leadT1ad

আবু সাঈদ হত্যা মামলা: তৃতীয় দফাতেও সাক্ষী হাজির করাতে পারল না রাষ্ট্রপক্ষ

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সংগৃহীত ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন টানা তৃতীয় দফায় পিছিয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১০ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করেছেন। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য হাসিবুর রশীদসহ এই মামলার আসামি ৩০ জন।

এদিন বেলা সোয়া ১১টার দিকে ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষে প্রসিকিউটর সহিদুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ান সাক্ষী হাজির করতে না পারায় সময় চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১০ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের বারবার ব্যর্থতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আসামিপক্ষের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু বলেন, ‘এই পর্যন্ত তিন দফা প্রসিকিউটর পক্ষ সাক্ষী হাজির করতে পারেনি। সাক্ষী না আসার অর্থ হলো মামলায় রিলাক্টেন্স অব দ্য প্রসিকিউশন (সাক্ষী উপস্থিতে রাষ্ট্রপক্ষের অনীহা)। যাদের সাক্ষী করা হয়েছে তাদের যথাসময় উপস্থিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রপক্ষের। কিন্তু এটা প্রসিকিউশনের ব্যর্থতা বলে আমি মনে করি।’

এর আগেও গত ১৩ অক্টোবর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের কথা ছিল। সেদিনও রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষী হাজির করতে পারেনি। প্রসিকিউটর মঈনুল করিম সাক্ষীর ‘শারীরিক অসুস্থতার’ কারণ দেখালে ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষের উপর গুরুতর উষ্মা প্রকাশ করেন।

ওইদিন প্রসিকিউশনের উদ্দেশে ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘সাক্ষী ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে হাজির হতে পারেননি, এটা কি লেখা যায়? আপনারা যা বলছেন, এটা কি বলতে পারেন? এটা যে আদালত অবমাননা তা কি জানেন? যদি কাজই করতে না পারেন, ব্যস্তই থাকেন, তাহলে দুটি ট্রাইব্যুনাল কেন করা হলো? আপনাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত।’

গত ২৮ আগস্ট জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেনের জবানবন্দির মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রত্যক্ষদর্শীসহ কয়েকজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সর্বশেষ গত ৬ অক্টোবর মামলার জব্দ তালিকার সাক্ষী হিসেবে পুলিশের দুই উপপরিদর্শক (এসআই) রফিক ও এসআই রায়হানুল রাজ দুলাল জবানবন্দি দেন।

গত ৬ আগস্ট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় মোট সাক্ষী ৬২ জন। আসামিদের মধ্যে বেরোবির সাবেক উপাচার্য হাসিবুর রশীদসহ ২৪ জন পলাতক। গ্রেপ্তার থাকা ছয় আসামি হলেন– এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত