leadT1ad

হাসিনাকে ফেরত দিন: ভারতকে মির্জা ফখরুল

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৪
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে ফেরত দিতে প্রতিবেশী দেশ ভারতের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা দলের আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, হাসিনা ভারতে বসে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। একবারের জন্যও অনুশোচনা প্রকাশ করেননি। ভারতে বসে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। ভারতকে পরিষ্কার করে বলতে চাই, হাসিনাকে আপনারা বাংলাদেশের কাছে ফেরত দিন। তাকে বাংলাদেশের আইনে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার ব্যবস্থা করে দিন। সবসময় বাংলাদেশের বিরোধিতা করবেন না। বাংলাদেশের মানুষ সেটা মেনে নেবে না।

এ সময় জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া সুপারিশে এমন কিছু আনা হয়েছে, যেটা সই হওয়া জুলাই সনদে নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এটিকে অন্যায় হিসেবে বিবেচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পার্লামেন্টের সামনে বৃষ্টির মধ্যে মাথায় ছাতা ধরে আমরা জুলাই সনদে সই করেছি। এখানে কথা ছিল, যেসব বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল একমত, সেগুলোতে সই হয়ে গেছে। আর যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে না; আপত্তি দেবে না, সেই নোট অব ডিসেন্ট লিপিবদ্ধ করে রাখা হবে। সেগুলো লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে, আমরা সই করেছি।’

‘কিন্তু এখন প্রধান উপদেষ্টার কাছে তারা যে প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন, সেখানে নোট অব ডিসেন্টের কোনো কথাই নেই। তারা আবার নতুন করে কিছু বিষয় সেখানে নিয়ে এসেছে। এটা অন্যায়। এটা জনগণের সঙ্গে নিঃসন্দেহে প্রতারণামূলক কাজ। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা এটিকে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছি। রাস্তায় যাইনি, প্রতিবাদ করিনি। প্রধান উপদেষ্টার বাড়ি কিংবা নির্বাচন কমিশনও ঘেরাও করিনি,’ যোগ করেন তিনি।

এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ বলেন, একটি রাজনৈতিক দল জোট বানিয়ে বিভিন্নভাবে এই সরকারকে বাধ্য করতে চায় যে তাদের কথাই শোনতে হবে। আমাদের কথা পরিষ্কার, আমরা যেটা সই করেছি, সেটার দায়দায়িত্ব অবশ্যই গ্রহণ করবো। কিন্তু যেটা সই করিনি, সেটার দায়দায়িত্ব গ্রহণ করবো না।

‘আমরা চাই, বিষয়গুলো আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান হোক। আগামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন করতে হবে। পিআর হবে কি হবে না; সেটা আগামী পার্লামেন্ট সিদ্ধান্ত নেবে। গণভোটের কথায় আমরা রাজি হয়েছি; ঠিক আছে। গণভোটের কোনো প্রয়োজন ছিল না। তবুও রাজি হয়েছিলাম। আমরা বলেছি, নির্বাচনের দিনই গণভোট করতে হবে। কারণ, আলাদাভাবে গণভোট করতে হলে রাষ্ট্রীয় খরচ হাজার কোটি টাকার বেশি বেড়ে যাবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলছেন যে যেকোনো সময় হামলা হতে পারে। তার পরিষ্কার করে বলা উচিত ছিল—হামলা কোথা থেকে আসবে? কারা করবে? এই হামলা-মামলার ভয় দেখিয়ে এ দেশের মানুষকে কখনও পরাজিত করা যায় না। এ দেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত