leadT1ad

তারেক রহমান নভেম্বরের মধ্যেই দেশে ফিরছেন: সালাহউদ্দিন আহমদ

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন বলে অনেক দিন ধরে শোনা গেলেও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ এতদিন জানা যায়নি। অবশেষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই দলের নির্বাহী প্রধান দেশে ফিরবেন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “এখন পর্যন্ত যে সিদ্ধান্ত আছে, সে অনুযায়ী নভেম্বরের মধ্যেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান।”

২০০৭ সালে এক-এগারোর সেনা-সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর গ্রেপ্তার হন তারেক রহমান। ২০০৮ সালে জরুরি অবস্থার সময় কারামুক্ত হয়ে সপরিবারে লন্ডনে চলে যান তিনি। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুপস্থিত অবস্থায় পাঁচ মামলায় তাঁর সাজা হয়, পাশাপাশি শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়। তার বক্তব্য ও বিবৃতি প্রচারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করছেন সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করছেন সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পাল্টে যায় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। তারেক রহমান আবার রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন এবং সব মামলা থেকে খালাস পান। তবুও এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি দেশে ফেরেননি।

সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান জানান, তিনি শিগগিরই দেশে ফিরবেন। এর পর থেকেই তার দেশে ফেরার সময়সূচি নিয়ে জল্পনা চলছে।

আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি বৃহৎ জোট গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “এনসিপির সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা চলছে। তবে বিএনপি ও এনসিপি আনুষ্ঠানিকভাবে জোটভুক্ত হবে কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। জোটভুক্ত হওয়ার বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।”

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের অনুমোদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আরপিও সংশোধনে অনেক বিষয়ে আমরা একমত ছিলাম। তবে ২০(১) উপধারা অনুযায়ী জোটভুক্ত হলে দলগুলো অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারত—এই বিধানটি পরিবর্তনের বিষয়ে অধিকাংশ দলই একমত ছিল না। কিন্তু যেভাবে আরপিও পাস করা হয়েছে, তাতে ছোট দলগুলো জোটে আসতে নিরুৎসাহিত হবে এবং তাদের বড় নেতারা সুযোগ হারাবেন।”

একতরফাভাবে আরপিও সংশোধনী পাস হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “বিএনপি একটি বহুদলীয় ও শক্তিশালী সংসদ দেখতে চায়। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এই সংশোধনী পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি।”

তিনি আরও জানান, বিষয়টিতে আনুষ্ঠানিক আপত্তি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেবে বিএনপি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “চলতি অক্টোবর মাসেই অন্তত ২০০ আসনে বিএনপির একক প্রার্থীদের গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হবে।”

Ad 300x250

সম্পর্কিত