স্ট্রিম প্রতিবেদক

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘দেশের আপামর জনগণ পুরোনো, বস্তাপঁচা, দুর্গন্ধময় সেই রাজনীতি আর চায় না। এই রাজনীতির আমূল পরিবর্তন চায়। নতুন বাংলাদেশ দেখতে চায়। নতুন বাংলাদেশ পুরোনো ফর্মুলায় আর চলবে না।’
আজ শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় এক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। ভাষানটেকের বিআরপি মাঠে ঢাকা-১৭ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী এসএম খালিদুজ্জামানের পক্ষে ছাত্র-যুব ও নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াত আমির শফিকুর রহমান। বক্তব্যে চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী ‘নতুন বাংলাদেশের জন্য নতুন ফর্মুলার’ ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামীতে জনগণ কোনো দলের পক্ষপাতদুষ্ট কোনো সরকার দেখতে চায় না। জনগণ দেখতে চায় জনগণের সরকার, যে সরকারের নিয়োজিত প্রতিটি ব্যক্তি নিজের জন্য চিন্তা করার আগে জনগণের স্বার্থ নিয়ে ভাববে। জনগণের স্বার্থ জনগণের হাতে তুলে দেওয়ার পর জনগণের অংশ হিসেবে সেও তার অংশ ভোগ করবে।’
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘বিপুল পরিমাণ রক্ত আর জীবন দিয়ে চব্বিশের পরিবর্তন এসেছে। মানুষ আশা করেছিল ফ্যাসিবাদ চিরদিনের জন্য বাংলার জমিন থেকে খতম হয়ে যাবে। বিদায় নেবে। আফসোসের বিষয় ফ্যাসিবাদ বিদায় নেয় নাই। ফ্যাসিবাদীদের একটা অংশ বিদায় নিয়েছে কিন্তু ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশে রয়ে গেছে।’
এ পর্যায়ে ফ্যাসিবাদ টিকে থাকার লক্ষণ হিসেবে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, দখলদারি, নারীদের অসম্মান করা ও দেশকে গায়ের জোরে অস্থির করে তোলার কথা বলেন তিনি।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণ যাদের কর্মসূচি সমর্থন করে, যাদের বক্তব্যে আস্থা রাখে তাদেরকে বাছাই করে নেবে। আমরা তাদেরকে অভিনন্দন জানানোর জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। যদি আমাদের দলকে জনগণ বেছে নেয়, আমরা সকল রাজনৈতিক দল এবং শক্তিকে আহ্বান জানাবো, আপনারাও আমাদেরকে সমর্থন দেবেন, অভিনন্দন জানাবেন এবং আপনাদেরকে সাথে নিয়ে আমরা দেশ গড়ব।’
সুশাসন, সুবিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ তৈরি করা গেলে সমাজে ‘বিভাজনের রাজনীতির ব্যবসা চলবে না’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ পর্যায়ে কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে জামায়াত আমির বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেটে আসতে পারবে না চিন্তা করে এখন কোনো কোনো জায়গায় পুরাতন সন্ত্রাসীরা নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। কোথাও আমাদের প্রচারমিছিলে গুলি চালানো হচ্ছে। কোথাও মা-বোনদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। কোথাও আমাদের প্রচার উপাদান উপকরণসমূহ ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে, সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।’
জামায়াত ক্ষমতায় আসলে নারীদের বন্দী করে ফেলা হবে—এমন ‘অপপ্রচারও’ চালানো হচ্ছে বলে জানান জামায়াত আমির।
এছাড়া সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের দেশে অন্য ধর্মের মানুষের অধিকার নিয়েও কথা বলেন জামায়াত আমির। তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় কোনো বিশ্বাস ধারণ করা প্রত্যেক নাগরিকের নিজস্ব ব্যাপার। এখানে কোনো জোর-জবরদস্তি চলবে না।… আগামী নির্বাচনে জামাতে ইসলামীর হয়েও তাদের (ভিন্ন ধর্মাবলম্বী) কেউ কেউ ইনশাআল্লাহ সংসদ সদস্য পদে লড়াই করবে। এর মাধ্যমে আমরা জাতিকে ঐক্যের জায়গায় আনতে চাচ্ছি।’
জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বের সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা-১৭ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী এসএম খালিদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশবাসীকে বলতে চাই—আগামীতে গুমমুক্ত, খুনমুক্ত, বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র গঠন করতে চাইলে দাঁড়িপাল্লার বিকল্প নাই।’
এছাড়া নির্বাচিত হলে তিনি এলাকার সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ‘মানবিক ঢাকা’ গড়ে তোলার কাজে অংশী হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
মূল সবাবেশস্থলের অদূরে ছিল নারীদের বসার জায়গা। সেখানে জামায়াত আমিরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্য বড় পর্দায় প্রদর্শন করা হয়।

