চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
স্ট্রিম সংবাদদাতা
আগামীকাল বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচন। শেষ মুহূর্তে চলছে তোড়জোড় প্রচারণা। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রের ২৬ ও হল সংসদের ১৪টি পদ মিলিয়ে মোট ৪০টি ভোট দিতে হবে। তবে কেন্দ্রীয় সংসদের প্রার্থীদের চিনলেও হল সংসদের বেশিরভাগ প্রার্থীদের চেনেন না অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মারুফা বেগম থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের জোবড়া গ্রামের একটি মেসে। বিজয় ২৪ হলের ভোটার এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘ফ্যাকাল্টিতে এসে প্রচারপত্র দেওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় সংসদের অনেক প্রার্থীকে চিনেছি। সেখানে কোন পদে কাকে ভোট দিব, সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে তাদের ইশতেহার পড়ে। কিন্তু আমি যেহেতু হলে থাকি না, তাই আমার হলে কে কোন পদে প্রার্থী হয়েছে, আমি জানি না। বিজয় ২৪ হল সংসদের কোনো প্রার্থীর প্রচারপত্র আমি পাইনি।’
ঠিক একইরকম কথা বললেন হাটহাজারীর ‘১১ মাইল’ এলাকায় বসবাস করা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা মিশু। তিনি বলেন, ‘আমি প্রীতিলতা হলের ভোটার। কিন্তু হলে যেহেতু আসন পাইনি, তাই সেখানে কে কোন পদে প্রার্থী আমি জানি না। হলে যেসব শিক্ষার্থী আছেন, সেখানে শুধু আমার ডিপার্টমেন্টের কয়েকজনকে চিনি।’
সমাজতত্ত্ব বিভাগ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন থাকেন চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে। আলাওল হলের এই ভোটার বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সংসদে কাকে কোন পদে ভোট দেবো, সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু হল সংসদের প্রার্থীদের মধ্যে দুজন ছাড়া কাউকে চিনি না।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২১ হাজার অনাবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছেন।
আগামী ১৫ আক্টোবর চাকসু ও হল সংসদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের চাকসু নির্বাচনে ২৬টি পদে ১৩টি প্যানেলসহ মোট ৪১৫জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া ১৪টি হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৮৬ জন। মোট ২৭ হাজার ৫১৮ জন ভোটার ১৫টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে এক ভোটারকে ১০ মিনিটে ৪০টি পদে ভোট দিতে হবে—কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬টি ও হল সংসদের ১৪টি। অর্থাৎ গড়ে প্রতি ২০ সেকেন্ডে একটি করে ভোট।
১৫ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে। পাঁচ অনুষদের ১৫ কেন্দ্রে ৭০০ বুথে ভোট নেওয়া হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে পাঁচটি ব্যালট পেপার—চারটি কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য, একটি হল সংসদের জন্য। ভোট গণনা হবে অপটিক্যাল মার্ক রিডার (ওএমআর) পদ্ধতিতে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন জানিয়েছেন, প্রতিটি বুথে সর্বোচ্চ ৫০০ শিক্ষার্থীর ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। একজন শিক্ষার্থীকে ১০ মিনিট সময় দেওয়া হবে, প্রয়োজনে দুই-তিন মিনিট বাড়ানো যেতে পারে।
প্রকৌশল অনুষদ ভবন: ৪ হাজার ৩৬ ভোটার (সোহরাওয়ার্দী হল)।
কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ (শহীদ হৃদয় চন্দ্র তরুয়া ভবন): মোট ভোটার ৫ হাজার ২৬৩। এর মধ্যে শাহজালাল হলে ২ হাজার ৬৬৬ জন, এ এফ রহমান হলে ১ হাজার ৩০৭ জন এবং আলাওল হলের ভোটার ১ হাজার ২৯০ জন।
বিজ্ঞান অনুষদ ভবন: মোট ৪ হাজার ৫৩৮ ভোটার। এরমধ্যে শাহ আমানত হলের ২ হাজার ২৪৭ জন, শহীদ আবদুর রব হলে ১ হাজার ৭৭৫ জন এবং মাস্টারদা সূর্য সেন হলের ভোটার ৫১৬ জন।
সমাজবিজ্ঞান অনুষদ (ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভবন): মোট ভোটার ৬ হাজার ৬০৬। এর মধ্যে নবাব ফয়জুন্নেছা হলে ১ হাজার ১৭৯ জন, শামসুন নাহার হলের ২ হাজার ২৯১ জন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া হলের ২ হাজার ৪৮৭ জন এবং অতীশ দীপঙ্কর হলের ৬৪৯ জন।
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবন: মোট ভোটার ৭ হাজার ৭৩
এর মধ্যে প্রীতিলতা হলের ২ হাজার ৫৫৫, বিজয়–২৪ হলের ২ হাজার ৬০৪, শহীদ ফরহাদ হোসেন হলের ১ হাজার ৭৬০ এবং শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেলের ১৫৪ জন।
আগামীকাল বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচন। শেষ মুহূর্তে চলছে তোড়জোড় প্রচারণা। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রের ২৬ ও হল সংসদের ১৪টি পদ মিলিয়ে মোট ৪০টি ভোট দিতে হবে। তবে কেন্দ্রীয় সংসদের প্রার্থীদের চিনলেও হল সংসদের বেশিরভাগ প্রার্থীদের চেনেন না অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মারুফা বেগম থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের জোবড়া গ্রামের একটি মেসে। বিজয় ২৪ হলের ভোটার এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘ফ্যাকাল্টিতে এসে প্রচারপত্র দেওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় সংসদের অনেক প্রার্থীকে চিনেছি। সেখানে কোন পদে কাকে ভোট দিব, সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে তাদের ইশতেহার পড়ে। কিন্তু আমি যেহেতু হলে থাকি না, তাই আমার হলে কে কোন পদে প্রার্থী হয়েছে, আমি জানি না। বিজয় ২৪ হল সংসদের কোনো প্রার্থীর প্রচারপত্র আমি পাইনি।’
ঠিক একইরকম কথা বললেন হাটহাজারীর ‘১১ মাইল’ এলাকায় বসবাস করা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা মিশু। তিনি বলেন, ‘আমি প্রীতিলতা হলের ভোটার। কিন্তু হলে যেহেতু আসন পাইনি, তাই সেখানে কে কোন পদে প্রার্থী আমি জানি না। হলে যেসব শিক্ষার্থী আছেন, সেখানে শুধু আমার ডিপার্টমেন্টের কয়েকজনকে চিনি।’
সমাজতত্ত্ব বিভাগ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন থাকেন চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে। আলাওল হলের এই ভোটার বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সংসদে কাকে কোন পদে ভোট দেবো, সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু হল সংসদের প্রার্থীদের মধ্যে দুজন ছাড়া কাউকে চিনি না।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২১ হাজার অনাবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছেন।
আগামী ১৫ আক্টোবর চাকসু ও হল সংসদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের চাকসু নির্বাচনে ২৬টি পদে ১৩টি প্যানেলসহ মোট ৪১৫জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া ১৪টি হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৮৬ জন। মোট ২৭ হাজার ৫১৮ জন ভোটার ১৫টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে এক ভোটারকে ১০ মিনিটে ৪০টি পদে ভোট দিতে হবে—কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬টি ও হল সংসদের ১৪টি। অর্থাৎ গড়ে প্রতি ২০ সেকেন্ডে একটি করে ভোট।
১৫ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে। পাঁচ অনুষদের ১৫ কেন্দ্রে ৭০০ বুথে ভোট নেওয়া হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে পাঁচটি ব্যালট পেপার—চারটি কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য, একটি হল সংসদের জন্য। ভোট গণনা হবে অপটিক্যাল মার্ক রিডার (ওএমআর) পদ্ধতিতে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন জানিয়েছেন, প্রতিটি বুথে সর্বোচ্চ ৫০০ শিক্ষার্থীর ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। একজন শিক্ষার্থীকে ১০ মিনিট সময় দেওয়া হবে, প্রয়োজনে দুই-তিন মিনিট বাড়ানো যেতে পারে।
প্রকৌশল অনুষদ ভবন: ৪ হাজার ৩৬ ভোটার (সোহরাওয়ার্দী হল)।
কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ (শহীদ হৃদয় চন্দ্র তরুয়া ভবন): মোট ভোটার ৫ হাজার ২৬৩। এর মধ্যে শাহজালাল হলে ২ হাজার ৬৬৬ জন, এ এফ রহমান হলে ১ হাজার ৩০৭ জন এবং আলাওল হলের ভোটার ১ হাজার ২৯০ জন।
বিজ্ঞান অনুষদ ভবন: মোট ৪ হাজার ৫৩৮ ভোটার। এরমধ্যে শাহ আমানত হলের ২ হাজার ২৪৭ জন, শহীদ আবদুর রব হলে ১ হাজার ৭৭৫ জন এবং মাস্টারদা সূর্য সেন হলের ভোটার ৫১৬ জন।
সমাজবিজ্ঞান অনুষদ (ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভবন): মোট ভোটার ৬ হাজার ৬০৬। এর মধ্যে নবাব ফয়জুন্নেছা হলে ১ হাজার ১৭৯ জন, শামসুন নাহার হলের ২ হাজার ২৯১ জন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া হলের ২ হাজার ৪৮৭ জন এবং অতীশ দীপঙ্কর হলের ৬৪৯ জন।
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবন: মোট ভোটার ৭ হাজার ৭৩
এর মধ্যে প্রীতিলতা হলের ২ হাজার ৫৫৫, বিজয়–২৪ হলের ২ হাজার ৬০৪, শহীদ ফরহাদ হোসেন হলের ১ হাজার ৭৬০ এবং শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেলের ১৫৪ জন।
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর শিয়ালবাড়ি এলাকায় পোশাক কারখানা ও রাসায়নিক গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ তিনজনকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
৪২ মিনিট আগেতানোরে কোচিং সেন্টারের গিয়ে শিক্ষককে চড়-থাপ্পড়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। মারধর করা ওই যুবকেরা আগে আওয়ামী যুবলীগ করলেও বর্তমানে যুবদলের নেতা পরিচয় দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে একটি পোশাক কারখানা ও পাশের রাসায়নিকের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
২ ঘণ্টা আগেএমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বাড়ানোর দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। একই সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দলটি।
২ ঘণ্টা আগে