আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, বিজয়ের ৫৪ বছর পার হলেও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে চেতনার ব্যবসা বন্ধ হয়নি। ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, কিন্তু চেতনা নিয়ে কোনো ব্যবসা চলতে পারে না। তাই তথাকথিত চেতনার ঊর্ধ্বে উঠে নিরেট জায়গা থেকে ১৯৭১-কে ধারণ করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, 'দুঃখজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতার এত বছর পরেও জাতি একটি নির্ভুল শহীদ তালিকা পায়নি। অতীতে যে সরকারই এসেছে, তারা নিজেদের খেয়াল-খুশিমতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অপব্যবহার করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কোনো দল বা গোষ্ঠীর একক সম্পত্তি নয়। এর প্রকৃত অর্থ হলো—আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গড়া।'
তিনি আরও বলেন, 'মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল ইনসাফ, মানবিক মর্যাদা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার সংগ্রাম। কিন্তু বিজয়ের এত বছর পরেও সেই ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করা হয়েছে এবং বারবার মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, 'বর্তমান নির্বাচন কমিশনের আচরণে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো নিশ্চয়তা নেই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রধান উপদেষ্টার উচিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা।'
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, 'আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে মতের ভিন্নতার কারণে কেউ নির্যাতিত হবে না এবং তরুণ সমাজ তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ পাবে। বিজয় দিবস কেবল অতীত স্মরণের দিন নয়, এটি ভবিষ্যৎ নির্মাণের শপথের দিন। ভয় ও মিথ্যার রাজনীতি পরিহার করে তরুণদের সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে হবে।'
সকাল ১০টায় এবি পার্টির পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. ওহাব মিনার, ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি ও আলতাফ হোসাইন প্রমুখ।