প্রয়াত নেতা সিরাজুল ইসলামের কবর জিয়ারতে যাচ্ছিলেন গোলাম আকবর খন্দকার। একই সময় পূর্বঘোষিত মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করছিলেন গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের সত্তারহাট মোড়ে মুখোমুখি হওয়ার পরই সংঘর্ষ।
স্ট্রিম সংবাদদাতা
চট্টগ্রামে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাউজান উপজেলা। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলের দিকে দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কমিটির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের সত্তারহাট এলাকা। এতে ‘ছররা গুলিতে’ আহত হন গোলাম আকবর খন্দকার। এরপর আগুন দেওয়া হয় মোটরসাইকেলে, ভাঙা হয় গাড়ির কাচ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিএনপি প্রয়াত সভাপতি সিরাজুল ইসলামের কবর জিয়ারতে মঙ্গলবার বিকেলে লোকজন ও গাড়ি বহর নিয়ে যাচ্ছিলেন গোলাম আকবর খন্দকার। একই সময় চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কে অনুসারীদের নিয়ে পূর্বঘোষিত মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করছিলেন গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। মহাসড়কের সত্তারহাট মোড়ে মুখোমুখি হয় দুটি পক্ষ। এতে শুরুতে হাতাহাতিতে জড়ালেও পরে তা রূপ নেয় সংঘর্ষে। দুই পক্ষেই দফায় দফায় গুলিবর্ষণ, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়।
ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, প্রতিপক্ষের হামলায় গোলাম আকবরের বহরের একটি পাজেরো গাড়ির সামনের ও পেছনের কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। এ সময় গাড়ির ভেতরেও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। রাস্তার পাশে পুড়ে ছাই হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে একাধিক মোটরসাইকেল। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে অবরোধ করা হয় চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক। সংঘর্ষে গোলাম আকবর খন্দকারসহ উভয় পক্ষের একাধিক ব্যক্তি আহত হন বলে জানা গেছে।
সংঘর্ষে আহত গোলাম আকবর খন্দকার বলেন, ‘আমরা শুধু কবর জিয়ারত করতে গিয়েছিলাম। সত্তারহাটে পৌঁছতেই তারা (গিয়াস উদ্দিনের লোকজন) হামলা চালায়। আমাদের বহরে গুলিও চালানো হয়। আমি নিজেও ঘাড়ে ছররা গুলি লেগে আহত হয়েছি।’
আকবর খন্দকারের দাবি, তাঁর ব্যক্তিগত সহকারীসহ অন্তত ১৫ নেতা-কর্মী হামলায় রক্তাক্ত হয়েছেন। এ জন্য তিনি সরাসরি গিয়াস উদ্দিন কাদেরের অনুসারীদের দায়ী করেন।
অভিযোগ সম্পর্কে জানাতে চাইলে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী মোবাইন ফোনে জানান, তিনি গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ, সংঘর্ষের ব্যাপারে কিছুই জানেন না। ‘আমি ঘুমে ছিলাম, কিছু জানি না’ বলেন তিনি।
তবে গিয়াস উদ্দিনের ঘনিষ্ঠ নেতা রাউজান বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘এটি ছিল পরিকল্পিত হামলা। যুবদলের শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রায় অতর্কিত গুলি চালিয়েছে গোলাম আকবরের লোকজন। তাঁরা ফটিকছড়ি থেকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে আমাদের ওপর হামলা চালান।’
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, ‘একটি পক্ষ কবর জিয়ারতে যাচ্ছিল, অন্য পক্ষ করছিল শোভাযাত্রা। সত্তারহাটে দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশ দ্রুত গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুরুতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলেও পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে।’
এদিকে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে রাউজানে বিএনপি দুইটি পক্ষের আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১০টিই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। একই সময়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে শতাধিক, গুলিবিদ্ধ হয়েছেন প্রায় ৩৫০ জন। আগুনে পুড়েছে বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, যানবাহন।
চট্টগ্রামে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাউজান উপজেলা। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলের দিকে দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কমিটির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের সত্তারহাট এলাকা। এতে ‘ছররা গুলিতে’ আহত হন গোলাম আকবর খন্দকার। এরপর আগুন দেওয়া হয় মোটরসাইকেলে, ভাঙা হয় গাড়ির কাচ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিএনপি প্রয়াত সভাপতি সিরাজুল ইসলামের কবর জিয়ারতে মঙ্গলবার বিকেলে লোকজন ও গাড়ি বহর নিয়ে যাচ্ছিলেন গোলাম আকবর খন্দকার। একই সময় চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কে অনুসারীদের নিয়ে পূর্বঘোষিত মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করছিলেন গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। মহাসড়কের সত্তারহাট মোড়ে মুখোমুখি হয় দুটি পক্ষ। এতে শুরুতে হাতাহাতিতে জড়ালেও পরে তা রূপ নেয় সংঘর্ষে। দুই পক্ষেই দফায় দফায় গুলিবর্ষণ, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়।
ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, প্রতিপক্ষের হামলায় গোলাম আকবরের বহরের একটি পাজেরো গাড়ির সামনের ও পেছনের কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। এ সময় গাড়ির ভেতরেও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। রাস্তার পাশে পুড়ে ছাই হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে একাধিক মোটরসাইকেল। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে অবরোধ করা হয় চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক। সংঘর্ষে গোলাম আকবর খন্দকারসহ উভয় পক্ষের একাধিক ব্যক্তি আহত হন বলে জানা গেছে।
সংঘর্ষে আহত গোলাম আকবর খন্দকার বলেন, ‘আমরা শুধু কবর জিয়ারত করতে গিয়েছিলাম। সত্তারহাটে পৌঁছতেই তারা (গিয়াস উদ্দিনের লোকজন) হামলা চালায়। আমাদের বহরে গুলিও চালানো হয়। আমি নিজেও ঘাড়ে ছররা গুলি লেগে আহত হয়েছি।’
আকবর খন্দকারের দাবি, তাঁর ব্যক্তিগত সহকারীসহ অন্তত ১৫ নেতা-কর্মী হামলায় রক্তাক্ত হয়েছেন। এ জন্য তিনি সরাসরি গিয়াস উদ্দিন কাদেরের অনুসারীদের দায়ী করেন।
অভিযোগ সম্পর্কে জানাতে চাইলে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী মোবাইন ফোনে জানান, তিনি গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ, সংঘর্ষের ব্যাপারে কিছুই জানেন না। ‘আমি ঘুমে ছিলাম, কিছু জানি না’ বলেন তিনি।
তবে গিয়াস উদ্দিনের ঘনিষ্ঠ নেতা রাউজান বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘এটি ছিল পরিকল্পিত হামলা। যুবদলের শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রায় অতর্কিত গুলি চালিয়েছে গোলাম আকবরের লোকজন। তাঁরা ফটিকছড়ি থেকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে আমাদের ওপর হামলা চালান।’
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, ‘একটি পক্ষ কবর জিয়ারতে যাচ্ছিল, অন্য পক্ষ করছিল শোভাযাত্রা। সত্তারহাটে দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশ দ্রুত গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুরুতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলেও পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে।’
এদিকে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে রাউজানে বিএনপি দুইটি পক্ষের আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১০টিই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। একই সময়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে শতাধিক, গুলিবিদ্ধ হয়েছেন প্রায় ৩৫০ জন। আগুনে পুড়েছে বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, যানবাহন।
শোকবার্তায় উপদেষ্টা আরও বলেন, পীর শাহ মুহাম্মদ আহসানুজ্জামানের কর্মময় জীবন সকলের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। দরবার ও সিলসিলার প্রতি নিজেকে উৎসর্গ করে বাংলাদেশের সুফি সমাজে তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
১২ ঘণ্টা আগেসংস্কারের পাশাপাশি জুলাইয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের আইনের আওতায় আনতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১৪ ঘণ্টা আগেনাহিদ ইসলাম বলেন, ‘উনসত্তরের যে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বে এসেছে, সে গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম কারিগর ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।’
১৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত।
১৪ ঘণ্টা আগে