leadT1ad

গণতন্ত্র মঞ্চের কেবল মান্না-সাকির আসন ফাঁকা রাখল বিএনপি

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

উপরের বাঁ দিক থেকে মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকি (নিচে বাঁয়ে) ও হাসনাত কাইয়ুম। ছবি: সংগৃহীত

যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী গণতন্ত্র মঞ্চের জ্যেষ্ঠ কয়েকজন নেতাকে অনেকটা পাশ কাটিয়ে বিভিন্ন আসনে প্রার্থী দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এসব নেতাদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু।

তবে গণতন্ত্রের মঞ্চের শরীক গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহসভাপতি তানিয়া রবের আসনটি ফাঁকা রেখেছে বিএনপি। তবে তানিয়া রবের আসনে বিএনপি দুবারের সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজানকে অনানুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন দিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

এর আগে ২০২২ সালের ৮ আগস্ট প্রগতিশীল সাতটি দল নিয়ে তৈরি হয় গণতন্ত্র মঞ্চ। শুরুতে সাত দল থাকলেও গণঅধিকার পরিষদ বের হয়ে গেলে ছয় দলের মোর্চায় পরিণত হয় মঞ্চটি। ছয় দলের এই মঞ্চ বিএনপির যুগপৎ আন্দোলন, ৩১ দফা প্রণয়ণে যুক্ত ও সমর্থন দিয়েছিল।

আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চলতি বছরের ৩ নভেম্বর প্রথম দফায় ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। দ্বিতীয় দফায় বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দলটি।

দুই দফা প্রার্থী ঘোষণায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক সাকির পছন্দের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসন ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার পছন্দের বগুড়া-২ আসনটি ফাঁকা রেখেছে বিএনপি।

তবে ছয় দলীয় এই মোর্চার সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুমের পছন্দের কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে দ্বিতীয় দফায় প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। যদিও মাঝে শোনা গিয়েছিল আসন বণ্টন নিয়ে টানাপোড়েন থেকে মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। গুঞ্জন উঠেছিল নাগরিক পার্টির সঙ্গে জোট গড়ারও। তবে সেই গুঞ্জন আর বাস্তবে রূপ নেয়নি। কিন্তু বিএনপিও তার পছন্দের আসনে প্রার্থী দিয়েছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের শরীক দল বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের পছন্দের ঢাকা-৮ আসনে অবশ্য প্রথম দফায়ই প্রার্থী দিয়েছিল দলটি। আর ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর পছন্দের জামালপুর-৫ আসনেও প্রথম দফায়ই প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বিএনপি। তবে জেএসডি সহসভাপতি তানিয়া রবের পছন্দের লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে এখনও প্রার্থী দেয়নি দলটি।

তবে, লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সাবেক দুবারের সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজানকে অনানুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। নিজান কেন্দ্রীয় বিএনপির সহশিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক।

এদিকে, গত ৯ অক্টোবর ১২০ আসনের প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। গণতন্ত্রের মঞ্চের ছয়টি দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে বগুড়া-২ আসনে, সাইফুল হককে ঢাকা-৮ আসনে, জোনায়েদ সাকিকে ব্রাক্ষণবাড়িয়া-৬ আসনে, তানিয়া রবকে লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে, হাসনাত কাইয়ুমকে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে এবং শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুকে জামালপুর-৫ আসনের জন্য মনোনীত করা হয়।

অন্যদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বিএনপি সমমনাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এতে বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা পরিস্থিতিকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে। বেগম জিয়ার শারিরীক অবস্থার এমন অবনতি হলে বিএনপি আদৌ নির্বাচন করতে পারবে কি না সেই প্রশ্ন আছে। তবে নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত