leadT1ad

মধ্যরাতে দাদিকে গলা কেটে হত্যার পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস

উল্লাপাড়ার চকবরু গ্রামে বুধবার রাতে দাদির ঘরে গিয়ে গলা কেটে হত্যা করে নাতি সজিব হাসান। এর পর ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে ‘আল্লাহু আকবার’ লিখে স্ট্যাটাস দেন তিনি। সর্বশেষ স্ট্যাটাসে তিনি দাদির ছবি পোস্ট করেন।

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
সিরাজগঞ্জ

প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৯: ৫১
হত্যায় অভিযুক্ত সাজিব হাসান। সংগৃহীত ছবি

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সন্দেশ খাতুনকে গলা কেটে হত্যা করেছেন তাঁর নাতি সজিব হাসান (২২)। প্রায় পঁচাশি বছর বয়সী দাদিকে হত্যার পর ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে ‘আল্লাহু আকবার’ লিখে স্ট্যাটাস দেন তিনি। গতকাল বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত একটার পর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চকবরু গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

হত্যার শিকার সন্দেশ খাতুন মৃত নওশের মোল্লার স্ত্রী। হত্যায় অভিযুক্ত নাতি সজিব হাসান তাঁদের সন্তান আহম্মাদ আলীর ছেলে। নাতি সজিবকে রাতেই আটক করে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে তাঁকে একমাত্র আসামি করে পরিবার পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়।

প্রতিবেশী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সজিব হাসান রাতে দাদি সন্দেশ খাতুনের ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা গেটে হত্যা করেন। এ সময় অস্ত্রের আঘাতে তাঁর মাথা গলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে নাতি ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে ‘আল্লাহু আকবার’ লিখে স্ট্যাটাস দেন। এর কিছু সময় আগে সে আরেকটি স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘ইনশাআল্লাহ, একটাও ছাড় পাবে না’। তবে সর্বশেষ স্ট্যাটাসে তিনি দাদির ছবি পোস্ট করেন।

এদিকে ছেলেকে দাদির ঘরে যাওয়ার বিষয়টি টের পেয়ে গিয়ে সন্দেশ খাতুনকে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃত দেখতে পান আহম্মাদ আলী। পরে সলঙ্গা থানা পুলিশকে বিষয়টি জানান তিনি। খবর পেয়ে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এ সময় অভিযুক্ত নাতি সজিব হাসানকেও আটক করা হয়। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পরিবারের সদস্য ও এলাকার লোকজনের ধারণা, সজিব হাসান একজন নেশাগ্রস্ত যুবক। সে নেশা ও মানসিক সমস্যার কারণেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারেন।

চকবরু গ্রামে হত্যাকাণ্ডের পর ওই এলাকায় মাদকের বিস্তার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা বলছেন অনেকে। ওই এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান সিরাজী নামে একজন ফেসবুকে এক মন্তব্যে লেখেন, ‘চকবুরু ঘটনায় ছেলেটা গাঁজায় আসক্ত ছিল। এগুলো জন্য আমরা এলাকাবাসী কিছুটা দায়ি আছি, কারণ এগুলো নিয়ে আমরা কিছু বলি না। আর কিছু বড় জেনারেল মুফতি আছেন, তাদের চোখে এগুলো পড়ে না।’

চকবরু গ্রামের বেশ কয়েকজন জানান, সজিব হাসান পড়ালেখায় বেশ মেধাবী ছিল। পরীক্ষার ভালো ফলাফলে ক্লাসে তার রোল নম্বরর এক-দুইয়ের মধ্যে থাকত। এসএসসি পরীক্ষায় তিনি জিপিএ ফাইভ অর্জন করে।

হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সলঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নেশাগ্রস্ত ও মানসিক সমস্যার কারণেই সজিব হাসান এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আজ দুপুরে তাঁকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা মামলা করেছে পরিবার।

Ad 300x250

সম্পর্কিত