leadT1ad

রাউজানে সংঘর্ষের জের

গিয়াস কাদেরের পদ স্থগিত, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত

স্ট্রিম প্রতিবেদকচট্টগ্রাম
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৭: ৫৫
রাউজানের সাবেক এমপি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের জেরে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে স্থগিত করা হয়েছে রাউজানের সাবেক এমপি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর পদও। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রক্তাক্ত সংঘর্ষের পর রাত ৮টার দিকে এ সিদ্ধান্ত জানায় দলটি।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক চিঠিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক বেলায়েত হোসেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হলো। শিগগিরই নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে।’

অপর এক চিঠিতে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর পদ স্থগিত করার পাশাপাশি বহিষ্কার করা হয়েছে বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন, মিরসরাই বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব গাজী নিজাম উদ্দিন, বারইয়ার হাট পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক দিদারুল ইসলাম মিয়াজী, যুবদল নেতা সিরাজুল ইসলাম ও কামাল উদ্দিনকে।

বহিষ্কৃতদের দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

এই রদবদলের মূল পটভূমি রক্তাক্ত। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের রাউজানের সত্তারহাট এলাকায় গিয়াস কাদের ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকারপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন। ছররা গুলিতে আহত হন আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার নিজেও।

গোলাম আকবর খন্দকার দাবি করেন, ‘আমার গাড়িবহরে পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে। গুলিও ছোড়া হয়েছে। পুলিশ অবশ্য বলছে, এক পক্ষ কবর জিয়ারত করতে যাচ্ছিল, অন্য পক্ষ ছিল শোভাযাত্রায়। তখনই মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধে।

চট্টগ্রামের রাউজানে রাজনৈতিক সহিংসতা নতুন কিছু নয়। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত রাউজানে সংঘর্ষে প্রাণ গেছে ১৩ জনের, যার মধ্যে ১০টি ঘটনার পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক বিরোধ। শতাধিকবার হয়েছে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তিন শতাধিক।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে গঠিত হয় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির ৪৪ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি। পরে সেটিতে আরও সদস্য যোগ করে ৫৩ জনের কমিটি করা হলেও কোন্দলের কারণে শেষ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা যায়নি। সেই জেরেই সাড়ে চার বছর পর বিলুপ্ত করা হলো এই বিতর্কিত কমিটি।

Ad 300x250

সম্পর্কিত