leadT1ad

নুরাল পাগলার দরবার কাণ্ড

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি প্রত্যাহার

স্ট্রিম সংবাদদাতা
রাজবাড়ী
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ৫৫
গোয়ালন্দ ঘাট থানা থেকে প্রত্যাহারকৃত ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম। ছবি সংগৃহীত

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ‍নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা ভাঙচুর, কবর লাশ তুলে পুড়িয়ে ফেলা ও এক ভক্ত নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়িত্ব পালন নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছে স্থানীয় গোয়ালন্দ ঘাট থানা। এর মধ্যে ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলামকে বদলী করা হয়েছে। তাঁকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ের অপরাধ শাখার পুলিশ পরিদর্শক (ক্রাইম) হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে বালিয়াকান্দি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি হিসেবে বদলী করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম এক অফিস আদেশে এই বদলীর আদেশ দেন।

বদলীর বিষয়ে জানতে চাইলে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, ‘দাপ্তরিক কাজের প্রয়োজনেই গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জকে বদলী করা হয়েছে। এটা প্রত্যাহার নয়।’

এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর গোয়ালন্দে করব নিয়ে আপত্তি তুলে ‘ইমান আক্বিদা রক্ষা কমিটি’ ব্যানারে বিক্ষোভ করে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা চালানো হয়। এতে সংঘর্ষে তাঁর ভক্ত রাসেল মোল্লা নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হন। এর এক পর্যায়ে নুরাল পাগলার লাশ কবর থেকে উঠিয়ে পদ্মার মোড় নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত লোকজন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে পুলিশের ওপর হামলা, দুটি পিকআপ ও গোয়ালন্দ ইউএনও গাড়ি ভাঙচুর করে তারা।

পরে নুরাল পাগলার ভক্ত রাসেল মোল্লাকে হত্যা, দরবারে অগ্নিসংযোগ, লাশ পোড়ানোর অভিযোগে নিহতের বাবা আমজাদ মোল্লা বাদী হয়ে ৮ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাতনামা সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে গোয়ালন্দ থানায় মামলা করেন। এর আগে ঘটনার দিন পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে রাতেই অজ্ঞাতনামা সাড়ে তিন হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা।

Ad 300x250

সম্পর্কিত