leadT1ad

চূড়ান্ত নিবন্ধন পেল এনসিপি-বাসদ, যাচাইয়ে ৭ দল

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ২০
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ, মার্কসবাদী) চূড়ান্ত নিবন্ধন পেয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের নির্বাচন কমিশনের সচিব আখতার আহমেদ জানান, নিবন্ধন-সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ হয়েছে।

তিনি বলেন, নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ১৪৩টি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে। প্রথম পর্যায়ে ১২১ দলের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে বাছাই করা হয় ২২টি দল। তাদের মধ্যে এনসিপি, আম জনগণ পার্টি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলকে (বাসদ, মার্কসবাদী) আমরা চূড়ান্ত করেছি।

আম জনগণের পার্টির বিরুদ্ধে আপত্তি রয়েছে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, এনসিপি ও বাসদের (মার্কসবাদী) বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি না থাকায় চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। আম জনগণের পার্টির বিষয়ে শুনানি ও পর্যালোচনা চলবে।

নিবন্ধনপ্রত্যাশী বাকি দলগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, নিবন্ধন না পাওয়া দলগুলোর মধ্যে ১৪টি দল সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য আবেদন করেছে। প্রথমে বাদ পড়া ১২১ দলের মধ্যে সাতটি আবেদন করলেও, তা আমলে নেওয়া হয়নি। সর্বশেষ ২২ দলের মধ্যে সাতটি আবেদন করেছে, তাদের পর্যালোচনায় রাখা হয়েছে।

দলগুলো হলো– বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি, জাসদ (শাহজাহান সিরাজ), জাতীয় জনতা পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, আমজনতার দল ও জনতার দল। পর্যালোচনা বলতে যাচাই-বাছাই ও শুনানি– সবই এর মধ্যে থাকবে বলে জানান ইসি সচিব।

নিবন্ধন রিভিউয়ের সময়সীমা নিয়ে তিনি বলেন, কাট-অফ টাইম এখন বলা যাচ্ছে না। এটা তফসিলের আগে হতে পারে; আবার নাও হতে পারে। পর্যালোচনা শেষ হলে বলা সম্ভব হবে।

শেষ মুহূর্তে নিবন্ধন পেলে এসব দল সুবিধা বঞ্চিত হবে কিনা– প্রশ্নে ইসি সচিব বলেন, শেষ মুহূর্তে নিবন্ধন পেলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পাবে না, এটিই বাস্তবতা।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষকদের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। তালিকা প্রকাশের সময়সীমা ও নাম এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানান তিনি।

এবার ভোটার পৌনে ১৩ কোটি

ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য হয়েছেন ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন। চূড়ান্ত তালিকায় পুরুষ ৬ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭; নারী ৬ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪২ জন এবং হিজড়া ১ হাজার ২৩৪ জন। নারী ও পুরুষ ভোটারের ব্যবধান ১৯ লাখ ৩৫ হাজার ৮৬৫ জন।

এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম ভোটার তালিকা হালনাগাদ চূড়ান্ত করা হয় ২ মার্চ।

এরপর দ্বিতীয় ধাপে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ ভোটার তালিকা করার কাজ শুরু করে ইসি। এটি চূড়ান্ত হয় আগস্টে। সবশেষ তৃতীয় দফায় নতুন ভোটারদের যুক্ত করতে সময় দেওয়া হয় ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত, মঙ্গলবার চূড়ান্ত করার তথ্য দিল ইসি।

ইসি সচিব জানান, মার্চ থেকে নভেম্বর সময়ে ভোটার বেড়েছে ৩.২০ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার বেড়েছে ২.২৯; নারী ভোটার ৪.১৬ শতাংশ।

নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন শুরু হয়। এরপর হালনাগাদে নতুনদের অন্তর্ভুক্ত ও মৃতদের বাদ দিয়ে হালনাগাদ করা হচ্ছে ভোটার তালিকা।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত