চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে গ্রেপ্তার ৮
নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে চার দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে থাকা চবি ছাত্র ইমতিয়াজ আহমেদ এখনো আশঙ্কামুক্ত বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।। তাঁর চিকিৎসার বিষয়ে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে বলে জানা গেছে। একই হাসপাতালে ভর্তি আরেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মামুমের অবস্থার উন্নতি হওয়ায় সোমবার বিকেলে তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে নিয়ে নিবির পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
স্ট্রিম সংবাদদাতা
নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে চার দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে আছেন গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্র ইমতিয়াজ সায়েম। তাঁর চিকিৎসার বিষয়ে আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে বলে জানা গেছে। তাঁকে এখনো আশঙ্কামুক্ত বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
একই হাসপাতালে ভর্তি আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মামুন। ইমতিয়াজের সঙ্গে একই সময়ে তাঁকেও লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার উন্নতি হওয়ায় সোমবার বিকেলে তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়। তবে তাঁকে এখনো আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। মামুনের মাথার খুলিতে জখম রয়েছে।
পার্কভিউ হাসপাতালের উপমহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ইমতিয়াজের বিষয়ে (বুধবার) দুপুরে মেডিকেল বোর্ড বসবে। মামুনের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তাঁকে কেবিনে স্থানান্তর করা হতে পারে।’
ইমতিয়াজ সায়েম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় রক্তাক্ত সহপাঠীদের করুণ আর্তনাদ শুনে থেমে থাকতে পারেননি তিনি। নিজের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে ছুটে গেছেন আহতদের পাশে। আহতদের উদ্ধার করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হামলায় গুরুতর জখম হন তিনি। সহায়তার হাত বাড়াতে গিয়েই নিজেই পড়েছেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
ইমতিয়াজের অবস্থার বিষয়ে পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসকরা জানান, একজন মানুষের স্বাভাবিক চেতনার মাত্রা (কনশাস লেভেল) ধরা হয় ১৫। তবে ইমতিয়াজের সেই মাত্রা এখন ৬–এর মধ্যে ওঠা-নামা করছেন। এই মাত্রা ১০–এর ওপরে ওঠার আগপর্যন্ত তাঁকে আশঙ্কামুক্ত বলা যাবে না। তাঁর চিকিৎসার বিষয়ে বুধবার দুপুরে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
ইমতিয়াজের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচংয়ে। তবেও তিনি বড় হয়েছেন বগুড়ার মাঝিরা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়। শান্ত-শিষ্ট ও পরোপকারী স্বভাবের জন্য বন্ধুদের কাছে প্রিয় এই শিক্ষার্থী আজ নিজেই গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে শুয়ে আছেন।
সংঘর্ষে আহত হওয়ার পর ইমতিয়াজকে প্রথমে চবি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এবং পরে পার্কভিউ হাসপাতালে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তাঁর সহপাঠী রবিউল ইসলাম বলেন, ইমতিয়াজের এখনো জ্ঞান আছে, কিন্তু খুবই সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে।
ইমতিয়াজের কথা বলতে গিয়ে চোখের পানি সামলাতে পারছিলেন না তাঁর চাচাত বোন চবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারহানা রুমঝুম ভুইয়া। তিনি বলেন, ‘ভলেন্টিয়ার হিসেবে সে প্রথমে সহপাঠীদের পাশে ছিল। পরে শুনল আরও শিক্ষার্থী রাস্তায় আহত হয়ে পড়ে আছে। দেরি না করে সেখানে গিয়ে উদ্ধার করতে যায়। তখনই গ্রামবাসীর হাতে সে আহত হয়। এমন হিংস্রতা আমি কল্পনাও করতে পারিনি।’
চারদিনেও জ্ঞান না ফেরায় সহপাঠীদের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রে ইমতিয়াজ সায়েম। তাঁর সহপাঠীরা বলছেন, পার্কভিউ হাসপাতালের আইসিইউতে নিঃশ্বাস নিতে নিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ইমতিয়াজ। এই লড়াই কেবল একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘর্ষের গল্প নয়– এটি একজন তরুণের মানবিকতার কাহিনি। যিনি নিজের জীবন বাজি রেখে অন্যের প্রাণ রক্ষায় ছুটে গেছেন। তাঁর বন্ধুরা প্রার্থনা করছেন – মানবিকতার এ যোদ্ধা যেন বেঁচে ফিরে আসেন তাঁদের মাঝেই।
শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে আহত হন বেশ কয়েকজন। তাঁদের একজন মোহাম্মদ মামুন। তিনি সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
আহত হওয়ার পরপরই তাঁকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে, পরে জরুরি ভিত্তিতে নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে মস্কিষ্কের অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে নেন চিকিৎসকরা। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় সোমবার বিকেলে তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়, তবে তাঁকে আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
