leadT1ad

জোটবদ্ধ দলের প্রতীক বাছাইয়ের স্বাধীনতা চান সালাহউদ্দিন

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ১৪
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

যেসব রাজনৈতিক দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করবে তারা নিজেদের কিংবা জোটের যেকোনো দলের প্রতীক নিয়ে যাতে নির্বাচন করতে পারেন—সেই স্বাধীনতা চেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে দেখা করে এ সংক্রান্ত একটি চিঠিও হস্তান্তর করেন তিনি।

সম্প্রতি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন হয়েছে। এতে একগুচ্ছ পরিবর্তন আনা হয়। যার মধ্যে দলের জোটগত ভোটের বিষয়ে পরিবর্তন এনে বলা হয়েছে, জোট মনোনীত হলেও প্রার্থীকে ভোট করতে হবে নিজ দলের প্রতীকে।

এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে গত ২৬ অক্টোবর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনকে চিঠি দেয় বিএনপি। সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে নিজেদের আপত্তির কথাও জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ।

এরপর আজ বিষয়টি নিয়ে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন বিএনপির বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘যেসব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করবে, তারা হয় নিজেদের প্রতীক বা জোটের অন্য প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার একটা স্বাধীনতা আগে ছিল। সেই আইনের সংশোধনীর খসড়া যখন আমরা দেখেছি—নির্বাচন কমিশনও আমাদের পাঠিয়েছিল যে এ বিষয়ে মতামত আছে কি না। এখানে অনেকগুলো সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি সংশোধনীর সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করেছি। বেশ কয়েকটি বিধানও সেখানে যুক্ত ছিল। আমরা সবগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করেছি। শুধু এই বিধানটির সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন আইনটি যাচাইয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়, তখনও অনানুষ্ঠানিকভাবে সরকারের প্রতিনিধির সঙ্গে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে আমি আলোচনা করেছিলাম। তখন তিনি বলেছিলেন, এটি সরকারের নজরে আনবেন। বিষয়টি আলোচনা করে যাতে একট সমাধান হয়, সেটা বিবেচনা করবেন বা সরকার বিবেচনা করতে পারে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যের ভাষ্য, ‘তারপর এ বিষয়ে তাঁর (আইন উপদেষ্টা) সঙ্গে আবার কথা বলেছি। এ বিষয়ে আমাদের যে উদ্বেগ—আগে যে বিষয়টি ছিল, সেটি যাতে বহাল থাকে—সে জন্য আমরা আবেদন করেছি। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে কাগজটি তাঁকে দিয়েছি। কয়েকদিন আগে নির্বাচন কমিশনকেও একই চিঠি দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আশা করছি, বহুদলীয় গণতন্ত্রের স্বার্থে এই বিধানটি আগের মতো বহাল থাকবে। কারণ, আমরা মনে করি অনেক দলের আকার ছোট হলেও সেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নেতৃত্ব আছেন। তারা নির্বাচিত হয়ে আসতে পারলে জাতীয় সংসদ সমৃদ্ধ হবে। বহু দলের, বহু আদর্শের প্রতিনিধিত্ব থাকলে জাতীয় সংসদ সমৃদ্ধ হয়, আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে তারা ভূমিকা রাখতে পারবেন।’

আইন উপদেষ্টা কী বলেছেন জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, তিনি সরকারের কাছে বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তারপর কী করা যায়, সেটা বিবেচনা করে দেখবেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত