.png)

স্ট্রিম প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় এক জামায়াত নেতা বলেছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদের বুকের ওপর দাঁড়িয়ে। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মালিক। তাঁরা জমিদার। ফলে জমিদারের ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করবে, এটা তাঁরা মেনে নেবেন না। বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ‘যথাযথ সম্মান’ না দিলে জনগণ নিয়ে যা করা দরকার তা তারা করে নেবেন।
ফেসবুকে তাঁর এই বক্তব্যটি ভাইরাল হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের বিবৃতি দিয়ে ওই বক্তব্য ‘প্রত্যাখ্যান’ করেছে।
গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চবির পার্শ্ববর্তী জোবরা গ্রামের বাসিন্দারা এক সভায় মিলিত হন। সম্প্রতি এই গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গুরুতর সংঘর্ষের ঘটনো ঘটেছে। সভায় চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ইটা (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। সেইজন্য আমরা গর্ব (করি)। আমরা হচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার মালিক। আমরা জমিদার, ঠিক কি না? জমিদারের ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করবে, এটা কি আমরা মেনে নিতে পারি? কখনো না! আমরা অতীতেও মেনে নেইনি, সামনেও মেনে নেবো না।’
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়টা হচ্ছে আমাদের বুকের ওপর। আমরা হচ্ছি এই জায়গার মালিক, এই জন্য আমরা অন্যায় কোনো কিছু মেনে নেব না। আমাদের সম্মান করতে হবে। সম্মান দেওয়ার মতো পরিবেশ আমরা করে নেব। বিশ্ববিদ্যালয় যদি আমাদের যথাযথ সম্মান না করে, তাইলে আমরা জনগণ নিয়ে যেইটা করা দরকার, এইটা ইনশাআল্লাহ আমরা সামনে করবো।’
ওই সভায় ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অফিস সম্পাদক হাবিবুল্লাহ খালেদও বক্তব্য রাখেন। জামায়াত নেতার বক্তব্যের আগে তিনি বলেন, ‘ভুল–বোঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। প্রকৃত সন্ত্রাসীরা এই এলাকার নয়, বাইরে থেকে এসেছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এলাকাবাসীর কাছে আহ্বান জানাই, আপনারা তো কখনো এ ধরনের কাজ করেননি; যাঁরাই করেছে, তাঁদের ধরিয়ে দিন। খবর আসছে রাউজানসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধভাবে এসেছেন। সবাই মিলে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখা উচিত।’
বৃহস্পতিবারের এই সভার বক্তব্য ভাইরাল হওয়ার পর শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর, এ এফ রহমান হল ও শহীদ ফরহাদ হোসেন হলের সামনে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলে করেন।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘চবি নিয়ে জমিদারি, চলবে না, চলবে না’; ‘চাটুকাররা গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’; ‘সন্ত্রাসীদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’; ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এই পরিস্থিতিতে জামায়াতের ওই নেতার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিবৃতি দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির। বিবৃতিতে সংগঠনটি ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাঁদের দফতর সম্পাদকের বক্তব্যের জন্য দুঃখও প্রকাশ করেছে।
স্ট্রিমের হাতে আসা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাটহাজারী উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও দলীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সিরাজুল ইসলাম জোবরা এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অহংকারী ভাষায় ও শিক্ষার্থীদের জন্য অপমানজনক যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে। তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা প্রকৃত সন্ত্রাসীদের অপকর্মকে আড়াল করে দেয়। তাঁর বক্তব্য স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দায়মুক্তি দেওয়ার নামান্তর।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদকও প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে পারেননি জানিয়ে বলা হয়, হাবিবুল্লাহ খালেদের বক্তব্যে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের অপরাধকে লঘু করে কেবল বহিরাগত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের অপকর্ম ফুটে উঠেছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় এক জামায়াত নেতা বলেছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদের বুকের ওপর দাঁড়িয়ে। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মালিক। তাঁরা জমিদার। ফলে জমিদারের ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করবে, এটা তাঁরা মেনে নেবেন না। বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ‘যথাযথ সম্মান’ না দিলে জনগণ নিয়ে যা করা দরকার তা তারা করে নেবেন।
