leadT1ad

শেখ হাসিনা হাসপাতালে ‘নো রিলিজ নো ট্রিটমেন্ট’ নির্দেশ দেন: ট্রাইব্যুনালে দ্বিতীয় সাক্ষী

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ২১
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৫, ১৯: ০৪
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন শুরু, বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার। স্ট্রিম গ্রাফিক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'নো রিলিজ, নো ট্রিটমেন্ট' নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে আদালতে দাবি করেছেন মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী আবদুল্লাহ আল ইমরান।

আজ সোমবার (৪ আগস্ট) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিতে গিয়ে তিনি বলেন, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল) পরিদর্শনে গিয়ে শেখ হাসিনা ‘নো রিলিজ নো ট্রিটমেন্ট’ নির্দেশ দিয়েছিলেন।

আবদুল্লাহ আল ইমরান বলেন, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই আন্দোলনের সময় রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংক এলাকায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর বাম হাঁটুর নিচে গুলি লাগে।

আবদুল্লাহ আল ইমরান আরও বলেন, পঙ্গু হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। ২৬ অথবা ২৭ জুলাই সকাল ৯টা থেকে ১০টার দিকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই হাসপাতাল পরিদর্শনে যান।

আল ইমরান জানান, পরিদর্শনের সময় শেখ হাসিনা তাঁর কাছে এসে কথা বলেন। তিনি শেখ হাসিনাকে ‘ম্যাডাম’ বলে সম্বোধন করলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাকে আপা বলো।’

আল ইমরান আরও বলেন, তিনি কোথায় পড়াশোনা করেন, কোথায় থাকেন এসব বিষয়ে জানতে চান শেখ হাসিনা।

আল ইমরানের দাবি, ‘একপর্যায়ে শেখ হাসিনা বুঝতে পারেন, আমি আন্দোলনকারী। পরে শেখ হাসিনা যখন চলে যাচ্ছিলেন, তখন হেল্প-ডেস্কের কাছে গিয়ে নো ট্রিটমেন্ট নো রিলিজ অর্ডার দিয়ে যান, যা আমি শুনতে পাই।’

তবে ‘নো ট্রিটমেন্ট নো রিলিজ’ মানে কী, তখন বুঝতে পারেননি বলেও জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন আল ইমরান। তিনি বলেন, তাঁর পায়ে পচন ধরলেও তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয় দেরিতে। তাঁর বাবা তাঁকে রিলিজ করে অন্য হাসপাতালে নিতে চাইলে তাও করতে দেওয়া হয়নি। তখন তিনি বুঝতে পারেন ‘নো রিলিজ নো ট্রিটমেন্ট’–এর মানে।

এই ঘটনার জন্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে সরাসরি দায়ী করেন ইমরান।

আসামিদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক। এ মামলায় গ্রেপ্তার একমাত্র আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে দোষ স্বীকার করে ‘অ্যাপ্রুভার’ বা রাজসাক্ষী হয়েছেন।

গতকাল রোববার (৩ আগস্ট) ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ সূচনা বক্তব্য ও প্রথম সাক্ষী মাইক্রোবাস চালক খোকন চন্দ্র বর্মণের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

Ad 300x250

সম্পর্কিত