leadT1ad

ময়মনসিংহে ‘লালনকন্যা’ ফরিদা পারভীনের স্মরণানুষ্ঠানে ‘চুল কেটে’ প্রতীকী প্রতিবাদ

স্ট্রিম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১: ০৭
ময়মনসিংহে ‘লালনকন্যা’ ফরিদা পারভীনের স্মরণানুষ্ঠানে ‘চুল কেটে’ প্রতীকী প্রতিবাদ। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, দুজন লোক একজন বয়স্ক ব্যক্তিকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং জোরপূর্বক তাঁর চুল ও দাড়ি কেটে দিচ্ছে। সেই ঘটনাসহ প্রকাশ্যে জোর করে বিভিন্ন ব্যক্তির চুল কেটে দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ময়মনসিংহের সংস্কৃতিকর্মীরা।

আজ শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহের শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যান এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে এক অনুষ্ঠানের শুরুতে আয়োজক কবি শামীম আশরাফের চুল কেটে জানানো হয় প্রতীকী এ প্রতিবাদ।

সদ্য প্রয়াত লালনকন্যা খ্যাত ফরিদা পারভীনের স্মরণে ময়মনসিংহের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘পরম্পরা’ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের একটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘আল্লাহ তুই দেহিস: মাজার ভাঙার সংস্কৃতিতে আঘাত, মানুষের ওপর অত্যাচারকারীদের ঘৃণা।’

ভাইরাল ওই ভিডিওতে যাঁর চুল-দাড়ি কেটে দেওয়া হয়েছে, তাঁর নাম হালিম উদ্দিন আকন্দ। তিনি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কাশিগঞ্জের কোদালিয়া এলাকার বাসিন্দা। ওই এলাকায় তিনি হালিম ফকির নামে পরিচিত। ঘটনাটি ঘটেছে কাশিগঞ্জ বাজারে। এলাকার মানুষের ভাষ্যে, ৩৪ বছর ধরে এমন লম্বা চুল-দাড়ি রাখেন তিনি। সারাদিন সন্ন্যাসীর বেশে এলাকায় ঘুরে বেড়ান এবং নানা ধরনের তাবিজ-কবজ, জড়িবুটির ওষুধ দেওয়া ঝাড়ফুঁক করেন।

অনুষ্ঠানের একটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘আল্লাহ তুই দেহিস: মাজার ভাঙার সংস্কৃতিতে আঘাত, মানুষের ওপর অত্যাচারকারীদের ঘৃণা।’ ছবি: সংগৃহীত
অনুষ্ঠানের একটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘আল্লাহ তুই দেহিস: মাজার ভাঙার সংস্কৃতিতে আঘাত, মানুষের ওপর অত্যাচারকারীদের ঘৃণা।’ ছবি: সংগৃহীত

শুভেচ্ছা বক্তব্যে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘পরম্পরা’র সভাপতি ও কবি শামীম আশরাফ প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা কিছুদিন ধরে একটি ঘটনা দেখছি, তিনজন মানুষ মিলে জোর করে একজনের লম্বা চুল ও দাড়ি কেটে দিচ্ছে। চুল কেটে দেওয়ার সময় লোকটি বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহ, তুই দেহিস’। এই যে ‘দেহিস’, এর ভেতর দিয়েই আমরা প্রতিবাদ জানাই। মাজার সংস্কৃতির ওপর যারা আঘাত করছে, শিল্প-সংস্কৃতির মানুষের ওপর যে অত্যাচার করা হচ্ছে, এর প্রতিবাদ জানাই।

স্মরণসভায় বরইগাছের মাঝে ফরিদা পারভীনের ছবি দিয়ে লাগানো হয়, ‘আমি অপার হয়ে বসে আছি’, গাছের ডালে ঝুলছে, ‘মিলন হবে কত দিনে’, ‘জাত গেল জাত গেল বলে’, ‘সময় গেলে সাধন হবে না’সহ বিভিন্ন গানের লাইন। গাছের নিচে সাদা কাপড় পেতে স্থানীয় তরুণ শিল্পীদের গান চলে সকাল ১০টা পর্যন্ত।

Ad 300x250

সম্পর্কিত