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘দেশের আপামর জনগণ পুরোনো, বস্তাপঁচা, দুর্গন্ধময় সেই রাজনীতি আর চায় না। এই রাজনীতির আমূল পরিবর্তন চায়। নতুন বাংলাদেশ দেখতে চায়। নতুন বাংলাদেশ পুরোনো ফর্মুলায় আর চলবে না।’
আজ শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় এক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। ভাষানটেকের বিআরপি মাঠে ঢাকা-১৭ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী এসএম খালিদুজ্জামানের পক্ষে ছাত্র-যুব ও নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াত আমির শফিকুর রহমান। বক্তব্যে চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী ‘নতুন বাংলাদেশের জন্য নতুন ফর্মুলার’ ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামীতে জনগণ কোনো দলের পক্ষপাতদুষ্ট কোনো সরকার দেখতে চায় না। জনগণ দেখতে চায় জনগণের সরকার, যে সরকারের নিয়োজিত প্রতিটি ব্যক্তি নিজের জন্য চিন্তা করার আগে জনগণের স্বার্থ নিয়ে ভাববে। জনগণের স্বার্থ জনগণের হাতে তুলে দেওয়ার পর জনগণের অংশ হিসেবে সেও তার অংশ ভোগ করবে।’
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘বিপুল পরিমাণ রক্ত আর জীবন দিয়ে চব্বিশের পরিবর্তন এসেছে। মানুষ আশা করেছিল ফ্যাসিবাদ চিরদিনের জন্য বাংলার জমিন থেকে খতম হয়ে যাবে। বিদায় নেবে। আফসোসের বিষয় ফ্যাসিবাদ বিদায় নেয় নাই। ফ্যাসিবাদীদের একটা অংশ বিদায় নিয়েছে কিন্তু ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশে রয়ে গেছে।’
এ পর্যায়ে ফ্যাসিবাদ টিকে থাকার লক্ষণ হিসেবে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, দখলদারি, নারীদের অসম্মান করা ও দেশকে গায়ের জোরে অস্থির করে তোলার কথা বলেন তিনি।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণ যাদের কর্মসূচি সমর্থন করে, যাদের বক্তব্যে আস্থা রাখে তাদেরকে বাছাই করে নেবে। আমরা তাদেরকে অভিনন্দন জানানোর জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। যদি আমাদের দলকে জনগণ বেছে নেয়, আমরা সকল রাজনৈতিক দল এবং শক্তিকে আহ্বান জানাবো, আপনারাও আমাদেরকে সমর্থন দেবেন, অভিনন্দন জানাবেন এবং আপনাদেরকে সাথে নিয়ে আমরা দেশ গড়ব।’
সুশাসন, সুবিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ তৈরি করা গেলে সমাজে ‘বিভাজনের রাজনীতির ব্যবসা চলবে না’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ পর্যায়ে কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে জামায়াত আমির বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেটে আসতে পারবে না চিন্তা করে এখন কোনো কোনো জায়গায় পুরাতন সন্ত্রাসীরা নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। কোথাও আমাদের প্রচারমিছিলে গুলি চালানো হচ্ছে। কোথাও মা-বোনদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। কোথাও আমাদের প্রচার উপাদান উপকরণসমূহ ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে, সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।’
জামায়াত ক্ষমতায় আসলে নারীদের বন্দী করে ফেলা হবে—এমন ‘অপপ্রচারও’ চালানো হচ্ছে বলে জানান জামায়াত আমির।
এছাড়া সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের দেশে অন্য ধর্মের মানুষের অধিকার নিয়েও কথা বলেন জামায়াত আমির। তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় কোনো বিশ্বাস ধারণ করা প্রত্যেক নাগরিকের নিজস্ব ব্যাপার। এখানে কোনো জোর-জবরদস্তি চলবে না।… আগামী নির্বাচনে জামাতে ইসলামীর হয়েও তাদের (ভিন্ন ধর্মাবলম্বী) কেউ কেউ ইনশাআল্লাহ সংসদ সদস্য পদে লড়াই করবে। এর মাধ্যমে আমরা জাতিকে ঐক্যের জায়গায় আনতে চাচ্ছি।’
জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বের সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা-১৭ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী এসএম খালিদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশবাসীকে বলতে চাই—আগামীতে গুমমুক্ত, খুনমুক্ত, বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র গঠন করতে চাইলে দাঁড়িপাল্লার বিকল্প নাই।’
এছাড়া নির্বাচিত হলে তিনি এলাকার সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ‘মানবিক ঢাকা’ গড়ে তোলার কাজে অংশী হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
মূল সবাবেশস্থলের অদূরে ছিল নারীদের বসার জায়গা। সেখানে জামায়াত আমিরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্য বড় পর্দায় প্রদর্শন করা হয়।

বাউলদের পক্ষে ‘অবস্থান’ নেওয়ায় সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন হেফাজত ইসলামের নেতারা। একইসঙ্গে তারা এই ইস্যুতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহারকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
১২ মিনিট আগে
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।
২ ঘণ্টা আগে
ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ) দেশের রাজনীতিতে গুণগত সংস্কার আনতে চায় বলে জানিয়েছেন প্ল্যাটফর্মটের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ। তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতার রাজনীতিতে বিশ্বাসী না। আমরা জনগণের ক্ষমতায়নের রাজনীতি করতে চাই।
৩ ঘণ্টা আগে
বাউল আবুল সরকারের ‘আল্লাহদ্রোহী, অবমাননাকর ও ঈমান-বিধ্বংসী’ বক্তব্যের কারণে সৃষ্ট ক্ষোভের জেরে তাঁর গ্রেপ্তার হওয়াকে আইনের শাসন রক্ষার স্বস্তিদায়ক পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক।
৯ ঘণ্টা আগে