রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা–রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন সহপাঠীরা। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ তিন দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে এ কর্মসূচি চলছে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাজলা ক্যান্টিনে রাতের খাবার খাওয়ার সময় তিন শিক্ষার্থীর ওপর মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। বুধবার রাত ১১টার দিকে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় আল ফারাবী (ফিন্যান্স), তাহমিদ আহমেদ বখশী (ফিন্যান্স) ও মিনহাজ রহমান (নাট্যকলা) গুরুতর আহত হন। তাঁদের মধ্যে বখশীকে রাবি মেডিকেল সেন্টারে এবং ফারাবী ও মিনহাজকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে এবং বহু গাড়ি বিকল্প রুট ব্যবহার করছে।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, হামলার ঘটনায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আরও দুটি দাবি রয়েছে তাদের। সেগুলো হলো কাজলা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের জবাবদিহির আওতায় আনা এবং ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি ফুটেজ মুছে ফেলার কারণে কাজলা ক্যান্টিন বন্ধ করে দেওয়া।
অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থীরা ‘সন্ত্রাসীরা দেখে যা, রাজপথে তোর বাপেরা’, ‘সন্ত্রাসীর আস্তানা ভেঙে দাও’, ‘আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘রাকসু কী করে, আমার ভাই মেডিকেলে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলছেন প্রশাসনের কর্মকর্তা। স্ট্রিম ছবিআন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আসিফুর রহমান বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার না করলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে। পুলিশ ফাঁড়ির পাশেই এমন ঘটনা ঘটল, অথচ তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি—এটা অগ্রহণযোগ্য। ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি ফুটেজ ডিলিট করেছে, তাই ক্যান্টিনটি বন্ধ করতে হবে। আর ১০ বার ফোন করার পরও রাকসুর ভিপি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তাঁর এমন আচরণে আমরা নিন্দা জানাই।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চেষ্টা করছে অপরাধীদের ধরার। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে প্রশাসন কথা বলছে।’