leadT1ad

যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যে গাজায় ইসরায়েলি হামলা, ৯ শিশু নিহত

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৫, ১৫: ৫৯
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৫, ১৬: ০৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) গাজার দেইর আল বালাহ শহরে শিশুদের পুষ্টিসামগ্রী নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৫ জন মারা যান। নিহতদের মধ্যে ৯ শিশু ও ৪ নারী রয়েছেন। ইসরায়েলি ওই হামলায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১৯ জন শিশু রয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজাজুড়ে অন্তত ৮২ জন নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল ত্রাণ নিতে আসা মানুষের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়ানো পরিবারগুলোকে হত্যা করা অমানবিক।

ক্যাথরিন বলেন, ‘অপর্যাপ্ত ত্রাণের জন্য শিশুরা না খেয়ে আছে, দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি বাড়ছে। ত্রাণ ও জরুরি সেবা পুরোপুরি চালু না হলে অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা আরও বাড়বে।’

ইসরায়েলের প্রতি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান ক্যাথরিন। সেই সঙ্গে এই হামলার তদন্ত করার দাবিও জানান তিনি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৭ হাজার ৭৬২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৬ জন।

যুদ্ধবিরতি নিয়ে যা হলো

গত রোববার (৬ জুলাই) থেকে মধ্যস্থতাকারীদের সাহায্যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল ও হামাস। এই আলোচনার উদ্দেশ্য, গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ রাখা এবং হামাসের হাতে থাকা বন্দিদের মুক্তি দেওয়া। হামাস জানিয়েছে, তারা ৬০ দিনের সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ১০ বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার সংগঠনটি জানায়, এখনো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সমাধান হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ ও ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের দাবি।

যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক বৈঠক শেষে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, তারা ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি ও গাজায় থাকা ৫০ বন্দির অর্ধেকের মুক্তির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

নেতানিয়াহু বলেন, এই চুক্তি হলে যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধের ব্যাপারে আলোচনায় যেতে প্রস্তুত ইসরায়েল। তবে এর জন্য শর্ত হলো, হামাসকে গাজা শাসন এবং সামরিক ক্ষমতা পুরোপুরি ত্যাগ করতে হবে।

এক ভিডিওবার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, ‘আলোচনার মাধ্যমে যদি এটি সম্ভব হয়, তাহলে ভালো। আর যদি ৬০ দিনের আলোচনার মাধ্যমে এটি না হয়, তাহলে আমরা শক্তি প্রয়োগ করে তা আদায় করব।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত