leadT1ad

জুলাই সনদের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে দায় সরকারের: বিএনপি

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

বিএনপির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: প্রেস উইংয়ের সৌজন্যে

স্বাক্ষরিত জুলাই সনদে উল্লিখিত বিষয়ের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সই করা রাজনৈতিক দলগুলো তা মানতে বাধ্য নয় বলে মনে করে বিএনপি। দলটি বলছে, ‘সেই ক্ষেত্রে সব দায়দায়িত্ব সরকারের ওপর বর্তাবে। এই ব্যাপারে সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানস্থ দলটির চেয়ারপার্সনের কার্যালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের দলের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান।

এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে আলোচনার ভিত্তিতে গত জুলাই মাসে জাতীয় সংসদ বিলুপ্তির একমত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে রচিত জুলাই জাতীয় সনদ বিগত ১৭ অক্টোবরের স্বাক্ষরিত হয় এবং দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী তা বাস্তবায়ন সবার দায়িত্বাবদ্ধ হয়।’

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে কেউ কেউ জুলাই জাতীয় সনদের বাইরে কোনো বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণার প্রসঙ্গে যে সব বক্তব্য দিয়েছেন, তা ‘বিভ্রান্তিকর এবং ঐক্যভিত্তির ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্ত আঘাত’ করার শামিল বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই যে, জুলাই জাতীয় সনদে উল্লেখিত বিষয়াদি বাইরে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে সনদের স্বাক্ষরকারী কোনো দলের জন্য তা মান্য করার বাধ্যবাধকতা থাকবে না। সেই ক্ষেত্রে সব দায়দায়িত্ব সরকারের ওপর বর্তাবে। এ ব্যাপারে সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

সোমবার রাতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। বিএনপি স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আমরা যে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছিলাম সেখানে স্পষ্ট কিছু বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট ছিল। সেখানে এটা উল্লেখ ছিল পরবর্তীতে এগুলো নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ থাকবে। অথচ কমিশন সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশমালায় বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট বাদ দিয়েছে। আরো অনেক বিষয় যোগ করেছে যেগুলো আলোচনায় ছিল না।’

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জুলাই সনদের ব্যাপারে বিএনপি নোট অব ডিসেন্টসহ আগের অবস্থাতেই আছে। তাছাড়া গণভোটের ব্যাপারে বলেছি জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একইদিনে হতে হবে।’

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করে, কিন্তু আদেশ জারি করার কোনো বিধান বর্তমান সময় এখানে নেই। কিন্তু যদি এখন কোনো প্রজ্ঞাপনকে আদেশ নামকরণ করতে চায় এবং সেটার আইনি মর্যাদা না থাকে; সেটা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার প্রকাশ করতে পারেন, তবে আইন হবে না।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সংবিধানে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার এখতিয়ার কারো নেই। অথচ এটি বাস্তবায়নে গণভোটের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে জামায়াতসহ কিছু রাজনৈতিক দল। এরা নির্বাচন চায় না, এরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তবে জনগণ সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মেজর (অব.) হাফিজ এবং সালাউদ্দীন আহমেদ।

Ad 300x250

সম্পর্কিত