leadT1ad

লংগদু-দীঘিনালা সড়কে যান বন্ধ, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ছাড়ার নির্দেশ

টানা বর্ষণে লংগদু-দীঘিনালা সড়ক ডুবে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাঙামাটি শহরের ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করেছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসন থেকে খোলা হয়েছে ২৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র।

স্ট্রিম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৫, ১৪: ৩২
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৫, ১৬: ২৭
টানা বর্ষণে ডুবে গেছে লংগদু-দীঘিনালা সড়ক। স্টিম ছবি

পার্বত্য অঞ্চলে পাঁচ দিন ধরে ভারী বর্ষণে সড়ক ডুবে গিয়ে লংগদু-দীঘিনালা সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া মাইনি নদীর পানি বেড়ে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার বেশ কিছু সড়কে পানি জমে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।

সোমবার (৭ জুলাই) থেকে পাহাড়ে টানা ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। এতে রাঙামাটির লংগদুর ও খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মধ্যে যাতায়াতের সড়ক ডুবে যাওয়ায় নৌকা দিয়ে চলাচল করছে যাত্রীরা।

লংগদুর আটারকছড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান অজয় মিত্র চাকমা জানান, আটারক ছড়ার তেঁতুলতলা এলাকার মূল সড়কে পানি উঠে গেছে। এতে সড়কে চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে।

দীঘিনালার মেরুং ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মিনা চাকমা জানান, হেডকোয়ার্টার এলাকায় বুধবার (৯ জুলাই) থেকে পানি বেড়ে যাওয়ায় লংগদু-দীঘিনালা সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। পানি বৃহস্পতিবারও (১০ জুলাই) কমেনি। লোকজন নৌকা আর ইঞ্জিনচালিত বোটে চলাচল করছে।

লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের একটা জায়গার পানি উঠে লংগদু-দীঘিনালা সড়কে যানচলাচল করা যাচ্ছে না। লোকজনের যাতায়াত করতে একটু কষ্ট হচ্ছে।

এদিকে রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, জেলা তথ্য কার্যালয় থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। রাঙামাটি জেলা প্রশাসন থেকে জেলায় ২৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

রাঙামাটি সদর ইউএনও রিফাত আসমা বলেন, ‘লোকনাথ মন্দিরের আশ্রয়কেন্দ্রে আটটি পরিবারের ৪০ জন আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আমাদের মাইকিং চলমান রয়েছে।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত