leadT1ad

খোলা হলো লাইফ সাপোর্ট, ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে চবির ইমতিয়াজ

স্ট্রিম সংবাদদাতাচট্টগ্রাম
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮: ২৪
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ। সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদের শারীরিক অবস্থা উন্নতি হয়েছে। ফলে ছয়দিন পর খুলে দেওয়া হয়েছে লাইফ সাপোর্ট। এরপর তিনি কথা বলেছেন মা-বাবার সঙ্গেও।

তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আশঙ্কা এখনো কাটেনি। লাইফ সাপোর্ট সরিয়ে নেওয়া হলেও তাঁকে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে (অবজারভেশনে) রাখা হয়েছে।

আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে তাঁর লাইফ সাপোর্ট খোলা হয়। এর আগে সকালে চট্টগ্রামের পার্কভিউ হাসপাতালে ইমতিয়াজের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে। চিকিৎসকরা নতুন সিটি স্ক্যানে দেখেন—ইমতিয়াজের মাথায় রক্তক্ষরণ নেই। এরপরই তাঁর লাইফ সাপোর্ট সরানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।

তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, ইমতিয়াজের কনশাস লেভেল (চেতনার মান) এখনো স্বাভাবিকের নিচে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পার না হলে তাঁর অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়।

পার্কভিউ হাসপাতালের উপমহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘ইমতিয়াজের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। লাইফ সাপোর্ট ছাড়াই তিনি এখন চিকিৎসাধীন।’

গত ছয়দিন ইমতিয়াজের মা শাহনাজ আমিন ছেলের জন্য আইসিইউর দরজার সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলেন। ভেতর থেকে শুধু যন্ত্রের শব্দ শুনতেন। আজ ছয়দিন পর ছেলের মুখ থেকে প্রথমবার শুনলেন একটি শব্দ, ‘আম্মু...’।

শাহনাজ কাঁপা কণ্ঠে বললেন, ‘আমি যেন নতুন করে জন্ম নিলাম। এত দিন ধরে শুধু কাচের জানালার ওপার থেকে তাকিয়ে থেকেছি। আজ আমার ছেলেটা আমাকে ডেকেছে। আল্লাহর কাছে শুধু দোয়া করি, এই ডাক যেন আর হারিয়ে না যায়।’

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় কয়েক দফা সংঘর্ষে ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী আহত হন। সহ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন ও প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফও এ সময় আহত হন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের রামদা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হচ্ছে, একজনকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। সেদিন গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইমতিয়াজ একজন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত