leadT1ad

প্রশাসন দখলে নিতে চাওয়া নেতাকে শোকজ জামায়াতের

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ১৮
চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে জামায়াতের জেলার নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের সমাবেশে শনিবার বক্তৃতা করেন শাহজাহান চৌধুরী। ছবি সংগৃহীত

প্রশাসন দখলে নেওয়ার কথা বলে বিতর্কিত কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটি জানিয়েছে, গতকাল সোমবার (২৪ নভেম্বর) তাঁকে এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের নির্দেশে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। ‘কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না’– মর্মে দেওয়া এ নোটিশের জবাব আগামী সাত দিনের মধ্যে লিখিত দিতে শাহজাহান চৌধুরীকে বলা হয়েছে। এ সময়ে জবাব না দিতে পেলে সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘আমাদের কথায় প্রশাসন উঠবে, আমাদের কথায় বসবে’– সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর এমন বক্তব্য সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর জামায়াত জানিয়েছিল, বক্তব্যটি শাজাহান চৌধুরীর একান্ত ব্যক্তিগত। তারা এ ধরনের বক্তব্য সমর্থন করে না।

শাহজাহান চৌধুরী চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগড়া) আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী। গত ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন হলে দলের ‘নির্বাচনী দায়িত্বশীল সম্মেলনে’ দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন শুধু জনগণ দিয়ে নয়, যার যার নির্বাচনী এলাকায় প্রশাসনের যারা আছে, তাদের সবাইকে আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে, আমাদের কথায় গ্রেপ্তার করবে, আমাদের কথায় মামলা করবে।’

গতকাল সোমবার বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে তাঁর এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানায়। এতে শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যকে ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পুলিশের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সংগঠন নিয়ে অতিমাত্রায় রাজনৈতিক বক্তব্যের শামিল’ বলে উল্লেখ করা হয়।

মিয়া গোলাম পরওয়ারের সই করা নোটিশে বলা হয়, আপনার (শাজাহান চৌধুরী) এই বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। আমরা বক্তব্যটি দেখেছি, যা রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের পেশাদারিত্ব, নিরপেক্ষতা ও মূল স্পিডকে স্পষ্টভাবে ব্যাহত করেছে। আমরা মনে করি, প্রশাসন পূর্ণ পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করবে, এখানে আমাদের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই।

এতে আরও বলা হয়, ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময়ে আপনি এই ধরনের সাংগঠনিক ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্নকারী ও শৃঙ্খলাবিরোধী বক্তব্য রেখেছেন। যার ফলে আপনাকে কয়েকবার সতর্ক ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমনকি আমিরে জামায়াতও আপনাকে ডেকে দৃষ্টি আকর্ষণ এবং সতর্ক করেছেন। এর পরও আপনার মধ্যে কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যটি প্রকাশের পর প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর থেকে তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে। কূটনৈতিক মহল থেকেও সরাসরি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে। এই বক্তব্যের কারণে ইতিমধ্যে সংগঠনের ভাবমর্যাদা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটিকে দলীয় গঠনতন্ত্র, নীতি, আদর্শ, শৃঙ্খলা ও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক আচরণের পরিপন্থি বলে উল্লেখ করেছেন গোলাম পরওয়ার।

Ad 300x250

সম্পর্কিত