leadT1ad

বন্দর রক্ষায় হরতাল-অবরোধের হুঁশিয়ারি, সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৫, ২৩: ৩৭
বন্দর রক্ষা ও করিডর বিরোধী আন্দোলন-এর মশাল মিছিল। সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামের লালদিয়া চর ও ঢাকার পানগাঁও কন্টেইনার টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানির কাছে ইজারা দেওয়ার চুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে বিভিন্ন বামপন্থী ও প্রগতিশীল সংগঠন। ‘বন্দর রক্ষা ও করিডোর বিরোধী আন্দোলন’-এর ব্যানারে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, এখতিয়ার-বহির্ভূতভাবে বন্দর ইজারা দেওয়ার সকল প্রচেষ্টা দেশের জনগণ নস্যাৎ করে দেবে এবং প্রয়োজনে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিলে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘এখতিয়ার বহির্ভূত ও বেআইনিভাবে চট্টগ্রাম বন্দর ইজারা দেওয়ার প্রচেষ্টা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। হাইকোর্টের নির্দেশনাও তারা মানছে না।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘২০০৬ সালে নোবেল পাওয়ার পরে ড. ইউনূস দেশে ফিরেই চট্টগ্রাম বন্দর উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। আজ ১৯ বছর পরে এসে তিনি বন্দর বিদেশিদের ইজারা দেওয়ার মধ্য দিয়ে তার স্বপ্ন পূরণ করছেন। জনগণের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির তাঁবেদারি করতেই বন্দর ইজারার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

সভাপতির বক্তব্যে ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সাবেক সভাপতি ডা. এম এ সাঈদ বলেন, ‘দেশের সকল জাতীয় ও কৌশলগত সম্পদের মালিক দেশের জনগণ। দেশের জনগণকে অন্ধকারে রেখে চট্টগ্রাম বন্দর ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার সরকারের নেই।’ তিনি বলেন, ‘সরকার যে অজুহাতে বন্দর ইজারা দিতে চায় সেটি যুক্তিযুক্ত নয়। দেশীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি করে বন্দর পরিচালনা করতে হবে।’

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির কার্যকরী সভাপতি আনোয়ার হোসেন রেজা, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াতসহ অন্যান্য ছাত্র ও যুব সংগঠনের নেতারা।

সমাবেশ শেষে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে পুরানা পল্টন মোড় ও জিরো পয়েন্ট ঘুরে পুনরায় পুরানা পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত