leadT1ad

ডিম মারা সংস্কৃতি বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক: ডা. তাহের

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৯
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ডা. তাহের। ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি

ডিম মারা সংস্কৃতি বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেনের যারা ডিম মেরেছে, তারা দেশকে অসম্মানিত করেছে। এতে তারা নিজেরাই অপমানিত হয়েছে। এ ধরনের অসভ্য সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া উচিত।’ নিউইয়র্কের ম‍্যানহাটনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেছেন তিনি।

নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিনিধি দলের সদস্য আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করেছে বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার নেতাকর্মীরা। বাংলাদেশ সময় সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৮ নম্বর টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকা প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে জামায়াতের পক্ষ থেকে রয়েছেন সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে মোহাম্মদ নকিবুর রহমান। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে আটটায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আব্দুল্লাহ তাহেরের একটি ভিডিও পোস্ট করেন নকিবুর রহমান।

ভিডিওতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে বলতে শোনা যায়,‘ এটা আমি এখানে এসেই জানতে পেরেছি। এয়ারপোর্টে থাকাবস্থায় এটা আমি জানতাম না। এয়ারপোর্টে প্রচুর বাংলাদেশি লোকেরা আমাকে সংবর্ধনা দিয়েছে, স্লোগান দিয়েছে এবং স্বাগত জানিয়েছে। একারণে বাকি কাজটা আমি টের পাইনি।’

তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে আমি খুব বিব্রতবোধ করি না এজন্য যে, বাংলাদেশের এই নেগেটিভ কালচারটা আগে থেকেই হয়ে আসছিল। যখন কোনো সরকার প্রধান সফর করে বিরোধীদল যেই থাকে আইসা এইখানে স্লোগান দেয়। এটা যেহেতু একটা ডেমোক্রেটিক দেশ, দশ-বিশজন আইসা স্লোগান দিতে পারে। এটা একটা ব্যাড কালচার (বাজে সংস্কৃতি) নিঃসন্দেহে। তবে উদ্বিগ্ন বা হতাশ হওয়ার মতো ব্যতিক্রমধর্মী কোনো ঘটনা নয়। কারণ দশজন আইসাও একটা ডিম মাইরা দিতে পারে।’

তবে ডিম মারা সংস্কৃতি বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক জানিয়ে তিনি বলেন,‘এই কালচারটা খুবই নেগেটিভ। এটার অবসান হওয়া উচিত। এখানে এটা যারা করেছে তারাও অপমানিত হয়েছে। যারা করেছে তারাই কনডেমন হয়েছে। তারাই বাংলাদেশকে অসম্মানিত করেছে। কারণ যেকোনো একজন লোক বিদেশ থেকে আসবে আরেকজন লোক পাশে দাঁড়িয়ে ডিম একটা মারবে, এটা যার ওপরে মারছে তার এখানে দায়-দায়িত্ব নাই। সে অপমানিত হওয়ারও কিছু আমি মনে করি না।’

বাংলাদেশ হাইকমিশনের ব্যবস্থাপনা নিয়ে জানতে চাইলে এটাকে তিনি এটাকে নিঃসন্দেহে ‘হাইকমিশনের ম্যানেজমেন্ট ব্যর্থতা’ বলে চিহ্নিত করেছেন। হাইকমিশনের আরও প্রস্তুতি নেওয়া দরকার ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ক্ষেত্রে কমিউনিকেশন গ্যাপ ছিল। আমরা বড় দুইটা দলের প্রতিনিধিরা এখানে এসেছি এনসিপিসহ। কো-অর্ডিনেশন থাকলে, আমরা সব একসাথে আসলে আওয়ামী লীগের কারো সাধ্য ছিল না ধারেকাছে আসার।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত