
.png)

পুতিনের দিল্লি সফর মূলত বাস্তববাদী স্বার্থের প্রতিফলন। ভারতের জন্য এটি প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সুযোগ, আর রাশিয়ার জন্য অর্থনৈতিক সহায়তার পথ অব্যাহত রাখার উপায়। যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবের মধ্যেও দুই দেশ তাদের সম্পর্ক ধরে রাখছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নয়াদিল্লিতে একদিনের শীর্ষ বৈঠক শুরু করেছেন। আলোচনায় বাণিজ্য বাড়ানো ও ইউক্রেন যুদ্ধ–সম্পর্কিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রধানভাবে উঠে আসবে। ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর পুতিনের এটি প্রথম ভারত সফর।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতে দুই দিনের সফর শুরু করছেন। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এটি পুতিনের প্রথম ভারক সফর। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং দুই দেশের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। সফরে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রাশিয়ার গ্যাস আমদানি বন্ধে ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ও ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট অস্থায়ী চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। এই চুক্তির ফলে ২০২৭ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে রাশিয়ার গ্যাস আমদানি বন্ধ করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একটি সুনির্দিষ্ট শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছে, যা কিয়েভ এবং পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে তীব্র বিতর্ক ও গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই প্রস্তাবের মূল ভিত্তি হলো যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ইউক্রেনকে তার সার্বভৌম ভূখণ্ডের উল্লেখযোগ্য অংশ, বিশেষত

ইউক্রেন কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের দুটি তেলবাহী ট্যাংকারে নৌ ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে। ট্যাংকার দুটির নাম ‘কাইরোস’ ও ‘ভিরাট’। তারা গাম্বিয়ার পতাকাবাহী এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল। হামলার সময় তারা নোভোরোসিস্ক বন্দরের পথে ছিল। হামলায় জাহাজে আগুন লাগে ও বড় ধরনের ক্ষতি

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া ইউরোপের অন্য কোনো দেশে আক্রমণ করবে না, এ বিষয়ে তিনি লিখিতভাবে নিশ্চয়তা দিতে প্রস্তুত। তাঁর দাবি, মস্কো ইউরোপ আক্রমণের পরিকল্পনা করছে, এই অভিযোগ ‘মিথ্যা’, ‘অমূলক’ এবং ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন’।

গত আট দশকে বিশ্বের কোনো বড় শক্তির মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ হয়নি। রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর এই কালপর্বকে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ শান্তির সময় হিসেবে গণ্য হয়। এই শান্তি একদিনে আসেনি—দুটি ভয়াবহ বিশ্বযুদ্ধের রক্তক্ষয়ী অভিজ্ঞতার পর বিশ্ব নেতারা বাধ্য হয়েছিলেন শান্তির প্রয়োজনীয়তা বুঝতে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন যৌথভাবে একটি সংশোধিত শান্তি কাঠামো ঘোষণা করেছে। এর লক্ষ্য চলমান যুদ্ধের সমাপ্তি নিশ্চিত করা। এই ঘোষণা জেনেভায় হওয়া নিবিড় কূটনৈতিক আলোচনার পর আসে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন যে তিনি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে প্রস্তুত। ফাঁস হওয়া ওই খসড়া পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইউক্রেনকে পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক অঞ্চলে এখনো যে এলাকাগুলো তারা নিয়ন্ত্রণ করে সেগুলোর একটি বড় অংশ ছেড়ে দিতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বিশ্বকে ১৫০ বার ধ্বংস করার মতো পারমাণবিক অস্ত্র আছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রবিবার মার্কিন বার্তা সংস্থা সিবিএসের সিক্সটি মিনিটস অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এই দাবি করেন।

যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দুই বৃহত্তম তেল কোম্পানি রোসনেফট ও লুকঅয়েল-এর বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণা ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিতে একটি বড় পরিবর্তন সূচিত করেছে।

রুশ তেল কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দুটি বৃহত্তম তেল কোম্পানি—রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম প্রায় ৫ শতাংশ বেড়ে গেছে।

কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে, বাংলাদেশি যুবকরা নিজেদের ‘বীরত্ব’ নিয়ে গর্ব করছে। এসব দৃশ্য বাংলাদেশে উদ্বেগ তৈরি করেছে এবং প্রশ্ন তুলেছে—এরা কি স্বেচ্ছায় যুদ্ধ করছে, নাকি জোরপূর্বক প্রচারণার অংশ?

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে বৈঠকের সময় নির্ধারিত ছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। মঙ্গলবার ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ‘বর্তমান সীমান্তে স্থগিত’ রাখার আহ্বান

বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের যুদ্ধে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ না করার নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জুয়েল আজাদ এ নোটিশ পাঠান।