স্ট্রিম প্রতিবেদক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঠেকাতে গণভবনে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন তিনি। এই মামলায় তিনি একজন আসামি ছিলেন, তবে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দেন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে চৌধুরী মামুনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এদিন বেলা পৌনে ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তাঁর সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাজসাক্ষী মামুন বলেন, মারণাস্ত্র ব্যবহারে প্রধানমন্ত্রীকে প্ররোচিত করেন কামাল, আনিসুল, ফজলে নূর তাপস, সালমান এফ রহমান, ওবায়দুল কাদের, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মির্জা আজম, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেননসহ কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতাকর্মী ছাড়াও ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে সরকারকে উৎসাহিত করেন আওয়ামীপন্থী বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মী ও ব্যবসায়ীরা।
মামুন জবানবন্দিতে বলেন, ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঠেকাতে আগের দিন রাতেই গণভবনে ডাকা বৈঠক থেকে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ওই বৈঠকে অংশ নেন শেখ রেহানা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ বিভিন্ন বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা। ৫ আগস্ট কোথায়-কীভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে; সেসব সিদ্ধান্তও নেওয়া হয় বৈঠকে।
জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট গণভবনে বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিরাপত্তা সমন্বয় কমিটির একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তিন বাহিনীর প্রধান, এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিজিএফআই-এনএসআই প্রধানসহ কমিটির ২৭ জন অংশ নেন। আমি নিজেও সেখানে ছিলাম। সেখানে আন্দোলন দমন ও নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে আলোচনা হয়। একপর্যায়ে বৈঠকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন পেশ করছিল গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এর মধ্যেই চারদিকের পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হওয়ায় সেই বৈঠক মুলতবি হয়।
ওই রাতেই আমাদের আবার গণভবনে ডাকা হয়। সেখানে আমি, আনিসুল, কামাল, তিন বাহিনীর প্রধান, র্যাব ডিজি, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুজিব উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে শেখ রেহানাও ছিলেন। আর বাইরে অপেক্ষমাণ ছিলেন ডিজিএফআই ও এসবিপ্রধান। ওই বৈঠকে ৫ আগস্ট 'মার্চ টু ঢাকা' কর্মসূচি ঠেকানোর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। পুলিশ-সেনাবাহিনী সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর আমরা আর্মির অপারেশন কন্ট্রোল রুমে যাই। সেখানে ঢাকা শহরের প্রবেশমুখে ফোর্স মোতায়েন করে কঠোর অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। মিটিং শেষে রাত সাড়ে ১২টায় আমরা চলে আসি।
জবানবন্দিতে সাবেক এই আইজি বলেন, ৫ আগস্ট সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে আমার দপ্তরে যাই। এর মধ্যে উত্তরা-যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন পথ দিয়ে স্রোতের মতো ছাত্র-জনতা প্রবেশ করতে থাকে। দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে জানতে পারি প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন। তবে, এরপর তিনি কোথায় যাবেন তা আমরা জানতাম না। বিকেলে আর্মির হেলিকপ্টার এসে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে আমাকে প্রথমে তেজগাঁও বিমানবন্দরের হেলিপ্যাডে নেয়। সেখান থেকে ক্যান্টনমেন্টের অফিসার্স মেসে নিয়ে যাওয়া হয়। হেলিকপ্টারে আমার সঙ্গে এসবিপ্রধান মনিরুল, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিব ও ডিআইজি আমেনা ছিলেন। পরের ধাপে হেলিকপ্টারে এডিশনাল ডিআইজি প্রলয়, এডিশনাল আইজি লুৎফুল কবিরসহ অন্যদেরও সেখানে নিয়ে আসা হয়।
৬ আগস্ট আইজিপি হিসেবে আমার নিয়োগ চুক্তি বাতিল হয়। ক্যান্টনমেন্টে থাকাকালীন ৩ সেপ্টেম্বর আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া ২৭ জুলাই আন্দোলন চলাকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল, স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আমরা নারায়ণগঞ্জে আন্দোলনের পরিস্থিতি দেখতে যাই। যাওয়ার পথে যাত্রাবাড়ী থানার সামনে আমরা কিছুক্ষণ অবস্থান করি। ওই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মোবাইলে একটি ভিডিও দেখান ওয়ারি জোনের ডিসি ইকবাল। ভিডিও দেখিয়ে ইকবাল বলেন যে, গুলি করি, একটা মরে, একজন আহত হয়। বাকিরা যায় না, স্যার।
চৌধুরী মামুন আরও বলেন, ১৮ জুলাই আমাকে ফোন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি লেথাল উইপেন ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই সময় আমি পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ছিলাম। আমার সঙ্গে এডিশনাল ডিআইজি প্রলয়ও ছিলেন। নির্দেশনার বিষয়টি জানানোর পর ডিএমপি কমিশনারসহ সারাদেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে বার্তা পৌঁছে দেন প্রলয়। এরপর থেকেই আন্দোলন দমনে মারণাস্ত্র ব্যবহার শুরু হয়। তবে মারণাস্ত্র ব্যবহারে অতিউৎসাহী ছিলেন হাবিব ও ডিবির হারুন। মূলত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল যেকোনোভাবে আন্দোলন দমাতে হবে।
তিনি বলেন, আমি সাড়ে ৩৬ বছর পুলিশে চাকরি করেছি, পুলিশের বিরুদ্ধ সবসময় অভিযোগ আসে, কিন্তু ৩৬ বছরের চাকরি জীবনে আমার বিরুদ্ধে একটা দরখাস্তও হয়নি। আমি যথেষ্ট মানবিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। চাকরির শেষ পর্যায়ে এসে এতবড় গণহত্যা আমার দায়িত্ব পালনকালে সংঘটিত হয়েছে, তার দায় আমি স্বীকার করছি।
এ সময় বৈষম্যরিবোধী আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে সরকারের আদেশে ছাত্র-জনতার ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করে আহত-নিহত করায় পুলিশপ্রধান হিসেবে লজ্জিত-অনুতপ্ত বলে দুঃখ প্রকাশ করেন সাবেক এই পুলিশপ্রধান। এ সময় বিমর্ষ বদনে তিনি করজোড়ে ক্ষমা চান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঠেকাতে গণভবনে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন তিনি। এই মামলায় তিনি একজন আসামি ছিলেন, তবে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দেন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে চৌধুরী মামুনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এদিন বেলা পৌনে ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তাঁর সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাজসাক্ষী মামুন বলেন, মারণাস্ত্র ব্যবহারে প্রধানমন্ত্রীকে প্ররোচিত করেন কামাল, আনিসুল, ফজলে নূর তাপস, সালমান এফ রহমান, ওবায়দুল কাদের, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মির্জা আজম, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেননসহ কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতাকর্মী ছাড়াও ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে সরকারকে উৎসাহিত করেন আওয়ামীপন্থী বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মী ও ব্যবসায়ীরা।
মামুন জবানবন্দিতে বলেন, ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঠেকাতে আগের দিন রাতেই গণভবনে ডাকা বৈঠক থেকে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ওই বৈঠকে অংশ নেন শেখ রেহানা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ বিভিন্ন বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা। ৫ আগস্ট কোথায়-কীভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে; সেসব সিদ্ধান্তও নেওয়া হয় বৈঠকে।
জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট গণভবনে বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিরাপত্তা সমন্বয় কমিটির একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তিন বাহিনীর প্রধান, এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিজিএফআই-এনএসআই প্রধানসহ কমিটির ২৭ জন অংশ নেন। আমি নিজেও সেখানে ছিলাম। সেখানে আন্দোলন দমন ও নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে আলোচনা হয়। একপর্যায়ে বৈঠকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন পেশ করছিল গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এর মধ্যেই চারদিকের পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হওয়ায় সেই বৈঠক মুলতবি হয়।
ওই রাতেই আমাদের আবার গণভবনে ডাকা হয়। সেখানে আমি, আনিসুল, কামাল, তিন বাহিনীর প্রধান, র্যাব ডিজি, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুজিব উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে শেখ রেহানাও ছিলেন। আর বাইরে অপেক্ষমাণ ছিলেন ডিজিএফআই ও এসবিপ্রধান। ওই বৈঠকে ৫ আগস্ট 'মার্চ টু ঢাকা' কর্মসূচি ঠেকানোর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। পুলিশ-সেনাবাহিনী সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর আমরা আর্মির অপারেশন কন্ট্রোল রুমে যাই। সেখানে ঢাকা শহরের প্রবেশমুখে ফোর্স মোতায়েন করে কঠোর অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। মিটিং শেষে রাত সাড়ে ১২টায় আমরা চলে আসি।
