leadT1ad

কার্নিশে ঝোলা ছাত্রকে পুলিশের গুলি, অভিযোগ গঠনে আদেশ পেছাল

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩: ৫৬
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সংগৃহীত ছবি

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরায় ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকা শিক্ষার্থী আমির হোসেনকে গুলি এবং দুজনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠন প্রশ্নে আদেশ হবে আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর)।

আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এ দিন ঠিক করেন। এ মামলায় আজ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গঠনে আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে আদালত আজ আদেশ না দিয়ে নতুন দিন ধার্য করেছেন।

এর আগে, গত ১১ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১-এ বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেলে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজ দিন ধার্য করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

প্রসিকিউশনের পক্ষে সেদিন শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম, প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদারসহ অন্যরা।

এছাড়া পলাতক চার আসামির পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। তিনি এ মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতি চেয়েছেন। এছাড়া গ্রেপ্তার এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারওয়ার জাহান।

এ মামলায় গ্রেপ্তার রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি হয়। বাকি চার আসামির জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে আইনজীবী নিয়োগ করা হয়। সেই আসামিরা হলেন—সাবেক ডিএমপি কমিশনার পলাতক হাবিবুর রহমান, ডিএমপির খিলগাঁও জোনের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান ও রামপুরা থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) তরিকুল ইসলাম ভূইয়া।

আসামিদের মধ্যে গত ২৬ জানুয়ারি সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপি পুলিশ।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই আমির হোসেন জুমার নামাজ পড়ে বাসায় ফিরছিলেন। বাসার কাছে তখন সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান তিনি। এসময় পুলিশ গুলি শুরু করে। আমির হোসেন দৌড়ে নির্মাণাধীন একটি ভবনের চারতলায় গিয়ে আশ্রয় নেন।

একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে পুলিশ ভবনটির চারতলায় ওঠে। সেখানে আমির হোসেনকে পেয়ে পুলিশ সদস্যরা তার দিকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে বারবার নিচে লাফ দিতে বলেন। একজন পুলিশ সদস্য তাকে ভয় দেখাতে কয়েকটি গুলিও করেন।

ভয়ে আমির হোসেন লাফ দিয়ে নির্মাণাধীন ভবনটির রড ধরে ঝুলে থাকেন। তখন তৃতীয় তলা থেকে একজন পুলিশ সদস্য আমির হোসেনকে লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি করেন। গুলিগুলো আমিরের দুই পায়ে লাগে।

পরে পুলিশ চলে গেলে আমির হোসেন ঝাঁপ দিয়ে কোনোরকমে তৃতীয় তলায় পড়েন। তখন তার দুই পা দিয়ে রক্ত ঝরছিল। পরে আমির হোসেনকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি। এছাড়া একই দিন রামপুরার বনশ্রী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নাদিম ও মায়া ইসলাম নিহত হন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত