leadT1ad

আ.লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ছাত্রলীগের সব ভোট শিবির নিয়েছে: মির্জা আব্বাস

চট্টগ্রামে এক স্মরণসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘জামায়াত নেতারা সব সময় বলেন, “ভাই খেয়াল রাখবেন, আওয়ামী লীগ যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে…।” অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, জামায়াত ইসলামী ছাত্রলীগের সঙ্গে আঁতাত করে ডাকসুর সব ভোট নিজেদের করে নিল।’

স্ট্রিম সংবাদদাতাচট্টগ্রাম
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯: ৪৫
চট্টগ্রামে এক স্মরণসভায় বুধবার বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। স্ট্রিম ছবি

জামায়াত ইসলামী আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রলীগের সব ভোট ছাত্র শিবিরের পক্ষে নিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি অভিযোগ করেন, এই ঘটনার পেছনে দেশের বিরুদ্ধে একটি গভীর ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে।

আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের দ্যা কিং অব চিটাগং ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস। বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মরণসভায় তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার।

ডাকসু নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘গতকাল ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। আমি বুঝতে পারছি না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এত ভোট কীভাবে পড়ল? আমার কোনো হিসাবের সঙ্গে মেলে না! আমি সরাসরি বলতে চাই না কারচুপি হয়েছে, তবে আমি একটা গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি।’

বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা যখন বিভিন্ন দলের সঙ্গে বসি, তখন জামায়াত নেতারা সব সময় বলেন, “ভাই খেয়াল রাখবেন, আওয়ামী লীগ যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে। আওয়ামী লীগ এলে সবাই কচু কাটা হয়ে যাবেন।” অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, জামায়াত ইসলামী ছাত্রলীগের সঙ্গে আঁতাত করে ডাকসুর সব ভোট নিজেদের করে নিল।’

বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে অন্যায়-চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘অনেকে বলতে পারেন, ৫ আগস্টের পর বিএনপির নেতা-কর্মীরা অন্যায় করেছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আওয়ামী লীগ বিএনপির ভেতরে ঢুকে অপকর্ম করছে, আবার আওয়ামী লীগ জামায়াতের সঙ্গেও মিলে অপকর্ম করছে। অথচ সব দোষ এসে চাপছে বিএনপির ঘাড়ে। বিএনপির ছেলেরা হয়তো অনেক কিছু বুঝতে পারছে না, কিংবা বুঝলেও টের পাচ্ছে না। তবে বিএনপিতে কোনো চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি বা অপকর্মের ঠাঁই হবে না। কেউ অপকর্ম করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সভায় মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচি, বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান, একরামুল করিম ও আবুল হাসেম বক্করসহ অন্যরা।

এর আগে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডাকসু নির্বাচনের ভোট হয়েছে। এতে শিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে সাদিক কায়েম ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর বিপরীতে ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। জিএস পদে ছাত্রশিবিরের এস এম ফরহাদ ১০ হাজার ৭৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের শেখ তানভীর হামিম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট।

মঙ্গলবার রাতে ফল ঘোষণার প্রাথমিক পর্যায়েই তা প্রত্যাখ্যান করেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদ। ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘পরিকল্পিত কারচুপির এই ফলাফল দুপুরের পরপরই অনুমান করেছি। নিজেদের মতো করে সংখ্যা বসিয়ে নিন। এই পরিকল্পিত প্রহসন প্রত্যাখ্যান করলাম।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত