ট্রাইব্যুনালে চিকিৎসকের জবানবন্দি
বাসস
চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে ভর্তি করা গুরুতর আহত ১৬৭ জনের বেশির ভাগের মাথার খুলি ছিল না। তাঁদের চারজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয় এবং ২৯ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বুধবার (২০ আগস্ট) শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ দেওয়া সাক্ষীর জবানবন্দিতে একথা বলেন হাসপাতালটির সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহফুজুর রহমান।
সাক্ষীর জবানবন্দিতে ওই চিকিৎসক বলেন, আমাদের হাসপাতালে ৫৭৫ জন গুলিবিদ্ধ ও পিলেটবিদ্ধ রোগীকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাদের অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও সিট সংকুলান না হওয়ায় এবং গুরুতর আহত রোগীর চাপ বেশি থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
আর গুরুতর আহত ১৬৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের বেশির ভাগেরই মাথার খুলি ছিল না। চারজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয় এবং ২৯ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আইসিইউতে চিকিৎসা নেওয়া সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে।
জবানবন্দিতে চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, ৩৩টি অস্ত্রোপচার আমার নেতৃত্বে করেছি। ১৫টির মতো বুলেট ও পিলেট আহত আন্দোলনকারীদের শরীর থেকে বের করেছি। কিছু বুলেট বের করা যায়নি। গুলি ও পিলেটের অনেকগুলো রোগীরা চেয়ে নিয়ে যায়।'
জবানবন্দিতে মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, গত বছরের ১৯ জুলাই যখন রোগীর সংখ্যা বাড়ছিল, তখন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) লোকেরা এসে নতুন গুলিবিদ্ধ ছাত্রদের ভর্তি না করার জন্য তাকে চাপ দেন। তারা (ডিবি) বলে, যাদের ভর্তি করেছেন, তাদের রিলিজ করবেন না। এ বিষয়ে ওপরের নির্দেশ আছে। তাদের (গুলিবিদ্ধদের) বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তখন আমরা কৌশলে ভর্তি রেজিস্ট্রারে রোগীদের জখমের ধরন পরিবর্তন করে গুলিবিদ্ধের স্থলে সড়ক দুর্ঘটনা বা অন্যান্য কারণ লিপিবদ্ধ করে ভর্তি করি।
জবানবন্দিতে চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান মানবতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশদাতা শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওবায়দুল কাদের ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাতের নামোল্লেখ করে যারা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে আন্দোলনকারীদের নিহত ও আহত করেছেন তাদের বিচার ও ফাঁসি চেয়েছেন ।
চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে ভর্তি করা গুরুতর আহত ১৬৭ জনের বেশির ভাগের মাথার খুলি ছিল না। তাঁদের চারজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয় এবং ২৯ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বুধবার (২০ আগস্ট) শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ দেওয়া সাক্ষীর জবানবন্দিতে একথা বলেন হাসপাতালটির সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহফুজুর রহমান।
সাক্ষীর জবানবন্দিতে ওই চিকিৎসক বলেন, আমাদের হাসপাতালে ৫৭৫ জন গুলিবিদ্ধ ও পিলেটবিদ্ধ রোগীকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাদের অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও সিট সংকুলান না হওয়ায় এবং গুরুতর আহত রোগীর চাপ বেশি থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
আর গুরুতর আহত ১৬৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের বেশির ভাগেরই মাথার খুলি ছিল না। চারজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয় এবং ২৯ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আইসিইউতে চিকিৎসা নেওয়া সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে।
জবানবন্দিতে চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, ৩৩টি অস্ত্রোপচার আমার নেতৃত্বে করেছি। ১৫টির মতো বুলেট ও পিলেট আহত আন্দোলনকারীদের শরীর থেকে বের করেছি। কিছু বুলেট বের করা যায়নি। গুলি ও পিলেটের অনেকগুলো রোগীরা চেয়ে নিয়ে যায়।'
জবানবন্দিতে মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, গত বছরের ১৯ জুলাই যখন রোগীর সংখ্যা বাড়ছিল, তখন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) লোকেরা এসে নতুন গুলিবিদ্ধ ছাত্রদের ভর্তি না করার জন্য তাকে চাপ দেন। তারা (ডিবি) বলে, যাদের ভর্তি করেছেন, তাদের রিলিজ করবেন না। এ বিষয়ে ওপরের নির্দেশ আছে। তাদের (গুলিবিদ্ধদের) বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তখন আমরা কৌশলে ভর্তি রেজিস্ট্রারে রোগীদের জখমের ধরন পরিবর্তন করে গুলিবিদ্ধের স্থলে সড়ক দুর্ঘটনা বা অন্যান্য কারণ লিপিবদ্ধ করে ভর্তি করি।
জবানবন্দিতে চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান মানবতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশদাতা শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওবায়দুল কাদের ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাতের নামোল্লেখ করে যারা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে আন্দোলনকারীদের নিহত ও আহত করেছেন তাদের বিচার ও ফাঁসি চেয়েছেন ।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ সাক্ষাৎ করেছেন।
৮ ঘণ্টা আগেজনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে থাকা ২ জন সিনিয়র সচিব ও ৭ জন সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।
৯ ঘণ্টা আগেগ্রাফিক ডিজাইনার স্বর্ণময়ী বিশ্বাস (২৮)-এর মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা দায়ের করেছে তাঁর পরিবার। স্বর্ণময়ী রাজধানীর সোবহানবাগ এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
১০ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, দেশে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য নিরাপদ পরিবেশ বিদ্যমান রয়েছে। এই পরিবেশকে আরও সুসংহত করতে কমিশন সচিবালয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছে।
১০ ঘণ্টা আগে