লক্ষ্মীপুরে ‘আনন্দ পরিবহন’ একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রহমতখালী খালে পড়ে ডুবে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। আহতদের নোয়াখালী ও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের শেখপুর এলাকার মোরশেদ আলম (৫০), জয়নাল আবেদিন (৫৪), নওগাঁর আফসার উদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন রশিদ (৪০), নোয়াখালীর রিপন হোসেন (৩৫) এবং সদরের মাজেদ হোসেন (৩৮)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে নোয়াখালীর চৌমুহনী থেকে ২৫ থেকে ৩০ জন যাত্রী নিয়ে লক্ষ্মীপুরের দিকে যাচ্ছিল আনন্দ পরিবহনের বাসটি। সকাল সাড়ে ৮টায় চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজে সামনের সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি পাশের খালে পড়ে যায়।

পরে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এরপর গাড়ি ভেতর থেকে মোরশেদ আলম, জয়নাল আবেদিন ও হুমায়ুন রশিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর রিপন ও মাজেদ মারা যান।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফয়েজুল আজীম নোমান জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়িটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

উদ্ধারকাজে বিলম্বের অভিযোগে ক্ষোভ

এদিকে ঘটনার দুই ঘণ্টা পার হলেও ঘটনাস্থলে ডুবুরি পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় উদ্ধারকারীদের। এছাড়া পানির তলদেশে কেউ ডুবে আছেন কি না, তাও নিশ্চিত বলতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাদের দাবি, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দেরিতে আসায় ক্ষতি বেশি হয়েছে। এমনকি তাঁদের গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথাও বলতে দেননি বিক্ষুব্ধরা।

ঘটনার পর প্রায় ১ ঘণ্টা লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে সড়কের দুইপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ১ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক করে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।