স্ট্রিম প্রতিবেদক
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেওয়া খাল খনন কর্মসূচি ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও আমার না বলা কথা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হয়ে বক্তব্য দেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিখ্যাত ও অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি কর্মসূচি ছিল খাল খনন কর্মসূচি। বিএনপি আগামী দিনে সরকার গঠনে সক্ষম হলে যে কোনো মূল্যে সারা দেশে খাল খনন কর্মসূচি শুরু করবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘পরিবেশের জন্য, কৃষকদের পানির সুবিধা ও বন্যার মতো সমস্যা থেকে রক্ষার জন্য খাল খনন অ্যান্টিবায়োটিকের মতো কাজ করবে।’
জনগণ প্রতিশ্রুতির রাজনীতি নয়, প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষ প্রতিশ্রুতি চায় না, কথামালার রাজনীতি চায় না। তাঁরা প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায়। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে বিএনপি সুনির্দিষ্টভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। এখন প্রয়োজন বিএনপির প্রতি জনগণের রায়। জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। ক্ষমতায় গেলে যত দ্রুত সম্ভব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করব।’
যুবদলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারলে আপনি নেতা। জনগণ প্রত্যাখ্যান করলে আপনি নেতা নন। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার কয়েক দশকের অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি, প্রশাসনিক সহায়তায় নেতৃত্ব প্রদর্শন করা যায়, কিন্তু জনগণ সহায়তা করলে নেতৃত্ব দেওয়া যায়।’
তারেক রহমান বলেন, ‘যুবকদের মধ্যে বেকারদের অধিকাংশই শিক্ষিত। এর পেছনে বিদ্যমান শিক্ষা কারিকুলাম অবশ্যই একটি কারণ। আমরা কেউ এর দায় এড়াতে পারি না। এজন্য কর্মমুখী শিক্ষা কারিকুলাম তৈরি ও বাস্তবায়নে বিএনপির একটি দল কাজ করছে।’
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বিএনপি কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন প্রচুর মানুষ বিদেশে আছেন। দুঃখজনক হলো তাদের অধিকাংশই নন-টেকনিক্যাল। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বিএনপির বিভিন্ন টিম সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরির কাজ করছে। বড় প্রকল্প নেওয়ার চেয়ে ছোট ছোট উদ্যোক্তা তৈরি করা গেলে কর্মসংস্থান হবে। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলের প্রয়োজন আছে।’
নাগরিকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে সারা দেশে গ্রাম পর্যায়ে ‘হেলথকেয়ার ওয়ার্কার’ নিয়োগের পরিকল্পনার কথাও জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এসব স্বাস্থ্যকর্মীর ৮০ শতাংশই হবে নারী।
তিনি বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে দেশে প্রায় ১ লাখ নার্সারি রয়েছে। এসব নার্সারিতে বর্ষাকাল বাদে বাকি সময়টাতে চারা উৎপাদন করব। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য ৫ বছরে ২৫ থেকে ৩০ কোটি গাছ লাগাব।’
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ দুঃসময় পার হয়ে এক যুগসন্ধিক্ষণে এসেছি। আমরা গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি ও রাজনৈতিক কাঠামোর ভিত্তি তৈরি করে আবার সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। অতীতেও দেশ ও অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেলে বিএনপি সেই দায়িত্ব নিয়েছে। এবারও এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিএনপিকেই আবার সেই দায়িত্ব নিতে হবে বলে মনে হচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে একটা ষড়যন্ত্র চলছে। চক্রান্ত চলছে দেশে আবার অস্থিরতা সৃষ্টি করার; যেন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ট্রানজিশন সঠিকভাবে না হয়। বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদল থাকতে কোনো শক্তি গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য তৈরি হতে পারবে না।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সভাপতিত্ব করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেওয়া খাল খনন কর্মসূচি ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও আমার না বলা কথা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হয়ে বক্তব্য দেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিখ্যাত ও অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি কর্মসূচি ছিল খাল খনন কর্মসূচি। বিএনপি আগামী দিনে সরকার গঠনে সক্ষম হলে যে কোনো মূল্যে সারা দেশে খাল খনন কর্মসূচি শুরু করবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘পরিবেশের জন্য, কৃষকদের পানির সুবিধা ও বন্যার মতো সমস্যা থেকে রক্ষার জন্য খাল খনন অ্যান্টিবায়োটিকের মতো কাজ করবে।’
জনগণ প্রতিশ্রুতির রাজনীতি নয়, প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষ প্রতিশ্রুতি চায় না, কথামালার রাজনীতি চায় না। তাঁরা প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায়। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে বিএনপি সুনির্দিষ্টভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। এখন প্রয়োজন বিএনপির প্রতি জনগণের রায়। জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। ক্ষমতায় গেলে যত দ্রুত সম্ভব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করব।’
যুবদলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারলে আপনি নেতা। জনগণ প্রত্যাখ্যান করলে আপনি নেতা নন। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার কয়েক দশকের অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি, প্রশাসনিক সহায়তায় নেতৃত্ব প্রদর্শন করা যায়, কিন্তু জনগণ সহায়তা করলে নেতৃত্ব দেওয়া যায়।’
তারেক রহমান বলেন, ‘যুবকদের মধ্যে বেকারদের অধিকাংশই শিক্ষিত। এর পেছনে বিদ্যমান শিক্ষা কারিকুলাম অবশ্যই একটি কারণ। আমরা কেউ এর দায় এড়াতে পারি না। এজন্য কর্মমুখী শিক্ষা কারিকুলাম তৈরি ও বাস্তবায়নে বিএনপির একটি দল কাজ করছে।’
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বিএনপি কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন প্রচুর মানুষ বিদেশে আছেন। দুঃখজনক হলো তাদের অধিকাংশই নন-টেকনিক্যাল। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বিএনপির বিভিন্ন টিম সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরির কাজ করছে। বড় প্রকল্প নেওয়ার চেয়ে ছোট ছোট উদ্যোক্তা তৈরি করা গেলে কর্মসংস্থান হবে। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলের প্রয়োজন আছে।’
নাগরিকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে সারা দেশে গ্রাম পর্যায়ে ‘হেলথকেয়ার ওয়ার্কার’ নিয়োগের পরিকল্পনার কথাও জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এসব স্বাস্থ্যকর্মীর ৮০ শতাংশই হবে নারী।
তিনি বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে দেশে প্রায় ১ লাখ নার্সারি রয়েছে। এসব নার্সারিতে বর্ষাকাল বাদে বাকি সময়টাতে চারা উৎপাদন করব। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য ৫ বছরে ২৫ থেকে ৩০ কোটি গাছ লাগাব।’
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ দুঃসময় পার হয়ে এক যুগসন্ধিক্ষণে এসেছি। আমরা গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি ও রাজনৈতিক কাঠামোর ভিত্তি তৈরি করে আবার সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। অতীতেও দেশ ও অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেলে বিএনপি সেই দায়িত্ব নিয়েছে। এবারও এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিএনপিকেই আবার সেই দায়িত্ব নিতে হবে বলে মনে হচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে একটা ষড়যন্ত্র চলছে। চক্রান্ত চলছে দেশে আবার অস্থিরতা সৃষ্টি করার; যেন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ট্রানজিশন সঠিকভাবে না হয়। বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদল থাকতে কোনো শক্তি গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য তৈরি হতে পারবে না।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সভাপতিত্ব করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আজ ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) রাত ৮টা ২০ মিনিটে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৩০ মিনিট আগেশত কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া অনলাইন এভিয়েশন প্ল্যাটফর্ম ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট লিমিটেড’-এর পরিচালক ও অংশীদারদের সব আর্থিক হিসাব (ব্যাংক, মোবাইল ও পেমেন্ট গেটওয়ে) জব্দের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি আদালতের অনুমতি ছাড়া ফ্লাইট এক্সপার্ট লিমিটেডের সব পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদে
৪২ মিনিট আগেসকাল সাতটায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এসেছেন রেখা বেগম। সঙ্গে এনেছেন বারো বছর বয়সী ছেলে সুলাইমানকে। সুলাইমানের এক পা ভালো হলেও অন্য পায়ে ইলিজারভ ফ্রেম (ভাঙা হাড় সোজা রাখা ও জোড়া লাগাতে ব্যবহৃত যন্ত্র) লাগানো।
১ ঘণ্টা আগে৫ আগস্ট শুধু শেখ হাসিনার পতনই ঘটে না, এদিন বহু মানুষ নিজের জীবনও হারান। গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম রক্তক্ষয়ী দিন ছিল সেটি। জনতার বিজয়োল্লাসে মিশে ছিল সহ-নাগরিক হারানোর শোক।
৩ ঘণ্টা আগে