মামুনের সহপাঠী শাহাব উদ্দিন চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বলেন, ‘ওর মাথার আঘাত ডাক্তারের আশঙ্কার চেয়েও তীব্র ছিল। ব্রেনের ওপরের ব্লাড-ক্লট অপসারণ করলেই যেখানে জটিলতা কেটে যাওয়ার আশা ছিল, সেখানে ব্রেনের ওপর হাড়ের টুকরো অংশ ঘিরে নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে। এটি অপসারণে পুরো খুলি খুলে অপারেশন করতে হয়েছে। ফলে পর্যবেক্ষণের সুবিধার্থে এটি সেরে ওঠার আগ পর্যন্ত খুলি বসানো যাবে না।’ কথাগুলো বলার সময় শাহাব উদ্দিনের চোখ ছল ছল করছিল।
চবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলার পর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জোবরা গ্রামে অভিযান চালিয়েছে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরের দিকে জেলার হাটহাজারী উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত জোবরা গ্রামে বিশেষ অভিযান চালায় তারা। সেখান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার নাজমুল হাসান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. ইমরান হোসেন প্রকাশ (৩৫), হাসান প্রকাশ হাসাঈন (২২), রাসেল প্রকাশ ওরফে কালো রাসেল (৩০), মো. আলমগীর (৩৫), মো. নজরুল ইসলাম (৩০), মো. জাহেদ (৩০), মো. আরমান (২৪) ও মো. দিদারুল আলম (৪৬)।
এর আগে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) একটি মামলা ও একটি জিডি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মামলায় ৯৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ব্যক্তিকে। এ ছাড়া চবির নিরাপত্তা দপ্তরের দেশীয় অস্ত্র লুটের ঘটনায় একটি জিডি করা হয়। হাটহাজারী মডেল থানার ওসি আবু কাওসার মাহমুদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তার আগে শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে এক নারী শিক্ষার্থীকে স্থানীয় এক দারোয়ানের মারধরের ঘটনায়। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে আটক করতে গেলে জোবরা গ্রামে স্থানীয়দের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা আলোচনায় বসতে গেলে তারাও হামলার শিকার হন। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ প্রায় ৭ শতাধিক মানুষ আহত হয়।
নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে চার দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে আছেন গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্র ইমতিয়াজ সায়েম। তাঁর চিকিৎসার বিষয়ে আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে বলে জানা গেছে। তাঁকে এখনো আশঙ্কামুক্ত বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
একই হাসপাতালে ভর্তি আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মামুন। ইমতিয়াজের সঙ্গে একই সময়ে তাঁকেও লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার উন্নতি হওয়ায় সোমবার বিকেলে তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়। তবে তাঁকে এখনো আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। মামুনের মাথার খুলিতে জখম রয়েছে।
পার্কভিউ হাসপাতালের উপমহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ইমতিয়াজের বিষয়ে (বুধবার) দুপুরে মেডিকেল বোর্ড বসবে। মামুনের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তাঁকে কেবিনে স্থানান্তর করা হতে পারে।’
ইমতিয়াজ সায়েম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় রক্তাক্ত সহপাঠীদের করুণ আর্তনাদ শুনে থেমে থাকতে পারেননি তিনি। নিজের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে ছুটে গেছেন আহতদের পাশে। আহতদের উদ্ধার করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হামলায় গুরুতর জখম হন তিনি। সহায়তার হাত বাড়াতে গিয়েই নিজেই পড়েছেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
ইমতিয়াজের অবস্থার বিষয়ে পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসকরা জানান, একজন মানুষের স্বাভাবিক চেতনার মাত্রা (কনশাস লেভেল) ধরা হয় ১৫। তবে ইমতিয়াজের সেই মাত্রা এখন ৬–এর মধ্যে ওঠা-নামা করছেন। এই মাত্রা ১০–এর ওপরে ওঠার আগপর্যন্ত তাঁকে আশঙ্কামুক্ত বলা যাবে না। তাঁর চিকিৎসার বিষয়ে বুধবার দুপুরে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
ইমতিয়াজের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচংয়ে। তবেও তিনি বড় হয়েছেন বগুড়ার মাঝিরা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়। শান্ত-শিষ্ট ও পরোপকারী স্বভাবের জন্য বন্ধুদের কাছে প্রিয় এই শিক্ষার্থী আজ নিজেই গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে শুয়ে আছেন।
সংঘর্ষে আহত হওয়ার পর ইমতিয়াজকে প্রথমে চবি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এবং পরে পার্কভিউ হাসপাতালে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তাঁর সহপাঠী রবিউল ইসলাম বলেন, ইমতিয়াজের এখনো জ্ঞান আছে, কিন্তু খুবই সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে।
