রাজধানীর হাতিরঝিলের নিকেতন অংশে সুদৃশ্য একটি ভবন নজর কাড়ে যে কারও। এটি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ‘হাতিরঝিল কার পার্কিং ও ম্যানেজমেন্ট ভবন’।
পুরো হাতিরঝিল ব্যবস্থাপনার জন্য ২০১৯ সালের অক্টোবরে ভবনটি উদ্বোধন করা হয়। বিশাল ভবনে রয়েছে আট তলা পার্কিং সুবিধা, একটি কনভেনশন সেন্টার ও রাজউকের একটি কার্যালয়।
ভবনের সামনে বড় সাইনবোর্ডে লেখা, ‘হাতিরঝিল ব্যবস্থাপনা ভবন’। কিন্তু এখানে জাল বিস্তার করেছে নানা অব্যবস্থাপনা। এমনকি ভবনে অফিস করেন না কোনো ‘ব্যবস্থাপক’।
গত ১২ নভেম্বর সরেজমিন দেখা যায়, ভবনের সামনে বসে খোশগল্প করছেন কয়েক নিরাপত্তাকর্মী। অভ্যর্থনা ডেস্ক থাকলেও দায়িত্বে কেউ নেই। দ্বিতীয় তলায় হাতিরঝিল ব্যবস্থাপনা অফিসের মূল ফটকে তালা দেওয়া পাওয়া যায়। লাইট বন্ধ, কেউ নেই। দু-এক দিনের মধ্যে এটি ব্যবহারের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, নামে ব্যবস্থাপনা ভবন হলেও এখানে হাতিরঝিলের কার্যক্রম দেখভালে কোনো কর্মকর্তা বসেন না। নেই কোনো কর্মচারীও। হাতিরঝিলের সব কার্যক্রম পরিচালিত হয় রাজউক ভবন থেকে।
নির্মাণ শেষ হওয়ার পর থেকে ভবনটি খালি পড়ে আছে। কারণ, ইজারা দেওয়া হচ্ছে না। এতে রাজউক কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভবনের নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, শুরু থেকেই ভবনটি ফাঁকা পড়ে আছে। এখানে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মী অফিস করেন না। হাতিরঝিলের কোনো কাজও হয় না। মাঝেমধ্যে কর্মকর্তারা এসে বিশ্রাম করেন।
জানতে চাইলে রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী (বাস্তবায়ন) নুরুল ইসলাম স্ট্রিমকে বলেন, ‘হাতিরঝিল ব্যবস্থাপনা ভবনে নিরাপত্তাকর্মীরা থাকেন। আমাদের প্রধান কার্যালয় থেকে মাঝেমধ্যে লোকজন যান। তবে তাও যখন দরকার হয়, তখন তারা যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাতিরঝিলের সব কার্যক্রম রাজউকের প্রধান কার্যালয় থেকে পরিচালনা করা হয়। তবে হাতিরঝিলে যখন কোনো কার্যক্রম চলে, তখন কর্মকর্তারা সেখানে অবস্থান করে তদারকি করেন।’