জবানবন্দিতে সাবেক এই আইজি বলেন, ৫ আগস্ট সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে আমার দপ্তরে যাই। এর মধ্যে উত্তরা-যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন পথ দিয়ে স্রোতের মতো ছাত্র-জনতা প্রবেশ করতে থাকে। দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে জানতে পারি প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন। তবে, এরপর তিনি কোথায় যাবেন তা আমরা জানতাম না। বিকেলে আর্মির হেলিকপ্টার এসে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে আমাকে প্রথমে তেজগাঁও বিমানবন্দরের হেলিপ্যাডে নেয়। সেখান থেকে ক্যান্টনমেন্টের অফিসার্স মেসে নিয়ে যাওয়া হয়। হেলিকপ্টারে আমার সঙ্গে এসবিপ্রধান মনিরুল, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিব ও ডিআইজি আমেনা ছিলেন। পরের ধাপে হেলিকপ্টারে এডিশনাল ডিআইজি প্রলয়, এডিশনাল আইজি লুৎফুল কবিরসহ অন্যদেরও সেখানে নিয়ে আসা হয়।
৬ আগস্ট আইজিপি হিসেবে আমার নিয়োগ চুক্তি বাতিল হয়। ক্যান্টনমেন্টে থাকাকালীন ৩ সেপ্টেম্বর আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া ২৭ জুলাই আন্দোলন চলাকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল, স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আমরা নারায়ণগঞ্জে আন্দোলনের পরিস্থিতি দেখতে যাই। যাওয়ার পথে যাত্রাবাড়ী থানার সামনে আমরা কিছুক্ষণ অবস্থান করি। ওই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মোবাইলে একটি ভিডিও দেখান ওয়ারি জোনের ডিসি ইকবাল। ভিডিও দেখিয়ে ইকবাল বলেন যে, গুলি করি, একটা মরে, একজন আহত হয়। বাকিরা যায় না, স্যার।
চৌধুরী মামুন আরও বলেন, ১৮ জুলাই আমাকে ফোন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি লেথাল উইপেন ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই সময় আমি পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ছিলাম। আমার সঙ্গে এডিশনাল ডিআইজি প্রলয়ও ছিলেন। নির্দেশনার বিষয়টি জানানোর পর ডিএমপি কমিশনারসহ সারাদেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে বার্তা পৌঁছে দেন প্রলয়। এরপর থেকেই আন্দোলন দমনে মারণাস্ত্র ব্যবহার শুরু হয়। তবে মারণাস্ত্র ব্যবহারে অতিউৎসাহী ছিলেন হাবিব ও ডিবির হারুন। মূলত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল যেকোনোভাবে আন্দোলন দমাতে হবে।
তিনি বলেন, আমি সাড়ে ৩৬ বছর পুলিশে চাকরি করেছি, পুলিশের বিরুদ্ধ সবসময় অভিযোগ আসে, কিন্তু ৩৬ বছরের চাকরি জীবনে আমার বিরুদ্ধে একটা দরখাস্তও হয়নি। আমি যথেষ্ট মানবিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। চাকরির শেষ পর্যায়ে এসে এতবড় গণহত্যা আমার দায়িত্ব পালনকালে সংঘটিত হয়েছে, তার দায় আমি স্বীকার করছি।
এ সময় বৈষম্যরিবোধী আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে সরকারের আদেশে ছাত্র-জনতার ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করে আহত-নিহত করায় পুলিশপ্রধান হিসেবে লজ্জিত-অনুতপ্ত বলে দুঃখ প্রকাশ করেন সাবেক এই পুলিশপ্রধান। এ সময় বিমর্ষ বদনে তিনি করজোড়ে ক্ষমা চান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রার্থীর বিরুদ্ধে রিটকারী ছাত্রীকে গণধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই আরেক শিক্ষার্থী। আলী হুসেন নামের ওই শিক্ষার্থী সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনে অধ্যয়নরত। এ ছাড়া তিনি শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক...
৬ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচন পর্যন্ত পৌঁছাতে দিতে চায় না, তারা যত রকমভাবে পারে বাধা দেবে। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে, নির্বাচন বানচাল করার, এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে, যাতে নির্বাচন না হয়। এগুলোর কিছু কিছু লক্ষণ এখন দেখা যাচ্ছে। সামন...
৭ ঘণ্টা আগেহিউম্যান রাইটস ডিউ ডিলিডেন্স বিষয়ে সংবাদকর্মীদের সক্ষমতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ লেবার স্টাডিজ (বিলস) ।
৭ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে সাত রাজনৈতিক দল ও হেফাজতে ইসলাম নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা মনে করছে, এই পরিস্থিতি আগামী নির্বাচনের পরিবেশকে অনিশ্চিত করে তুলছে।
৭ ঘণ্টা আগে