leadT1ad

কামারুজ্জামান, মীর কাসেম, সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল: মির্জা ফখরুল

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর | ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ শাসনামলে জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, মীর কাসেম আলী ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ অনেক আলেম-ওলামাকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে আয়োজিত দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে এ দেশের সমস্ত শক্তিগুলো— যারা গণতন্ত্রকামী তারা নির্যাতিত ও নিপীড়িত হয়েছেন। প্রায় ৬০ লাখ রাজনৈতিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ২০ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এক হাজার ৭০০ জনকে গুম করা হয়েছে।

'আলেম–ওলামা, জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ, মাওলানা কামারুজ্জামান, মীর কাসেম আলী—এই পত্রিকার (দৈনিক নয়া দিগন্ত) প্রকাশক ছিলেন, সালাউদ্দিন কাদেরসহ তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে মিথ্যা মামলায়।' যোগ করেন তিনি।

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর দেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে সব পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একাত্তরের স্বাধীনতার পরে মিডিয়ার ওপর অত্যাচার হয়েছে, বাকশাল প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরে সব সংবাদমাধ্যমকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

‘আমার মনে পড়ে, তখন সাংবাদিকরা বেকার হয়ে গিয়েছিলেন; তখন বায়তুল মোকাররমের সামনে হকারের কাজ করতেন তাদের অনেকে। তখন কোনো পত্রিকা ছিল না।’

সেই একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলেও জানান মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তনের পরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রথম একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে বহুদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তখন যে সংস্কারগুলো প্রয়োজন ছিল, সেটা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান করেছিলেন। পরবর্তীতে সেই ধারাবাহিকতা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

‘জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটা নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার। দলের পক্ষ থেকে সেইসব শহীদদের শ্রদ্ধা জানাই। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হবে। আশা করছি, সঠিক সময়েই নির্বাচন হবে। আমরা মনে করি, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের মধ্য দিয়েই একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ পাব,’ বলেন বিএনপি মহাসচিব।

গেল ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের পর দেশে যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সেটি কাজে লাগিয়ে সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে আহ্বান জানান তিনি।

এসময় সব রাজনৈতিক দলকে ছোটখাট সমস্যাগুলো দূরে রেখে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ।

Ad 300x250

সম্পর্কিত