leadT1ad

শুল্ক নিয়ে ‘বেশিরভাগ ইস্যুতে একমত’ বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র, আলোচনা আগামীকালও

স্ট্রিম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৫, ১২: ১৩
আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৫, ১২: ৪৭
স্ট্রিম গ্রাফিক

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক নিয়ে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিতীয় দফা আলোচনার প্রথম দিন শেষ হয়েছে। এতে বেশিরভাগ ইস্যুতেই উভয় পক্ষ একমত হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। অন্তবর্তী সরকারের প্রেস উইং তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ সময় বুধবার দিবাগত রাত ৩টায় এক ফেসবুক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজাও ওয়াশিংটন বৈঠক নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক ইস‍্যু নিয়ে আলোচনার প্রথম দিন শেষ হয়েছে। কাল, পরশুও আলোচনা চলবে। যুক্তি-তর্কে অধিকাংশ বিষয় নিয়ে দুইপক্ষ একমত হয়েছে। তবে এখনই শুল্ক ইস‍্যু নিয়ে মন্তব্য করা যাবে না।’

এ দিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে এই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (আজ) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় উভয় পক্ষ ফের বৈঠকে বসবে। শুক্রবারও আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান লিখেছেন, ‘প্রথম দিনের আলোচনার পরিধি ছিল ব্যাপক। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কৃষি, বাণিজ্য, জ্বালানি, মেধাস্বত্বসহ সব সেক্টরের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল। আমাদের প্রতিনিধিদল তাদের সমস্ত প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছে ও তাদের বক্তব্য শুনেছে।’

আগামীকাল মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টার বৈঠক হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের আলোচনার শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে।’

গতকালের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে আলোচনায় নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। ঢাকাস্থ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খালিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ভার্চুয়ালি আলোচনায় যুক্ত হন।

সকালেই ঢাকা থেকে ওয়াশিংটন পৌঁছে সরাসরি বৈঠকে অংশ নেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান ও অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী। অন্যদিকে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কৃষি, জ্বালানি, বাণিজ্য ও কপিরাইটবিষয়ক সংস্থাগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগ দেন।

সম্প্রতি তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামের ওপর শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও চীনের ওপর প্রস্তাবিত পারস্পরিক শুল্কহারও বাংলাদেশের চেয়ে কম।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের ওপর সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করায় রপ্তানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা।

Ad 300x250

সম্পর্কিত