ফেসবুকে তাঁর এই বক্তব্যটি ভাইরাল হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের বিবৃতি দিয়ে ওই বক্তব্য ‘প্রত্যাখ্যান’ করেছে।
গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চবির পার্শ্ববর্তী জোবরা গ্রামের বাসিন্দারা এক সভায় মিলিত হন। সম্প্রতি এই গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গুরুতর সংঘর্ষের ঘটনো ঘটেছে। সভায় চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ইটা (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। সেইজন্য আমরা গর্ব (করি)। আমরা হচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার মালিক। আমরা জমিদার, ঠিক কি না? জমিদারের ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করবে, এটা কি আমরা মেনে নিতে পারি? কখনো না! আমরা অতীতেও মেনে নেইনি, সামনেও মেনে নেবো না।’
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়টা হচ্ছে আমাদের বুকের ওপর। আমরা হচ্ছি এই জায়গার মালিক, এই জন্য আমরা অন্যায় কোনো কিছু মেনে নেব না। আমাদের সম্মান করতে হবে। সম্মান দেওয়ার মতো পরিবেশ আমরা করে নেব। বিশ্ববিদ্যালয় যদি আমাদের যথাযথ সম্মান না করে, তাইলে আমরা জনগণ নিয়ে যেইটা করা দরকার, এইটা ইনশাআল্লাহ আমরা সামনে করবো।’
ওই সভায় ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অফিস সম্পাদক হাবিবুল্লাহ খালেদও বক্তব্য রাখেন। জামায়াত নেতার বক্তব্যের আগে তিনি বলেন, ‘ভুল–বোঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। প্রকৃত সন্ত্রাসীরা এই এলাকার নয়, বাইরে থেকে এসেছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এলাকাবাসীর কাছে আহ্বান জানাই, আপনারা তো কখনো এ ধরনের কাজ করেননি; যাঁরাই করেছে, তাঁদের ধরিয়ে দিন। খবর আসছে রাউজানসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধভাবে এসেছেন। সবাই মিলে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখা উচিত।’
বৃহস্পতিবারের এই সভার বক্তব্য ভাইরাল হওয়ার পর শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর, এ এফ রহমান হল ও শহীদ ফরহাদ হোসেন হলের সামনে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলে করেন।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘চবি নিয়ে জমিদারি, চলবে না, চলবে না’; ‘চাটুকাররা গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’; ‘সন্ত্রাসীদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’; ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এই পরিস্থিতিতে জামায়াতের ওই নেতার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিবৃতি দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির। বিবৃতিতে সংগঠনটি ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাঁদের দফতর সম্পাদকের বক্তব্যের জন্য দুঃখও প্রকাশ করেছে।
স্ট্রিমের হাতে আসা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাটহাজারী উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও দলীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সিরাজুল ইসলাম জোবরা এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অহংকারী ভাষায় ও শিক্ষার্থীদের জন্য অপমানজনক যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে। তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা প্রকৃত সন্ত্রাসীদের অপকর্মকে আড়াল করে দেয়। তাঁর বক্তব্য স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দায়মুক্তি দেওয়ার নামান্তর।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদকও প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে পারেননি জানিয়ে বলা হয়, হাবিবুল্লাহ খালেদের বক্তব্যে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের অপরাধকে লঘু করে কেবল বহিরাগত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের অপকর্ম ফুটে উঠেছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।
.png)

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিজের জীবনের ‘শেষ নির্বাচন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির মহাসচিব ঘোষিত তালিকায় অনুল্লিখিত আসনগুলোতে মিত্র দলগুলোর প্রার্থী দেওয়ার সম্ভাবনাও আলোচনায় এসেছে। ফলে চূড়ান্ত ঘোষণার আগ পর্যন্ত ঝুলেই থাকছে আলোচনায় থাকান দলের চার প্রার্থীর ভাগ্য।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করলেও একটি আসন থেকে ঘোষিত নাম স্থগিত করেছে বিএনপি।
৪ ঘণ্টা আগে
নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গে ‘আলোচনা ছাড়াই’ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এই অসন্তোষের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে