leadT1ad

স্বামী-স্ত্রী ছদ্মবেশে পলাতক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করল শ্রীমঙ্গল পুলিশ

শ্রীমঙ্গলে পুলিশের খাতায় মাদক মামলার দীর্ঘদিনের ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি স্বপন মিয়ার এলাকায় আছে একাধিক সোর্স। এতে পুলিশি অভিযানের আগাম তথ্য পেয়ে সহজেই পালিয়ে যেতেন। এবার শ্রীমঙ্গল থানার এএসআই ও কনস্টেবল স্বামী-স্ত্রী ছদ্মবেশে গ্রেপ্তার করেছেন তাঁকে।

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
মৌলভীবাজার

শ্রীমঙ্গলে স্বামী-স্ত্রী ছদ্মবেশে থাকা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে গ্রেপ্তার মাদক কারবারি স্বপন মিয়া। স্ট্রিম ছবি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের স্বপন মিয়া (৩৪) পুলিশের খাতায় মাদক মামলার দীর্ঘদিনের ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। সীমান্ত ঘেঁষা চোরাচালান চক্র ও মাদক কারবারে সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত তিনি। কিন্তু তাঁকে ধরতে যাওয়া পুলিশের উপস্থিতি টের পেলেই দ্রুত গা-ঢাকা দেন। এলাকায় তাঁর আছে একাধিক সোর্স। এতে পুলিশি অভিযানের আগাম তথ্য পেয়ে সহজেই পালিয়ে যেতেন। তাঁকে ধরতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এবার শ্রীমঙ্গল থানার এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও পুলিশ কনস্টেবল স্বামী-স্ত্রী ছদ্মবেশে গ্রেপ্তার করেছেন স্বপন মিয়াকে।

গতকাল শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের কুঞ্জবন এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রবিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তাঁকে থানা হেফাজত থেকে জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম।

থানা সূত্রে জানা গেছে, স্বপন মিয়া ধরতে বারবার ব্যর্থ হওয়ার পর থানার ওসির সঙ্গে পরামর্শে কৌশল গ্রহণ করেন এএসআই শরাফত আলী। এজন্য তিনি পাঞ্জাবি-টুপি পরে স্বামী এবং বোরকা-ওড়না পরে স্ত্রীর ছদ্মবেশ নেন থানার কনস্টেবল মো. রোকন উদ্দিন। পরে তাঁরা মোটরসাইকেল নিয়ে স্বপন মিয়ার বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। ঘরে ঢোকার পর দেখা যায়, স্বপন মিয়া বিছানায় শুয়ে আছেন। অভিযান বোঝার আগেই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

শ্রীমঙ্গলে স্বামী-স্ত্রী ছদ্মবেশে থাকা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে গ্রেপ্তার মাদক কারবারি স্বপন মিয়া। স্ট্রিম ছবি
শ্রীমঙ্গলে স্বামী-স্ত্রী ছদ্মবেশে থাকা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে গ্রেপ্তার মাদক কারবারি স্বপন মিয়া। স্ট্রিম ছবি

এএসআই শরাফত আলী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে স্বপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করছি। তিনি অত্যন্ত চতুর লোক। সামান্য পুলিশি নড়াচড়া টের পেলেই পালিয়ে যেত। এ জন্য কৌশলগত পরিবর্তন আনতে হয়েছে। অবশেষে ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে সফলভাবে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি।’

স্বামী-স্ত্রীর ছদ্মবেশ ধারণ সম্পর্কে ওসি আমিনুল ইসলাম স্ট্রিমকে বলেন, ‘আসামি ধরতে নানা সময় থানায় থেকে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করতে হয়। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নানা পেশার অনেক মানুষ রয়েছে স্বপন মিয়ার সোর্স, তাই তাঁকে গ্রেপ্তার করা যাচ্ছিল না। শ্রীমঙ্গল একটি সীমান্ত এলাকা। এখানে স্বামী-স্ত্রীর ছদ্মবেশ ধারণ করে দ্রুতই কেউ সন্দেহ করবে মনে করে এএসআই-কনস্টেবল এটাই বেশে নেন।’

আসামি গ্রেপ্তারের ছদ্মবেশে সফল অভিযান প্রশংসনীয় উল্লেখ করে ওসি আমিনুল মোবাইল ফোনে বলেন, ‘স্বপন মিয়ার বিরুদ্ধে কয়টি মামলা এখনই ঠিক সংখ্যা বলতে পারছি না। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। এর মধ্যে মাদক কারবার ও চোরাচালান সংক্রান্ত একটি মামলায় তিনি ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি ছিলেন।’

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত