চিন্তার শক্তিকে প্রভাবিত করতে হবে।
নব্য গ্রামসীয় তত্ত্বে ‘পপুলার কালচার’ বা জনসংস্কৃতি হচ্ছে সেই ক্ষেত্র, যেখানে সমাজে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর পক্ষের শক্তিগুলোর সমন্বয় আর শোষিত গোষ্ঠীর প্রতিরোধের মধ্যে ক্রমাগত সংঘাত চলছে। জনসংস্কৃতির বিস্তারিত ক্যানভাসের মধ্যে প্রকাশ ঘটে নিম্নবর্গের আচার, জীবনাচরণ, সর্বোপরি তাঁর মনের। আর জনসংস্কৃতির এই পরিসর এখন বিস্তৃত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে—যেখানে ক্রমাগত চলছে ভিডিও, পোস্ট, লাইক-কমেন্ট-শেয়ারের হরেক রকম খেলা। সেই খেলায় নিম্নবর্গকে মাতিয়ে রেখেই আধিপত্য বহাল রাখতে চায় ক্ষমতাকাঠামোর উপরিভাগের মানুষেরা। আর সেই নিম্নবর্গেরও যারা নিম্নবর্গ—সেই নারীর এজেন্সি সব সময়ই এই খেলায় সবচেয়ে বড় ঘুঁটি।
লেখক : শিক্ষক, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস; সাংবাদিক।
ইউরোপ এখন জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর একটি। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ইউরোপ দ্বিগুণ গতিতে উষ্ণ হয়ে উঠছে। সমাধান হিসেবে একদিকে রয়েছে এসি ব্যবহারের স্বল্পকালীন স্বস্তি, অন্যদিকে আছে এসি ব্যবহারের দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশগত ক্ষতি।
১ ঘণ্টা আগে১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তিতে দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রান্তের ভাগ্য বদলে গেল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও তাতে তার নাম ছিল না। এদিকে কাশ্মীর আন্তর্জাতিক ইস্যু থেকে হয়ে গেল দ্বিপাক্ষিক— এমন এক ইতিহাস যা আজও প্রাসঙ্গিক।
১ দিন আগে২০২৪ সালের ৫ জুন এক রায় দেন হাইকোর্ট। সেই রায়ে ২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। সেইসাথে, পূর্বের মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়।
২ দিন আগেজোহরান মামদানির জন্ম উগান্ডায়, কিন্তু আমরা কি জানি ভারতীয়রা সেখানে কীভাবে গেলেন? একসময় যারা গড়েছিল রেললাইন, শুরু করেছিল বাণিজ্য, পত্তন করেছিল নতুন শহর, সেই তাদেরকেই স্বৈরাচারী এক শাসকের ঘোষণায় এক কাপড়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। উগান্ডার সেই বিস্ময়কর ইতিহাস ফিরে দেখার সময় এখন।
২ দিন আগে