leadT1ad

ভার্চুয়ালি নয়, ১০ সেনা কর্মকর্তার হাজিরা সশরীরে

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে পুলিশি হেফাজতে সেনা কর্মকর্তারা

টিএফআই (টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন) সেলে নির্যাতন ও গুমের মামলায় আসামি ১০ সেনা কর্মকর্তার ভার্চুয়ালি হাজিরার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এতে শুনানির দিন তাঁদের সশরীরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসতে হবে।

আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। আদালতে সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তোবারক হোসেন। বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। উভয়পক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষে ট্রাইব্যুনাল আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেন।

এই সেনা কর্মকর্তারা গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের শাসনামলে গোপন টিএফআই সেলে অমানবিক নির্যাতন ও গুমে জড়িত বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরে তাঁদের হেফাজতে নেয় সেনাবাহিনী। এরপর ২২ অক্টোবর তাঁদের প্রথম ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

এরপর ২৩ নভেম্বর নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে আসামিপক্ষ ভার্চুয়ালি হাজিরার আবেদনটি করে। তবে ওই সময় ট্রাইব্যুনাল মন্তব্য করেছিলেন, বিভিন্ন মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি জেলে রয়েছেন। তিনি সশরীরে হাজির হচ্ছেন। সাবেক কয়েকজন মন্ত্রীও নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছেন। আইন সবার জন্য সমান।

আজ সেই পর্যবেক্ষণের আলোকেই আবেদনটি নাকচ করে দেন আদালত।

ওই ১০ সেনা কর্মকর্তা হলেন, র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহাবুব আলম, কর্নেল কেএম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন ছুটিতে), র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক কর্নেল মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম।

এদিকে মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ আসামির মধ্যে বেশ কয়েকজন পলাতক। তাঁরা হলেন–ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশীদ হোসেন, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও র‍্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম।

Ad 300x250

সম্পর্কিত