স্ট্রিম ডেস্ক
খাগড়াছড়িতে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভুয়া ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এখন পর্যন্ত এরকম চারটি ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে সেগুলো ভুয়া বলে জানিয়েছে অনলাইন ভেরিফিকেশন ও মিডিয়া গবেষণা প্লাটফর্ম ডিসমিস ল্যাব। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এসব ভুয়া ভিডিওর ছড়িয়ে কেবল পাহাড়িদের বিরুদ্ধেই জাতিঘৃণা উসকে দেওয়া হচ্ছে না, বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে সেনাবাহিনীকেও।
ছড়িয়ে দেওয়া ভিডিওগুলোর একটি আসলে ইন্দোনেশিয়ার কোটা সুরাকারতা শহরের পুরোনো একটি রাতের দৃশ্য, আরেকটি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের এক নিয়মিত বিনোদনমূলক কনটেন্ট ক্রিয়েটরের জুলাই মাসের একটি পোস্ট, আরেকটি নেপালের কাঠমান্ডুর রিং রোড এলাকার, এবং সর্বশেষটি দুই মাস আগে সচিবালয় এলাকায় বিক্ষোভের যার ভিত্তিতে খাগড়াছড়িতে সেনাসদস্য অপহরণের মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে।
খাগড়াছড়িতে গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক স্কুলছাত্রী কিশোরী। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক উত্তেজনা ও সহিংসতা গড়িয়েছে গতকাল রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সারাদিন পর্যন্ত। ধর্ষণের ঘটনায় অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই আসামি ৬ দিনের রিমান্ডে রয়েছে। অন্যদিকে, ছড়িয়ে পড়া এ সংঘর্ষে গতকাল রোববার তিনজন স্থানীয় পাহাড়ি নিহত এবং সেনা ও পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন।
ডিসমিস ল্যাব বলছে, এ সংঘর্ষের সুযোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, বিশেষ করে ফেসবুকে, কে বা কারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়িয়ে দিচ্ছে বানোয়াট ও অপতথ্যমূলক ভিডিও। এসব অপতথ্যের একটি লক্ষ্য জাতিবিদ্বেষ উসকে দেওয়া, আবার অন্যদিকে সেনাবাহিনীকেও বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস লক্ষ করা যাচ্ছে এসব অপপ্রচারের নেপথ্যে।
খাগড়াছড়ির মহাজনপাড়ার রাতের দৃশ্য দাবি করে একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে রোববার দিনের প্রথমার্ধেই। কিন্তু ডিসমিস ল্যাবের কিফ্রেম সার্চ যাচাইয়ে দেখা যায় দৃশ্যটি ইন্দোনেশিয়ার সুরাকারতা নামক শহরের পুরোনো একটি দৃশ্য। গুগল ম্যাপের স্ট্রিট ভিউ থেকে জায়গাটির নাম ‘নাগারসোপুরো নাইট মার্কেট’ বলে নিশ্চিত হয়েছে ডিসমিস ল্যাব।
আরেকটি ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে দাবি করা হয়, খাগড়াছড়িতে রঙ মাখিয়ে আহত হওয়ার অভিনয় করছেন একজন চাকমা ব্যক্তি। তবে ডিসমিস ল্যাবের যাচাইয়ে দেখা যায় ভিডিওটি আসলে কালসেং সাংমা নামের এক কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের, যিনি নিয়মিতই বিনোদনমূলক ভিডিও আপলোড করেন এবং ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলের লোকেশন অনুযায়ী আইডিটি ভারতের। কালসেং সাংমার একাধিক ভিডিওর ব্যানারে মেঘালয়ের দক্ষিণ পশ্চিমের গারো হিলসের স্থানের উল্লেখও পাওয়া গেছে ডিসমিস ল্যাবের যাচাইয়ে। তারা এটাও নিশ্চিত করেছে যে, ছড়িয়ে দেওয়া ভিডিওটি আসলে গত ১৮ জুলাই কালসেং সাংমার একাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়।
ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া আরেকটি ভিডিওতে দাবি করা হয়, গত শনিবার জারি করা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে পাহাড়িরা সেনাবাহিনী ও বিজিবির ওপর হামলা করছে এবং তাদের অস্ত্র লুট করছে। কিন্তু ভিডিওটির জিওলোকেশন যাচাই করে ডিসমিস ল্যাব নিশ্চিত হয়েছে যে, ঘটনাটি মোটেই বাংলাদেশের নয়। বরং তা নেপালের কাঠমান্ডুর রিং রোড এলাকায় ধারণ করা একটি দৃশ্য।
ভয়াবহ এধরনের অপপ্রচারের সর্বশেষ আরেকটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে দাবি করা হয়, খাগড়াছড়িতে পাহাড়িরা সেনাসদস্যকে ধরে নিয়ে গিয়ে যাওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টা পর সেই সেনাসদস্যকে সংকটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অথচ একাধিক কি-ফ্রেম সার্চ করে ডিসমিস ল্যাব নিশ্চিত হয় যে, ছড়িয়ে দেওয়া ভিডিওটি দুই মাস আগে সচিবালয় এলাকায় এক বিক্ষোভের সময়ের।
দৈনিক ইত্তেফাকের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে সেই বিক্ষোভের সময়ে হুবহু একই দৃশ্য সম্বলিত ২ মিনিট ৩৬ সেকেণ্ডের একটি ভিডিও খুজে পেয়েছে ডিসমিস ল্যাব, যার ২৫ থেকে ৩১ সেকেন্ড অংশের সঙ্গে খাগড়াছড়ির নাম করে ছড়িয়ে দেওয়া ভিডিওর হুবহু মিল আছে।
উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা চলমান পরিস্থিতিতে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন রয়েছে বলে রোববার দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় মন্তব্য করেন। রোববার রাত প্রায় পৌনে ১২টায় সেনাবাহিনীর প্রচার করা এক সংবাদ বিবৃতিতেও দেখা যায়, তারাও অপপ্রচার ও অপতথ্য থেকে সাবধান থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
খাগড়াছড়িতে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভুয়া ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এখন পর্যন্ত এরকম চারটি ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে সেগুলো ভুয়া বলে জানিয়েছে অনলাইন ভেরিফিকেশন ও মিডিয়া গবেষণা প্লাটফর্ম ডিসমিস ল্যাব। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এসব ভুয়া ভিডিওর ছড়িয়ে কেবল পাহাড়িদের বিরুদ্ধেই জাতিঘৃণা উসকে দেওয়া হচ্ছে না, বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে সেনাবাহিনীকেও।
ছড়িয়ে দেওয়া ভিডিওগুলোর একটি আসলে ইন্দোনেশিয়ার কোটা সুরাকারতা শহরের পুরোনো একটি রাতের দৃশ্য, আরেকটি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের এক নিয়মিত বিনোদনমূলক কনটেন্ট ক্রিয়েটরের জুলাই মাসের একটি পোস্ট, আরেকটি নেপালের কাঠমান্ডুর রিং রোড এলাকার, এবং সর্বশেষটি দুই মাস আগে সচিবালয় এলাকায় বিক্ষোভের যার ভিত্তিতে খাগড়াছড়িতে সেনাসদস্য অপহরণের মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে।
খাগড়াছড়িতে গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক স্কুলছাত্রী কিশোরী। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক উত্তেজনা ও সহিংসতা গড়িয়েছে গতকাল রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সারাদিন পর্যন্ত। ধর্ষণের ঘটনায় অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই আসামি ৬ দিনের রিমান্ডে রয়েছে। অন্যদিকে, ছড়িয়ে পড়া এ সংঘর্ষে গতকাল রোববার তিনজন স্থানীয় পাহাড়ি নিহত এবং সেনা ও পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন।
ডিসমিস ল্যাব বলছে, এ সংঘর্ষের সুযোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, বিশেষ করে ফেসবুকে, কে বা কারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়িয়ে দিচ্ছে বানোয়াট ও অপতথ্যমূলক ভিডিও। এসব অপতথ্যের একটি লক্ষ্য জাতিবিদ্বেষ উসকে দেওয়া, আবার অন্যদিকে সেনাবাহিনীকেও বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস লক্ষ করা যাচ্ছে এসব অপপ্রচারের নেপথ্যে।
খাগড়াছড়ির মহাজনপাড়ার রাতের দৃশ্য দাবি করে একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে রোববার দিনের প্রথমার্ধেই। কিন্তু ডিসমিস ল্যাবের কিফ্রেম সার্চ যাচাইয়ে দেখা যায় দৃশ্যটি ইন্দোনেশিয়ার সুরাকারতা নামক শহরের পুরোনো একটি দৃশ্য। গুগল ম্যাপের স্ট্রিট ভিউ থেকে জায়গাটির নাম ‘নাগারসোপুরো নাইট মার্কেট’ বলে নিশ্চিত হয়েছে ডিসমিস ল্যাব।
আরেকটি ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে দাবি করা হয়, খাগড়াছড়িতে রঙ মাখিয়ে আহত হওয়ার অভিনয় করছেন একজন চাকমা ব্যক্তি। তবে ডিসমিস ল্যাবের যাচাইয়ে দেখা যায় ভিডিওটি আসলে কালসেং সাংমা নামের এক কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের, যিনি নিয়মিতই বিনোদনমূলক ভিডিও আপলোড করেন এবং ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলের লোকেশন অনুযায়ী আইডিটি ভারতের। কালসেং সাংমার একাধিক ভিডিওর ব্যানারে মেঘালয়ের দক্ষিণ পশ্চিমের গারো হিলসের স্থানের উল্লেখও পাওয়া গেছে ডিসমিস ল্যাবের যাচাইয়ে। তারা এটাও নিশ্চিত করেছে যে, ছড়িয়ে দেওয়া ভিডিওটি আসলে গত ১৮ জুলাই কালসেং সাংমার একাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়।
ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া আরেকটি ভিডিওতে দাবি করা হয়, গত শনিবার জারি করা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে পাহাড়িরা সেনাবাহিনী ও বিজিবির ওপর হামলা করছে এবং তাদের অস্ত্র লুট করছে। কিন্তু ভিডিওটির জিওলোকেশন যাচাই করে ডিসমিস ল্যাব নিশ্চিত হয়েছে যে, ঘটনাটি মোটেই বাংলাদেশের নয়। বরং তা নেপালের কাঠমান্ডুর রিং রোড এলাকায় ধারণ করা একটি দৃশ্য।
ভয়াবহ এধরনের অপপ্রচারের সর্বশেষ আরেকটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে দাবি করা হয়, খাগড়াছড়িতে পাহাড়িরা সেনাসদস্যকে ধরে নিয়ে গিয়ে যাওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টা পর সেই সেনাসদস্যকে সংকটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অথচ একাধিক কি-ফ্রেম সার্চ করে ডিসমিস ল্যাব নিশ্চিত হয় যে, ছড়িয়ে দেওয়া ভিডিওটি দুই মাস আগে সচিবালয় এলাকায় এক বিক্ষোভের সময়ের।
দৈনিক ইত্তেফাকের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে সেই বিক্ষোভের সময়ে হুবহু একই দৃশ্য সম্বলিত ২ মিনিট ৩৬ সেকেণ্ডের একটি ভিডিও খুজে পেয়েছে ডিসমিস ল্যাব, যার ২৫ থেকে ৩১ সেকেন্ড অংশের সঙ্গে খাগড়াছড়ির নাম করে ছড়িয়ে দেওয়া ভিডিওর হুবহু মিল আছে।
উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা চলমান পরিস্থিতিতে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন রয়েছে বলে রোববার দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় মন্তব্য করেন। রোববার রাত প্রায় পৌনে ১২টায় সেনাবাহিনীর প্রচার করা এক সংবাদ বিবৃতিতেও দেখা যায়, তারাও অপপ্রচার ও অপতথ্য থেকে সাবধান থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়া সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (৭৫) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
৪ মিনিট আগেডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেড়েছে। প্রতি মাসে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, আর মৃত্যু হচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে। গত ৬ মাসের তুলনায় চলতি সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ভাইরাল জ্বর।
২ ঘণ্টা আগেদেশের পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে চলমান অস্থিতিশীলতা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। জেলাটির গুইমারা উপজেলায় রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) তিনজনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর আগে থেকেই সেখানে ১৪৪ ধারা বলবৎ আছে।
১০ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই বিপ্লবের সময়কার ভিডিও ও তথ্য সরাসরি প্রদর্শন করা হয়েছে। গণহত্যা মামলার আসামি শেখ হাসিনার অপরাধের পক্ষে প্রসিকিউশনের দালিলিক প্রমাণ হিসেবে এসব ভিডিও দেখানো হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে দেখানো ভিডিওর সংখ্যা ১৮।
১১ ঘণ্টা আগে