ইমতিয়াজের কথা বলতে গিয়ে চোখের পানি সামলাতে পারছিলেন না তাঁর চাচাত বোন চবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারহানা রুমঝুম ভুইয়া। তিনি বলেন, ‘ভলেন্টিয়ার হিসেবে সে প্রথমে সহপাঠীদের পাশে ছিল। পরে শুনল আরও শিক্ষার্থী রাস্তায় আহত হয়ে পড়ে আছে। দেরি না করে সেখানে গিয়ে উদ্ধার করতে যায়। তখনই গ্রামবাসীর হাতে সে আহত হয়। এমন হিংস্রতা আমি কল্পনাও করতে পারিনি।’
চারদিনেও জ্ঞান না ফেরায় সহপাঠীদের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রে ইমতিয়াজ সায়েম। তাঁর সহপাঠীরা বলছেন, পার্কভিউ হাসপাতালের আইসিইউতে নিঃশ্বাস নিতে নিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ইমতিয়াজ। এই লড়াই কেবল একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘর্ষের গল্প নয়– এটি একজন তরুণের মানবিকতার কাহিনি। যিনি নিজের জীবন বাজি রেখে অন্যের প্রাণ রক্ষায় ছুটে গেছেন। তাঁর বন্ধুরা প্রার্থনা করছেন – মানবিকতার এ যোদ্ধা যেন বেঁচে ফিরে আসেন তাঁদের মাঝেই।
শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে আহত হন বেশ কয়েকজন। তাঁদের একজন মোহাম্মদ মামুন। তিনি সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
আহত হওয়ার পরপরই তাঁকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে, পরে জরুরি ভিত্তিতে নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে মস্কিষ্কের অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে নেন চিকিৎসকরা। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় সোমবার বিকেলে তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়, তবে তাঁকে আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
মামুনের সহপাঠী শাহাব উদ্দিন চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বলেন, ‘ওর মাথার আঘাত ডাক্তারের আশঙ্কার চেয়েও তীব্র ছিল। ব্রেনের ওপরের ব্লাড-ক্লট অপসারণ করলেই যেখানে জটিলতা কেটে যাওয়ার আশা ছিল, সেখানে ব্রেনের ওপর হাড়ের টুকরো অংশ ঘিরে নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে। এটি অপসারণে পুরো খুলি খুলে অপারেশন করতে হয়েছে। ফলে পর্যবেক্ষণের সুবিধার্থে এটি সেরে ওঠার আগ পর্যন্ত খুলি বসানো যাবে না।’ কথাগুলো বলার সময় শাহাব উদ্দিনের চোখ ছল ছল করছিল।
চবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলার পর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জোবরা গ্রামে অভিযান চালিয়েছে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরের দিকে জেলার হাটহাজারী উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত জোবরা গ্রামে বিশেষ অভিযান চালায় তারা। সেখান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার নাজমুল হাসান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. ইমরান হোসেন প্রকাশ (৩৫), হাসান প্রকাশ হাসাঈন (২২), রাসেল প্রকাশ ওরফে কালো রাসেল (৩০), মো. আলমগীর (৩৫), মো. নজরুল ইসলাম (৩০), মো. জাহেদ (৩০), মো. আরমান (২৪) ও মো. দিদারুল আলম (৪৬)।
এর আগে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) একটি মামলা ও একটি জিডি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মামলায় ৯৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ব্যক্তিকে। এ ছাড়া চবির নিরাপত্তা দপ্তরের দেশীয় অস্ত্র লুটের ঘটনায় একটি জিডি করা হয়। হাটহাজারী মডেল থানার ওসি আবু কাওসার মাহমুদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তার আগে শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে এক নারী শিক্ষার্থীকে স্থানীয় এক দারোয়ানের মারধরের ঘটনায়। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে আটক করতে গেলে জোবরা গ্রামে স্থানীয়দের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা আলোচনায় বসতে গেলে তারাও হামলার শিকার হন। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ প্রায় ৭ শতাধিক মানুষ আহত হয়।
'দেশের পাবলিক প্লেস, গণপরিবহন, কর্মক্ষেত্র ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যৌন হয়রানি ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা অবসানে তিন বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।'
৪ ঘণ্টা আগেফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে। এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক সময় ও পুঁজি চেয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্যানেল দিয়েছে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’। ‘পলিটিক্যালি কনশাস, একাডেমিক ক্যাম্পাস’ স্লোগানকে সামনে রেখে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছে এই প্যানেল।
৪ ঘণ্টা আগেতবে এ উদ্যোগের আড়ালে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর সরকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল বলে সমালোচকরা মনে করেন।
৫ ঘণ্টা আগে